আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এ ছাড়া আবাদি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে যাচ্ছে নদে। এক মাসের বেশি সময়ে চলা ভাঙনে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি পুঁতে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে বারবার অনুরোধ করার পরও ভাঙন প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় স্রোতের তীব্রতা কমানোর জন্য নদে বাঁশের খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কতটুকু রক্ষা পাওয়া যাবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না নিলে মোল্লারহাট বাজারসহ জনবসতি রক্ষা করা অসম্ভব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, ‘পাউবো জিও ব্যাগ দিয়ে বাজারের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। ভাঙনের তীব্রতায় বাজারের দক্ষিণ পাশ ধসে পড়ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছেন। একের পর এক বসতভিটা আর আবাদি জমির বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের দক্ষিণ পাশের বেশ কিছু অংশ পাউবোর জিও ব্যাগসহ নদে ধসে পড়েছে। এর দক্ষিণ-পশ্চিমে নদে বিলীন হয়েছে স্থানীয়দের বসতভিটা ও আবাদি জমি। ভাঙনের হুমকিতে আছে আরও কয়েক শ বসতভিটা।
ভাঙন প্রতিরোধে মোল্লারহাট বাজারের উত্তর-পূর্ব দিকে এক কিলোমিটার দূরত্বে ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যে শত শত বাঁশ পোঁতা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাঁদার টাকায় কেনা এসব বাঁশ মিস্ত্রি নিয়োগ করে পোঁতা হচ্ছে।
মিস্ত্রি নুর ইসলাম বলেন, ‘যেভাবে ভাঙন চলছে, তাতে অন্তত এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্য এলাকায় বাঁশ পোঁতা লাগবে। এতে অন্তত তিন হাজার টুকরো বাঁশ পাইলিং করতে হবে। এই কাজে দেড় হাজারেরও বেশি বাঁশ প্রয়োজন। প্রতিদিন আমরা দেড় শ বাঁশ পাইলিং করতে পারি।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মিজানুর রহমান মণ্ডল জানান, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভাঙন চলছে। কয়েক শ পরিবার বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। স্রোত আর ভাঙন ঠেকাতে না পারলে কারোরই নিস্তার নেই। নিরুপায় হয়ে তাঁরা চাঁদা তুলে বাঁশ পোঁতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ গরিব। সবাই টাকা দিতে পারেন না।
স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশ পোঁতায় নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘মোল্লারহাট বাজারসহ স্থানীয়দের বসতি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকায় প্রতিরোধ কাজ করা প্রয়োজন। অল্প অল্প কাজ করে ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। ভাঙন প্রতিরোধে আমরা সাত কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে স্থায়ী প্রতিরোধে কাজ করা সম্ভব হবে।’
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এ ছাড়া আবাদি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে যাচ্ছে নদে। এক মাসের বেশি সময়ে চলা ভাঙনে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি পুঁতে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে বারবার অনুরোধ করার পরও ভাঙন প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় স্রোতের তীব্রতা কমানোর জন্য নদে বাঁশের খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কতটুকু রক্ষা পাওয়া যাবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ না নিলে মোল্লারহাট বাজারসহ জনবসতি রক্ষা করা অসম্ভব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, ‘পাউবো জিও ব্যাগ দিয়ে বাজারের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। ভাঙনের তীব্রতায় বাজারের দক্ষিণ পাশ ধসে পড়ছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছেন। একের পর এক বসতভিটা আর আবাদি জমির বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের দক্ষিণ পাশের বেশ কিছু অংশ পাউবোর জিও ব্যাগসহ নদে ধসে পড়েছে। এর দক্ষিণ-পশ্চিমে নদে বিলীন হয়েছে স্থানীয়দের বসতভিটা ও আবাদি জমি। ভাঙনের হুমকিতে আছে আরও কয়েক শ বসতভিটা।
ভাঙন প্রতিরোধে মোল্লারহাট বাজারের উত্তর-পূর্ব দিকে এক কিলোমিটার দূরত্বে ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যে শত শত বাঁশ পোঁতা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাঁদার টাকায় কেনা এসব বাঁশ মিস্ত্রি নিয়োগ করে পোঁতা হচ্ছে।
মিস্ত্রি নুর ইসলাম বলেন, ‘যেভাবে ভাঙন চলছে, তাতে অন্তত এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্য এলাকায় বাঁশ পোঁতা লাগবে। এতে অন্তত তিন হাজার টুকরো বাঁশ পাইলিং করতে হবে। এই কাজে দেড় হাজারেরও বেশি বাঁশ প্রয়োজন। প্রতিদিন আমরা দেড় শ বাঁশ পাইলিং করতে পারি।’
স্থানীয় সমাজকর্মী মিজানুর রহমান মণ্ডল জানান, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভাঙন চলছে। কয়েক শ পরিবার বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। স্রোত আর ভাঙন ঠেকাতে না পারলে কারোরই নিস্তার নেই। নিরুপায় হয়ে তাঁরা চাঁদা তুলে বাঁশ পোঁতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ গরিব। সবাই টাকা দিতে পারেন না।
স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশ পোঁতায় নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘মোল্লারহাট বাজারসহ স্থানীয়দের বসতি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকায় প্রতিরোধ কাজ করা প্রয়োজন। অল্প অল্প কাজ করে ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। ভাঙন প্রতিরোধে আমরা সাত কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে স্থায়ী প্রতিরোধে কাজ করা সম্ভব হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে