অবৈধ দখল বাড়ছে উচ্ছেদ অভিযান নেই

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ৩৮
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ২৮

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ভাড়া দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। দিন দিন অবৈধ দোকানপাট বাড়লেও কেন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না—এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্ররোচনায় এসব ভাসমান দোকান দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গজিয়ে ওঠা এসব টং দোকান কারও তোয়াক্কা করে না। ঘুরতে আসা সাধারণ জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছে। অথচ পৌরসভার কেউ জানেন না, কারা এই টাকা ওঠায়। তাঁরা বলেন, এই জায়গা তাঁদের আওতার মধ্যে পড়ে না। বর্তমানে এই মুক্তমঞ্চের আশপাশের জায়গার কোনো অভিভাবক নেই। যে যেভাবে পারছেন ব্যবহার করছেন। তদারকি করার কেউ নেই। এর পেছনের সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা-কর্মী ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মচারী দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এসব দোকান ভাড়া দিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিটি দোকান স্থাপন করার সময় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। দোকান ভাড়াসহ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক দোকানি বলেন, প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়। 

এ ছাড়া প্রতিটি দোকানেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এ থেকে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এদিকে শত শত দোকানপাটের নানা বর্জ্য নদীসহ কলেজ মাঠে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। নির্মল এলাকাটি হয়ে যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর। 

এদিকে বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব যেন নিত্যসঙ্গী এই মুক্তমঞ্চে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা দর্শনার্থীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ে শিকার হচ্ছেন। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এর চারপাশ। সবকিছুই আবর্তিত হচ্ছে মুক্তমঞ্চসংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ দোকানপাট ঘিরে। 

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা শহরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চের আশপাশের জায়গাও এর বাইরে নয়। সামনের সমন্বয় সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, ‘নরসুন্দা লেকসিটি একটা মেগা প্রকল্প। আমার ভাই মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যেভাবে এই নরসুন্দা লেকসিটির সৌন্দর্যবর্ধন করতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই  করা হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত