সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)
গাছ ভরে আছে মাল্টায়। একটা-দুটো নয়, দুই একর জমিজুড়েই এমন শত শত মাল্টার গাছ ফলের ভারে যেন নুয়ে পড়তে চাইছে। কোনো কোনো গাছ তো লাঠি দিয়ে ঠেকনা দিতে হয়েছে। শুধু মাল্টা নয়, দেশি-বিদেশি আরও নানা প্রজাতির ফলদ ও ঔষধি গাছ রয়েছে মাল্টাগাছের ফাঁকে ফাঁকে। এর মাঝেই এখানে সেখানে দৌড়ে বেড়ায় পাঁচ শতাধিক তিতির পাখি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল কৈতরবাড়ী গ্রামে গেলে এই খামারের দেখা মেলে। এর উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম। এখন তাঁর চোখমুখে বিজয়ীর হাসি। তাঁর এই বহুমুখী খামারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এখন এমন খামার করতে উদ্যোগী হয়েছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ রফিকের কাছে আসেন এ ধরনের খামার গড়ে তোলার কলাকৌশল জানতে।
তবে রফিকের শুরুটা এমন সুখকর ছিল না। সংসারে সুদিন আনতে একসময় প্রবাসজীবন বেছে নিয়েছিলেন। রফিক জানান, বেশ কয়েক বছর বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। ২০১৪ সালে বাড়ির পাশের দুই একর অনাবাদি জমিতে মাল্টার চাষ শুরুর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় তাঁর ‘রফিক ফলদ ও কৃষি খামার’-এর। এরপর গড়ে তোলেন এই খামারটি। বাড়ির পাশের দুই একর অনাবাদি জমিতে প্রথমে মাল্টার চাষ শুরু করেন। এই ফলদ বাগানই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। এরপর খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও ঔষধি গাছও রোপণ করেন। এখন তাঁর খামারে রয়েছে মরিয়ম ও বারবারি জাতের খেজুরগাছও। রয়েছে বিশেষ উপকারী করোসলগাছ। সুস্বাদু শণ ফলও লাগিয়েছেন রফিক। আছে দেশীয় বিভিন্ন ফল গাছের সমাহারও। তাঁর খামারের আয়তন বেড়ে এখন হয়েছে ছয় একর। এখানে জামরুল, সফেদা, আনার, ডালিম ও মসলা-জাতীয় এলাচিসহ ২৬ প্রজাতির গাছ রয়েছে। পাশাপাশি খামারেই পাঁচ শতাধিক তিতির পাখিও লালন-পালন করছেন রফিক।
রফিক আজকের পত্রিকাকে জানালেন, গত বছর তিনি মাল্টাসহ অন্যান্য ফলফলাদি বিক্রি করে আয় করেছেন ১০ লাখ টাকা। খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এখানে উৎপাদিত মাল্টা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। দেশের অর্থনীতিতে ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্রও পেয়েছেন তিনি।
সফল খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রবাসে অনেক পরিশ্রম করেও সংসারে সুদিন আনতে পারছিলাম না। তবে দেশে ফিরে খামার করে সফলতা পেয়েছি। খামার থেকে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই খামারের পরিধি বাড়িয়েছি। আর তিতির পাখিগুলো আমার শখের ও ভালোবাসার। এটিও বেশ লাভজনক।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রফিক নিজ উদ্যোগেই বাগান করেছেন। ওই বাগানে কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হয় না। তাঁকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বাগানের ফলগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু। তাঁকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষক ফলদ বাগান করেছেন।
গাছ ভরে আছে মাল্টায়। একটা-দুটো নয়, দুই একর জমিজুড়েই এমন শত শত মাল্টার গাছ ফলের ভারে যেন নুয়ে পড়তে চাইছে। কোনো কোনো গাছ তো লাঠি দিয়ে ঠেকনা দিতে হয়েছে। শুধু মাল্টা নয়, দেশি-বিদেশি আরও নানা প্রজাতির ফলদ ও ঔষধি গাছ রয়েছে মাল্টাগাছের ফাঁকে ফাঁকে। এর মাঝেই এখানে সেখানে দৌড়ে বেড়ায় পাঁচ শতাধিক তিতির পাখি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল কৈতরবাড়ী গ্রামে গেলে এই খামারের দেখা মেলে। এর উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম। এখন তাঁর চোখমুখে বিজয়ীর হাসি। তাঁর এই বহুমুখী খামারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এখন এমন খামার করতে উদ্যোগী হয়েছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ রফিকের কাছে আসেন এ ধরনের খামার গড়ে তোলার কলাকৌশল জানতে।
তবে রফিকের শুরুটা এমন সুখকর ছিল না। সংসারে সুদিন আনতে একসময় প্রবাসজীবন বেছে নিয়েছিলেন। রফিক জানান, বেশ কয়েক বছর বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। ২০১৪ সালে বাড়ির পাশের দুই একর অনাবাদি জমিতে মাল্টার চাষ শুরুর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় তাঁর ‘রফিক ফলদ ও কৃষি খামার’-এর। এরপর গড়ে তোলেন এই খামারটি। বাড়ির পাশের দুই একর অনাবাদি জমিতে প্রথমে মাল্টার চাষ শুরু করেন। এই ফলদ বাগানই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। এরপর খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও ঔষধি গাছও রোপণ করেন। এখন তাঁর খামারে রয়েছে মরিয়ম ও বারবারি জাতের খেজুরগাছও। রয়েছে বিশেষ উপকারী করোসলগাছ। সুস্বাদু শণ ফলও লাগিয়েছেন রফিক। আছে দেশীয় বিভিন্ন ফল গাছের সমাহারও। তাঁর খামারের আয়তন বেড়ে এখন হয়েছে ছয় একর। এখানে জামরুল, সফেদা, আনার, ডালিম ও মসলা-জাতীয় এলাচিসহ ২৬ প্রজাতির গাছ রয়েছে। পাশাপাশি খামারেই পাঁচ শতাধিক তিতির পাখিও লালন-পালন করছেন রফিক।
রফিক আজকের পত্রিকাকে জানালেন, গত বছর তিনি মাল্টাসহ অন্যান্য ফলফলাদি বিক্রি করে আয় করেছেন ১০ লাখ টাকা। খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এখানে উৎপাদিত মাল্টা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। দেশের অর্থনীতিতে ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্রও পেয়েছেন তিনি।
সফল খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রবাসে অনেক পরিশ্রম করেও সংসারে সুদিন আনতে পারছিলাম না। তবে দেশে ফিরে খামার করে সফলতা পেয়েছি। খামার থেকে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই খামারের পরিধি বাড়িয়েছি। আর তিতির পাখিগুলো আমার শখের ও ভালোবাসার। এটিও বেশ লাভজনক।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রফিক নিজ উদ্যোগেই বাগান করেছেন। ওই বাগানে কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হয় না। তাঁকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বাগানের ফলগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু। তাঁকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষক ফলদ বাগান করেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪