মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরটিকে দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী স্থলবন্দর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে কয়েক কোটি টাকার পণ্য যায় ভারতে। একসময় এ রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগই ছিল মাছ। তবে বর্তমানে কমে এসেছে মাছ রপ্তানির পরিমাণ। এর কারণ হিসেবে অবৈধ পথে ভারতে জীবন্ত ও তাজা মাছ পাচারকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৪৯০ টন মাছ রপ্তানি হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪১৩ টনে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাজা ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয় না। অন্যদিকে রপ্তানি করা বরফ দেওয়া মাছের প্রতি ভারতীয় ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। চাহিদা থাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে জীবন্ত ও তাজা মাছ। পুলিশ বলছে, ভারতের মাছ পাচারকারী একটি চক্র ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে টাস্কফোর্সের হাতে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, চিংড়ি ও ইলিশ ব্যতীত সব প্রজাতির মাছই রপ্তানির অনুমতি আছে। প্রতি কেজি মাছের গড় মূল্য ২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার। একসময় এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক মাছ ভারতে রপ্তানি হতো। বর্তমানে সেটি কমে মাত্র ১০-১২ ট্রাক মাছ রপ্তানি হয়।
রপ্তানির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ভৈরব, চাঁদপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙাশ, রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্প, কার্ফু ও পাবদা। তবে রপ্তানি হওয়া এ মাছের সবই বরফ দেওয়া। কারণ, দুই দেশের বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন বাজার ধরতে পারেন না। ফলে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়া তাজা ও জীবন্ত মাছ পুরো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাজার দখল করে আছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইদন মিয়া বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি একটি চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে মাছ পাচার করছে। একটি চক্র ধরাও পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বাড়াতে হলে দ্রুত পাচার বন্ধ করতে হবে। নতুবা মাছ রপ্তানি দিনে দিনে একেবারেই কমে যাবে।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ভারতের মাছ পাচারকারী একটি চক্র ধরা পড়েছে টাস্কফোর্সের কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে তাজা ও জীবন্ত দেশীয় মাছ পাচার করে আসছে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান জানান, যৌথভাবে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে এই চক্রটির তিন সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে তাঁদের নামে। তবে বাকি চক্রটি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরটিকে দেশের শতভাগ রপ্তানিমুখী স্থলবন্দর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে কয়েক কোটি টাকার পণ্য যায় ভারতে। একসময় এ রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগই ছিল মাছ। তবে বর্তমানে কমে এসেছে মাছ রপ্তানির পরিমাণ। এর কারণ হিসেবে অবৈধ পথে ভারতে জীবন্ত ও তাজা মাছ পাচারকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৪৯০ টন মাছ রপ্তানি হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪১৩ টনে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাজা ও জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয় না। অন্যদিকে রপ্তানি করা বরফ দেওয়া মাছের প্রতি ভারতীয় ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। চাহিদা থাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে জীবন্ত ও তাজা মাছ। পুলিশ বলছে, ভারতের মাছ পাচারকারী একটি চক্র ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে টাস্কফোর্সের হাতে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, চিংড়ি ও ইলিশ ব্যতীত সব প্রজাতির মাছই রপ্তানির অনুমতি আছে। প্রতি কেজি মাছের গড় মূল্য ২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার। একসময় এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক মাছ ভারতে রপ্তানি হতো। বর্তমানে সেটি কমে মাত্র ১০-১২ ট্রাক মাছ রপ্তানি হয়।
রপ্তানির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ভৈরব, চাঁদপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙাশ, রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্প, কার্ফু ও পাবদা। তবে রপ্তানি হওয়া এ মাছের সবই বরফ দেওয়া। কারণ, দুই দেশের বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন বাজার ধরতে পারেন না। ফলে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়া তাজা ও জীবন্ত মাছ পুরো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাজার দখল করে আছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইদন মিয়া বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি একটি চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে মাছ পাচার করছে। একটি চক্র ধরাও পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বাড়াতে হলে দ্রুত পাচার বন্ধ করতে হবে। নতুবা মাছ রপ্তানি দিনে দিনে একেবারেই কমে যাবে।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, ভারতের মাছ পাচারকারী একটি চক্র ধরা পড়েছে টাস্কফোর্সের কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে তাজা ও জীবন্ত দেশীয় মাছ পাচার করে আসছে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান জানান, যৌথভাবে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে এই চক্রটির তিন সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে তাঁদের নামে। তবে বাকি চক্রটি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪