Ajker Patrika

দখলমুক্ত জমিতে আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে খুশি তাঁরা

সাকিবুজ্জামান সবুর, কাঠালিয়া (ঝালকাঠি)
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৪৬
দখলমুক্ত জমিতে আশ্রয়ণের ঘর  পেয়ে খুশি তাঁরা

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় খাস, বেদখল ও পরিত্যক্ত জমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। দখলমুক্ত জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৭৭টি ঘর। সেই ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি ভূমিহীন ও গৃহহীনেরা।

জানা গেছে, উপজেলায় ২২ একর ৬৫ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এই খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী মৌজায় ৯ একর ৯৬ শতাংশ, রামপুর মৌজায় ৭৩ শতাংশ এবং মহিষকান্দি মৌজায় ৮৬ শতাংশ, পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে পূর্বজোড়খালী মৌজায় ২ একর, আমুয়া ইউনিয়নে আমুয়া মৌজায় ৪৬ শতাংশ, বাঁশবুনিয়া মৌজায় ১ একর ৭০ শতাংশ এবং ছোনাউটা মৌজায় ১ একর ২৩ শতাংশ জমি, কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে আউরা মৌজায় ৮৬ শতাংশ, আনইলবুনিয়া মৌজায় ১ একর ৮২ শতাংশ, দক্ষিণ আউরা মৌজায় ২ একর, শৌলজালিয়া ইউনিয়নে কচুয়া মৌজায় ২৮ শতাংশ, দক্ষিণ শৌলজালিয়া মৌজায় ৬৩ শতাংশ, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে পূর্বছিটকী মৌজায় ১২ শতাংশ দখলমুক্ত করা হয়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এসব জমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। দুই ধাপে ২১০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপের ৯০টি ঘর চলতি মাসে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে এখন শান্তিতে বসবাস করতে পারছি। নিজের স্থায়ী একটা ঠিকানা হয়েছে।’

কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের চিংড়াখালী গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ‘অন্যের জমিতে থাইক্কা খয়রাত (ভিক্ষা) কইরা খাই। কোনো দিনও পাকা ঘরে থাকমু এরহম আশা করি নাই। প্রধানমন্ত্রী ঘর উপহার দেওয়ায় এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।’

আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, ‘সরকার জমিসহ পাকা ঘর দিয়েছে। এর আগে নিজের কোনো জমি ও ঘর ছিল না। এখন অনেক ভালো আছি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকায় খাসজমি বেদখল ও পরিত্যক্ত ছিল। ইউএনও সেই জমি উদ্ধার করে অসহায় মানুষদের জন্য ঘর নির্মাণ করেন।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহম্মেদুর রহমান বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল মানুষের জন্য পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩২৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটি দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৯টি ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।’

কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘এখানে যোগদানের পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ আসে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে জমির সংকট ছিল। পরে বেদখল ও পরিত্যক্ত খাসজমি উদ্ধার করা হয়। এই জমিতে ৪৭৭টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাকি খাসজমি উদ্ধারের কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত