নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাদ যায়নি কেউই। নিজের আত্মীয়, আত্মীয়ের আত্মীয়—যাঁকে যে পদে পেরেছেন নিয়োগ দিয়েছেন। এ ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি অংশ জেনে যাওয়ার পর তাঁদের মুখ বন্ধ করা হয় আরেক দফা অনিয়মে। শর্ত শিথিল করে চাকরি দেওয়া হয় একাধিক সাংবাদিক ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে। এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকা।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ১৭৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগে অনিয়ম ঢাকতে এমন কাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
২০১৮ সালে দেশের চতুর্থ হিসেবে যাত্রা শুরু করে সিলেট মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখনো এর নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। শুরু হয়নি পাঠদান কার্যক্রমও। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতা বলে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাঁদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের বসার জায়গাও নেই নগরীর চৌহাট্টায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে। কারণ, কাজ নেই, তাই চেয়ার-টেবিলও কেনা হয়নি।
এসব নিয়োগে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে নেওয়া হয় বিশেষ কৌশল। যেমন, গত ১০ জানুয়ারি ছয়জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে লেখা ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাট্টাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সরাসরি নিজে/প্রতিনিধির মাধ্যমে যোগাযোগ করে যোগ্যতাসংবলিত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।’
চলতি বছর আরও তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এভাবে নানা কৌশল নেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ৫ জুলাই প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে সহকারী রেজিস্ট্রার ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে সর্বনিম্ন বয়স ৩৭ বছর উল্লেখ করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর ছিল। ২৬ জুলাই বিজ্ঞপ্তিতে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের সর্বনিম্ন বয়স ৪২ বছর উল্লেখ করা হয়।
যাঁরা নিয়োগ পেলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ১৩ আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন উপাচার্যের ছেলের শ্যালক নাহিদ গাজীর স্ত্রী ফাহিমা আক্তার মনি। সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শাবিপ্রবির সাবেক শিবিরকর্মী সরোয়ার আহমদকে।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের ভাগনে রহমত আলী ও মামাতো ভাই মোনাল চৌধুরীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রশিবিরের সিলেট মহানগর শাখার সদস্য আলমগীর, দেলোয়ার ও ফারুকী এবং সদর উপজেলা শিবিরের সাবেক নেতা সাফওয়ান আহমদকে।
উপসহকারী প্রকৌশলী পদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শিবিরের সাথি আশরাফ হোসেন এবং সেকশন অফিসার হিসেবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরকর্মী বেলাল উদ্দিন নিয়োগ পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন সেখানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুস সবুর। দ্বিতীয় শ্রেণির এই কর্মকর্তাকে প্রথম শ্রেণির ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অর্থ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজনের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ১ দশমিক ৬০, যা তৃতীয় শ্রেণির সমমর্যাদার। নিয়োগবিধি অনুসারে, কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত কাউকে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যেন নেতিবাচক খবর না হয়, তাই স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও তাঁদের স্বজনদের দেওয়া হয়েছে চাকরির টোপ। ইতিমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন বহু সাংবাদিকের স্বজন। চাকরি পাওয়া তালিকায় আছেন সিলেটে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদীর স্ত্রী নাহিমা সুমী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদের ভাই হুমায়ুন কবির জুয়েল, যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, দৈনিক একাত্তরের কথা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক দিব্য জ্যোতি সী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ দিদার আলম নবেলের ভাই শাহ গুলজার আলম চৌধুরী, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাবেক জেলা প্রতিনিধি গোলজার আহমদ, আরটিভির সিলেট প্রতিনিধি হুসাইন আহমদ সুজাদের ভাই আরিফুর রহমান, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনুর ভাইয়ের মেয়ে, দৈনিক ভোরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের ভাই, দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার সম্পাদকের স্ত্রী। নানা পদে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা।
তবে নিয়োগ-বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছেন উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাঁর দাবি, এসব ব্যাপারে তিনি জড়িত নন। শুধু তাই নয়, তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। কী বিষয়ে বক্তব্য—তা জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
বাদ যায়নি কেউই। নিজের আত্মীয়, আত্মীয়ের আত্মীয়—যাঁকে যে পদে পেরেছেন নিয়োগ দিয়েছেন। এ ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি অংশ জেনে যাওয়ার পর তাঁদের মুখ বন্ধ করা হয় আরেক দফা অনিয়মে। শর্ত শিথিল করে চাকরি দেওয়া হয় একাধিক সাংবাদিক ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে। এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকা।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ১৭৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগে অনিয়ম ঢাকতে এমন কাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
২০১৮ সালে দেশের চতুর্থ হিসেবে যাত্রা শুরু করে সিলেট মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখনো এর নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। শুরু হয়নি পাঠদান কার্যক্রমও। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতা বলে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাঁদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের বসার জায়গাও নেই নগরীর চৌহাট্টায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে। কারণ, কাজ নেই, তাই চেয়ার-টেবিলও কেনা হয়নি।
এসব নিয়োগে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে নেওয়া হয় বিশেষ কৌশল। যেমন, গত ১০ জানুয়ারি ছয়জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে লেখা ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাট্টাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সরাসরি নিজে/প্রতিনিধির মাধ্যমে যোগাযোগ করে যোগ্যতাসংবলিত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।’
চলতি বছর আরও তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এভাবে নানা কৌশল নেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ৫ জুলাই প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে সহকারী রেজিস্ট্রার ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে সর্বনিম্ন বয়স ৩৭ বছর উল্লেখ করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে একজন করে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদের জন্য বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর ছিল। ২৬ জুলাই বিজ্ঞপ্তিতে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের সর্বনিম্ন বয়স ৪২ বছর উল্লেখ করা হয়।
যাঁরা নিয়োগ পেলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ১৩ আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন উপাচার্যের ছেলের শ্যালক নাহিদ গাজীর স্ত্রী ফাহিমা আক্তার মনি। সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শাবিপ্রবির সাবেক শিবিরকর্মী সরোয়ার আহমদকে।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের ভাগনে রহমত আলী ও মামাতো ভাই মোনাল চৌধুরীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছাত্রশিবিরের সিলেট মহানগর শাখার সদস্য আলমগীর, দেলোয়ার ও ফারুকী এবং সদর উপজেলা শিবিরের সাবেক নেতা সাফওয়ান আহমদকে।
উপসহকারী প্রকৌশলী পদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শিবিরের সাথি আশরাফ হোসেন এবং সেকশন অফিসার হিসেবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরকর্মী বেলাল উদ্দিন নিয়োগ পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন সেখানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুস সবুর। দ্বিতীয় শ্রেণির এই কর্মকর্তাকে প্রথম শ্রেণির ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অর্থ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজনের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ১ দশমিক ৬০, যা তৃতীয় শ্রেণির সমমর্যাদার। নিয়োগবিধি অনুসারে, কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত কাউকে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যেন নেতিবাচক খবর না হয়, তাই স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও তাঁদের স্বজনদের দেওয়া হয়েছে চাকরির টোপ। ইতিমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন বহু সাংবাদিকের স্বজন। চাকরি পাওয়া তালিকায় আছেন সিলেটে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদীর স্ত্রী নাহিমা সুমী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদের ভাই হুমায়ুন কবির জুয়েল, যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, দৈনিক একাত্তরের কথা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক দিব্য জ্যোতি সী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ দিদার আলম নবেলের ভাই শাহ গুলজার আলম চৌধুরী, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাবেক জেলা প্রতিনিধি গোলজার আহমদ, আরটিভির সিলেট প্রতিনিধি হুসাইন আহমদ সুজাদের ভাই আরিফুর রহমান, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনুর ভাইয়ের মেয়ে, দৈনিক ভোরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের ভাই, দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার সম্পাদকের স্ত্রী। নানা পদে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা।
তবে নিয়োগ-বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছেন উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাঁর দাবি, এসব ব্যাপারে তিনি জড়িত নন। শুধু তাই নয়, তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। কী বিষয়ে বক্তব্য—তা জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে