ঝালকাঠি প্রতিনিধি
অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে গত ২৪ ডিসেম্বর। ওই সময় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান খেয়ার ট্রলারে করে। নদীবেষ্টিত গুরুত্বপূর্ণ এ জেলায় নৌপথের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নৌ ফায়ার স্টেশন না থাকায় অভিযান-১০ লঞ্চে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে এবং আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
নৌ ফায়ার স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি আরও কমে আসত বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
গভীর রাতে মাঝ নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ আগুন লাগলে বরিশাল থেকে নৌ ফায়ার স্টেশন ইউনিট ও ডুবুরি দল এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এতে করে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। ফলে বাড়তে থাকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি।
১৯৬৩ সালে ঝালকাঠিতে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় শ্রেণির এই ফায়ার স্টেশনটিকে ছয় বছর আগে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে এই জেলার নৌপথে অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত নির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
অভিযান-১০ লঞ্চে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, এত বড় একটি নৌ দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানের প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষের আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। পরে তাঁদের সেই আগ্রহে ভাটা পড়ে। কারণ ভেসে ওঠা লাশ এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাঁদের জানাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার দুই দিন পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে পাঁচটি ভাসমান লাশ নদীতে পাওয়া গেছে সব কটিই এলাকাবাসী প্রথমে দেখতে পান। পরে তাঁরা অভিযানকারী দলকে খবর দেন।
বরগুনার পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামের শাহীনুর ফাতেমা বলেন, ‘দিনের মতো যদি রাতে লাশ উঠে ভেসে যায় তা দেখার কেউ নেই। তাই আমাদের মতো অনেক স্বজনহারা মানুষ এখনো স্বজনের লাশ খুঁজে পাইনি। রাতেও উদ্ধার অভিযান চালানো প্রয়োজন।’
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য মতে, অভিযান–১০ লঞ্চটিতে অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা তো ছিলই না, নির্বাপণেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। সুগন্ধা, বিষখালী ও গাবখান নদীর মোহনায় উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠি অবস্থিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এ নৌপথে বরগুনা, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নৌবন্দরে যাত্রী ও মালবাহী জাহাজ চলাচল করে আসছে। কিন্তু ঝালকাঠির এই তিনটি নদীতে নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়নি। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।
ঝালকাঠি ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার সালাউদ্দিন মিয়া জানান, অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়টি বিবেচনা করে ভবিষ্যতে প্রতিটি নৌযানে দুজন করে ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চের কর্মী এবং যাত্রীরা ভড়কে যান। তাই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থাকলে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘যত দিন একটি লাশ নদীতে থাকবে তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এরপর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অভিযানের ইতি টানা হবে।’
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আরও জানান, নৌ বোট না থাকায় ট্রলার নিয়ে ফায়ার সার্ভিস দল প্রস্তুত রয়েছে। কোথাও কোনো লাশের খবর পেলে তখনই গিয়ে উদ্ধার করা হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, গুরুত্ব বিবেচনা করে ঢাকায় আগামী জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ঝালকাঠি নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন এবং সেটা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হবে।
অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে গত ২৪ ডিসেম্বর। ওই সময় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান খেয়ার ট্রলারে করে। নদীবেষ্টিত গুরুত্বপূর্ণ এ জেলায় নৌপথের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নৌ ফায়ার স্টেশন না থাকায় অভিযান-১০ লঞ্চে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে এবং আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
নৌ ফায়ার স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি আরও কমে আসত বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
গভীর রাতে মাঝ নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ আগুন লাগলে বরিশাল থেকে নৌ ফায়ার স্টেশন ইউনিট ও ডুবুরি দল এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এতে করে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। ফলে বাড়তে থাকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি।
১৯৬৩ সালে ঝালকাঠিতে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় শ্রেণির এই ফায়ার স্টেশনটিকে ছয় বছর আগে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে এই জেলার নৌপথে অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত নির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
অভিযান-১০ লঞ্চে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, এত বড় একটি নৌ দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানের প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষের আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। পরে তাঁদের সেই আগ্রহে ভাটা পড়ে। কারণ ভেসে ওঠা লাশ এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাঁদের জানাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার দুই দিন পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে পাঁচটি ভাসমান লাশ নদীতে পাওয়া গেছে সব কটিই এলাকাবাসী প্রথমে দেখতে পান। পরে তাঁরা অভিযানকারী দলকে খবর দেন।
বরগুনার পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামের শাহীনুর ফাতেমা বলেন, ‘দিনের মতো যদি রাতে লাশ উঠে ভেসে যায় তা দেখার কেউ নেই। তাই আমাদের মতো অনেক স্বজনহারা মানুষ এখনো স্বজনের লাশ খুঁজে পাইনি। রাতেও উদ্ধার অভিযান চালানো প্রয়োজন।’
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য মতে, অভিযান–১০ লঞ্চটিতে অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা তো ছিলই না, নির্বাপণেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। সুগন্ধা, বিষখালী ও গাবখান নদীর মোহনায় উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠি অবস্থিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এ নৌপথে বরগুনা, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নৌবন্দরে যাত্রী ও মালবাহী জাহাজ চলাচল করে আসছে। কিন্তু ঝালকাঠির এই তিনটি নদীতে নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়নি। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।
ঝালকাঠি ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার সালাউদ্দিন মিয়া জানান, অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়টি বিবেচনা করে ভবিষ্যতে প্রতিটি নৌযানে দুজন করে ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চের কর্মী এবং যাত্রীরা ভড়কে যান। তাই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থাকলে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘যত দিন একটি লাশ নদীতে থাকবে তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এরপর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অভিযানের ইতি টানা হবে।’
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আরও জানান, নৌ বোট না থাকায় ট্রলার নিয়ে ফায়ার সার্ভিস দল প্রস্তুত রয়েছে। কোথাও কোনো লাশের খবর পেলে তখনই গিয়ে উদ্ধার করা হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, গুরুত্ব বিবেচনা করে ঢাকায় আগামী জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ঝালকাঠি নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন এবং সেটা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে