মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ১ ডিসেম্বরকে ঘোষণার দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তাঁরা হয়তো আর ১০-১৫ বছর আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন, নাও থাকতে পারেন। তাঁদের আমাদের সম্মান জানাতে হবে।’

গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। ১ ডিসেম্বরকে সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড, জেলা ইউনিট কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের মহানগর ও জেলা কমিটি যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

মেয়র আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে অবিলম্বে ১ ডিসেম্বরকে সরকারিভাবে “মুক্তিযোদ্ধা দিবস” ঘোষণার বিকল্প নেই। এ জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক হতে হবে।’

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণসহ তাঁদের চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরওয়ার কামাল দুলু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ এফ আকবর খান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস।

সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও ভূমিদস্যু সারা দেশে বধ্যভূমির জায়গা দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে বধ্যভূমিগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর কাজ দৃশ্যমান করা জরুরি।

মোজাফফর আহমদ আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করেছিলাম ঠিক সেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ এ জন্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।