Ajker Patrika

খামারের বিষাক্ত বর্জ্য শিকলবাহা খালে

মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৩: ৩০
খামারের বিষাক্ত বর্জ্য শিকলবাহা খালে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫টির বেশি গরুর খামার। এসব খামারের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে শিকলবাহা খালের পানি। খালের দূষিত পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশও। ফলে এসব খামারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা মাজার গেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে আলী হোসেন মার্কেট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে ৩০-৩৫ টির বেশি গরুর খামার। খালের দুই পাশে অবৈধভাবে খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। বর্জ্যে ও ময়লায় খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগে। ফলে চাষাবাদ করতে পারছেন না কয়েক শতাধিক কৃষক। বর্তমানে খাল দখল কারণে তাতে আটকে থাকায় বর্জ্যে দূষিত হয়ে কালো পানিতে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে গত ২০ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে উপজেলার ২৫ হাজার গরুর খামারের কথা। এর ব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫টি মিনি প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রস্তাবও আলোচনা আসে।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, খামারিদের পশুর বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে খালটি। কৃষকেরা আগে তাঁদের চাষাবাদে খালের পানি ব্যবহার করতেন। এখন সেটি সম্ভব হয় না। তাঁদের দাবি, পশুর বর্জ্যে দূষিত হয়ে খাল-বিল ও জলাশয়কে বিষের খনিতে পরিণত করেছে। এতে চরলক্ষ্যা ও শিকলবাহা ইউনিয়নের কৃষকেরা বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করেই চাষাবাদ করতে হয়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় সর্বাধিক পশু খামার রয়েছে কর্ণফুলী উপজেলায়। উপজেলায় ১ হাজার ২০০ খামার গড়ে উঠেছে।

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলাইমান তালুকদার বলেন, কিছুদিন আগে খালটি পানি চলাচলের জন্য খনন করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু গরুর খামারি পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা ফেলে খালটির পানি নষ্ট করে ফেলছেন। এ বিষয়ে খামারিদের ডাকা হবে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি সরেজমিনে দেখে যারা খাল নষ্ট করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আগামী মিটিংয়ে খামারিদের ব্যবস্থাপনার জন্য মিনি প্ল্যান্ট স্থাপন নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত