Ajker Patrika

৩ বছর ধরে চিকিৎসক নেই

মনজুর রহমান, লালমোহন, ভোলা
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১২: ১৯
৩ বছর ধরে চিকিৎসক নেই

ভোলার লালমোহনের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু ও প্রসূতি সেবা নিতে আসেন এখানে। কিন্তু প্রায় তিন বছর ধরে এখানে চিকিৎসা না থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে উপপরিচালক জানিয়েছেন, শিগগিরই চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

লালমোহন থানার মোড়ে ১৯৬৫ সালে নির্মিত হয় ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। সম্প্রতি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিশু ও প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় শয্যাগুলো খালি পড়ে আছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সেখানে নেই অ্যাম্বুলেন্স।

ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাথী বেগম বলেন, ‘প্রেগনেন্সি সমস্যা নিয়ে এখানে এসেছি চিকিৎসা নিতে। এসে দেখি ডাক্তার নেই। তাই আর ডাক্তার দেখাতে পারিনি। এখন বেসরকারি ক্লিনিকে যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় নেই। আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্তরা কি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে পারি, সেখানে অনেক টাকা খরচ। আবার কখনো কখনো ভোলা সদরেও যেতে হয়।’ সাথী বেগমের মতো অনেকেরই ভরসাস্থল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মিরা রানী দাস বলেন, আমাদের এখানে যেসব প্রসূতি মায়েরা আসছেন, আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করি। তাঁদের আমরা নরমাল ডেলিভারিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে জটিল ডেলিভারি হলে আমরা করতে পারি না। এর জন্য এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ বলেন, ‘ওই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে শিগগিরই সেখানে চিকিৎসক দেওয়া হবে। চিকিৎসকের পদায়ন হলে আর এ সমস্যা থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত