সম্পাদকীয়
রাজশাহীর তানোরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা স্কুলে নিজ ভাষায় শিক্ষা পাচ্ছে না। খবরটি শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। ভাষার প্রশ্নে এই ভূখণ্ডের মানুষ যে সংগ্রাম চালিয়েছিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে তারা কেন এতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, সেটা বুঝে ওঠা দায়। বাংলাদেশে বাংলা ছাড়াও সব নৃগোষ্ঠীর ভাষা বাঁচিয়ে রাখা যে জরুরি, সে কথা সবাই জানে। কিন্তু পরিকল্পনা করার সময় কেন তা বাদ পড়ে যায়, সেটাই রহস্য।
তানোরের জোতগরীব আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল আছে। স্কুলটির নামের সঙ্গেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে, সেটা বোঝা যায়। কিন্তু সেখানে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কোন ভাষায়? স্রেফ বাংলায়। যত বই আছে, তার সবই বাংলা ভাষায়। তাহলে এলাকার ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা তাদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ করবে কী করে? শুধু বাড়িতে বা নিজ সমাজের অভ্যন্তরের মানুষের সঙ্গে বাতচিত করেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে মাতৃভাষা?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার বিষয়ে বলেছেন, ‘…তারা প্রচলিত ভাষা যেমন শিখবে, পাশাপাশি তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ ও অন্তরে ধারণ করতে পারবে। …যাদের বর্ণমালা আছে, তাদের বই তৈরি করে দিয়েছি। এবার ৩৩ হাজার বই তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি যে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর বক্তৃতার পথ ধরে আমাদের প্রশ্ন থাকবে তাঁদের প্রতি, যাঁরা শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা সবাই জানি, ইংরেজির চাপে বাংলার এখন মরণদশা। ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলা নিয়ে গর্ব করতে দেখা যায়। এ মাসেই ভাষা নিয়ে নানা আক্ষেপ প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমাদের করপোরেট জগৎ, আমাদের উচ্চ আদালত, আমাদের শিক্ষা—সর্বত্রই বাংলা হয়ে থাকে উপেক্ষিত। দেশের একজন নাগরিক আদালত থেকে কোন রায় পেলেন, তা ইংরেজি না জানার কারণে বুঝতেও পারেন না। তিনি দোষী কি নির্দোষ—সেটা বুঝতে হলে তাঁকে দৌড়াতে হয় ইংরেজি জানা মানুষের কাছে। এ বড় লজ্জার কথা। তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের কথা বলা হলে তা বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো মনে হতে পারে। কিন্তু একটু শান্ত মনে ভাবলে যে কেউ বুঝতে পারবে, এই ভাষাগুলো বাঁচিয়ে রাখা কতটা জরুরি। এক একটা ভাষার মৃত্যুর অর্থ এক একটা সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মৃত্যু।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেকেরই নিজস্ব বর্ণমালা নেই। কারও কারও আছে। যাদের আছে, তাদের পড়াশোনা এবং বিনোদনের জন্য বই, পত্রিকা প্রকাশ করতে হবে। মাতৃভাষা মানে যে একেবারেই সহজভাবে মায়ের ভাষাকেই বোঝানো হচ্ছে, সেটা যেন আমরা উপলব্ধি করতে পারি। যার মা যে ভাষায় কথা বলছেন, সেটাই সেই সন্তানের মায়ের ভাষা। সেই ভাষা রক্ষা করা দরকার।
রাজশাহীর তানোরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা স্কুলে নিজ ভাষায় শিক্ষা পাচ্ছে না। খবরটি শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। ভাষার প্রশ্নে এই ভূখণ্ডের মানুষ যে সংগ্রাম চালিয়েছিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে তারা কেন এতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, সেটা বুঝে ওঠা দায়। বাংলাদেশে বাংলা ছাড়াও সব নৃগোষ্ঠীর ভাষা বাঁচিয়ে রাখা যে জরুরি, সে কথা সবাই জানে। কিন্তু পরিকল্পনা করার সময় কেন তা বাদ পড়ে যায়, সেটাই রহস্য।
তানোরের জোতগরীব আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল আছে। স্কুলটির নামের সঙ্গেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে, সেটা বোঝা যায়। কিন্তু সেখানে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কোন ভাষায়? স্রেফ বাংলায়। যত বই আছে, তার সবই বাংলা ভাষায়। তাহলে এলাকার ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা তাদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ করবে কী করে? শুধু বাড়িতে বা নিজ সমাজের অভ্যন্তরের মানুষের সঙ্গে বাতচিত করেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে মাতৃভাষা?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার বিষয়ে বলেছেন, ‘…তারা প্রচলিত ভাষা যেমন শিখবে, পাশাপাশি তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ ও অন্তরে ধারণ করতে পারবে। …যাদের বর্ণমালা আছে, তাদের বই তৈরি করে দিয়েছি। এবার ৩৩ হাজার বই তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি যে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর বক্তৃতার পথ ধরে আমাদের প্রশ্ন থাকবে তাঁদের প্রতি, যাঁরা শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা সবাই জানি, ইংরেজির চাপে বাংলার এখন মরণদশা। ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলা নিয়ে গর্ব করতে দেখা যায়। এ মাসেই ভাষা নিয়ে নানা আক্ষেপ প্রকাশিত হয়। কিন্তু আমাদের করপোরেট জগৎ, আমাদের উচ্চ আদালত, আমাদের শিক্ষা—সর্বত্রই বাংলা হয়ে থাকে উপেক্ষিত। দেশের একজন নাগরিক আদালত থেকে কোন রায় পেলেন, তা ইংরেজি না জানার কারণে বুঝতেও পারেন না। তিনি দোষী কি নির্দোষ—সেটা বুঝতে হলে তাঁকে দৌড়াতে হয় ইংরেজি জানা মানুষের কাছে। এ বড় লজ্জার কথা। তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের কথা বলা হলে তা বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো মনে হতে পারে। কিন্তু একটু শান্ত মনে ভাবলে যে কেউ বুঝতে পারবে, এই ভাষাগুলো বাঁচিয়ে রাখা কতটা জরুরি। এক একটা ভাষার মৃত্যুর অর্থ এক একটা সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মৃত্যু।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেকেরই নিজস্ব বর্ণমালা নেই। কারও কারও আছে। যাদের আছে, তাদের পড়াশোনা এবং বিনোদনের জন্য বই, পত্রিকা প্রকাশ করতে হবে। মাতৃভাষা মানে যে একেবারেই সহজভাবে মায়ের ভাষাকেই বোঝানো হচ্ছে, সেটা যেন আমরা উপলব্ধি করতে পারি। যার মা যে ভাষায় কথা বলছেন, সেটাই সেই সন্তানের মায়ের ভাষা। সেই ভাষা রক্ষা করা দরকার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে