নদীভাঙনে বছরে চার হাজার ঘর বিলীন

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২২, ০৮: ৫১
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১২: ১৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আমিনবাজার থেকে জনতাঘাট পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভাঙনে গত ১২ বছরে ৩০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাটবাজারসহ কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে সবকিছু হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে অসহায় পরিবারগুলো।

চলতি বছরের বর্ষার আগেই ৩ থেকে ৪ হাজার পরিবারের বসতি হারিয়েছে। শুধু চরক্লার্ক ইউনিয়নে ২ থেকে ৩ কিলোমিটারে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। এ সময় ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষগুলো আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আঙ্গোরে নদীভাঙনের হাত থেকে বাঁচান, নদী দুই-তিনবার করি আঙ্গো ঘরবাড়ি ভাঙি লই গেছে। এখন আবার ভাঙলে আমরা কোনাই যামু, কার কাছে যামু? আঙ্গো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে কয় (বলে) পাথরের ব্লক ও জিও ব্যাগ দিই নদীর ভাঙন বন্ধ করেন।’

এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বাহার চৌধুরী, চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, ইউপি সদস্য মাহে আলম, সামছুল আলম বাহারসহ ভাঙনকবলিত এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর নবী, মো. কবির, সামছুন নাহার, মো. রফিক অভিযোগ করে বলেন, ভাঙনরোধে বিগত বছরে নানা প্রতিশ্রুতি পেলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ তাঁরা পাননি। এমপি-মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দিন দিন হতাশ করে দিচ্ছে তাঁদের। তাঁরা জানান, নদীভাঙনে আশ্রয়ের তেমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। দ্রুত এ ভাঙন বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে সুবর্ণচরের বিস্তীর্ণ এলাকা ও স্বর্ণদ্বীপ নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১০ সাল থেকে মেঘনার ভাঙন শুরু। গত ১২ বছরে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের শিকার হয়ে প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো অনেকে ভাঙন-আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে সুবর্ণচর ও স্বর্ণদ্বীপ নদীগর্ভে বিলীন যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনে ১২ বছরে ৩০ হাজার পরিবারের বসতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত