নুরুজ্জামান নয়ন
যে কৌশলে খেলে ক্রোয়াটরা
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা সাধারণত অনেক নিচে এসে রক্ষণ সামলায়। তাদের কৌশলটাই হলো প্রতিপক্ষকে নিচে টেনে এনে আক্রমণে শূন্যস্থান তৈরি করে। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে যদি তারা বল পায়, তখন তারা সহজেই পাল্টা আক্রমণ করতে পারে। অনেক নিচে এসে ডিফেন্ডিং করার কারণে প্রতিপক্ষের অধিকাংশ খেলোয়াড় আক্রমণের জন্য ওপরে চলে আসে। তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণ অনেকটা দুর্বল অবস্থায় থাকে। আর আক্রমণের জন্য অনেক জায়গা তৈরি হয়।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কৌশল
নিজেদের চেয়ে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সাধারণত ক্রোয়েশিয়া ‘অল আউট অ্যাটাকে’ যায় না। তাঁরা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে। এবং কাউন্টার অ্যাটাকে এই দলটা খুবই ভয়ংকর। বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চড়াও হয়ে খেলতে গেলে নিজেদের মাঝমাঠ ও রক্ষণে অনেক শূন্যস্থান তৈরি হয়ে যায়। এবং গোল হজম করার শঙ্কা তৈরি হয়। আর এই কারণেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে খুব সাবধানে ক্রোয়েশিয়া বিল্ডআপ ফুটবল খেলে। নিজেদের কাউন্টার অ্যাটাক ও সেট পিসগুলো কাজে লাগাতে পারে তাহলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জেতা খুবই সম্ভব।
ক্রোয়াটদের শক্তি
ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা দলের সবাই মিলে রক্ষণে তাঁরা খুবই ভালো। গোলরক্ষক বাদে ১০ ফুটবলারই নিচে নেমে তারা রক্ষণ সামলায়। অনেক নিচে বক্সের সামনে থেকে তারা রক্ষণব্যূহ তৈরি করে। ক্রোয়াটদের মূল খেলোয়াড় অবশ্যই লুকা মদরিচ। সে বক্স টু বক্স বা আক্রমণ-রক্ষণে সমান পারদর্শী। প্রতিপক্ষ আক্রমণ করলে তাকে নিচে এসে সতীর্থদের সহায়তা করতে দেখা যায়। সুযোগ তৈরি করে আক্রমণও তৈরি করে মদরিচ। আক্রমণ-রক্ষণে তার সমান ভূমিকা।
১২০ মিনিটের ফুটবল
ক্রোয়েশিয়ার ১২০ মিনিট ফুটবল বা তাদের টাইব্রেক কৌশল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে তুলনামূলক কম শক্তির দল কখনোই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে না। একটু নেতিবাচক ফুটবল খেলাটাই স্বাভাবিক।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবও কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই গোল পেয়েছিল। ক্রোয়েশিয়া ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলে কিন্তু আসলে তাদের খেলার ধরন ভিন্ন। বিশ্ব ফুটবলে ৪-৩-৩ ফরমেশন বেশ জনপ্রিয় আক্রমণাত্মক কৌশল। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার খেলার ধরন মূলত কাউন্টার অ্যাটাক ফুটবল।
জমাট রক্ষণ
রক্ষণ ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত এনেছে। গ্রুপ পর্বে মাত্র একটা ম্যাচ তারা পরিষ্কার ব্যবধানে জিতেছে। বাকি ম্যাচগুলো ড্র করে কিংবা টাইব্রেকারে শেষ চারে এসেছে। তাদের ‘থ্রি লাইন’ ডিফেন্সে এক লাইন থেকে আরেক লাইনে খুব কম দূরত্ব থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিপক্ষকে উইং বা প্রান্ত ধরে খেলতে হয়। প্রতি উইংয়ে তিনজন ফুটবলারকে খেলাতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।
দুর্বলতা
কাউন্টার অ্যাটাক যদি ক্রোয়েশিয়ার শক্তির জায়গা হয় একই সঙ্গে এটাই তাদের দুর্বলতা। কাউন্টার টু কাউন্টারে তাদের বিপদ হতে পারে। কাউন্টার অ্যাটাকের সময় যদি বল কেড়ে নিয়ে আর্জেন্টিনা দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করতে পারে তাহলে গোলের একটা ভালো সুযোগ তৈরি হতে পারে। ক্রোয়েশিয়ার অনেক খেলোয়াড় ওপরে চলে যাবে। ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা একটু ধীরগতির হওয়ায় সময়মতো নিজেদের অর্ধে আসতে পারবে না। আর্জেন্টিনার জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ হতে পারে।
চার বছর আগে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে মনে রাখতে হবে এই ক্রোয়েশিয়া চার বছর আগের সেই দল নয়। আর্জেন্টিনাও সেই চার বছর আগের দল নয়।
ক্রোয়েশিয়ার এই পর্যন্ত আসার পেছনে তাদের গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের বড় একটা ভূমিকা আছে। ভাগ্যেরও ছোঁয়া আছে। কিন্তু এই পর্যন্ত তাদের খেলা খুব একটা মন ভরায়নি।
যে কৌশলে খেলে ক্রোয়াটরা
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা সাধারণত অনেক নিচে এসে রক্ষণ সামলায়। তাদের কৌশলটাই হলো প্রতিপক্ষকে নিচে টেনে এনে আক্রমণে শূন্যস্থান তৈরি করে। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে যদি তারা বল পায়, তখন তারা সহজেই পাল্টা আক্রমণ করতে পারে। অনেক নিচে এসে ডিফেন্ডিং করার কারণে প্রতিপক্ষের অধিকাংশ খেলোয়াড় আক্রমণের জন্য ওপরে চলে আসে। তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণ অনেকটা দুর্বল অবস্থায় থাকে। আর আক্রমণের জন্য অনেক জায়গা তৈরি হয়।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কৌশল
নিজেদের চেয়ে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সাধারণত ক্রোয়েশিয়া ‘অল আউট অ্যাটাকে’ যায় না। তাঁরা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে। এবং কাউন্টার অ্যাটাকে এই দলটা খুবই ভয়ংকর। বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চড়াও হয়ে খেলতে গেলে নিজেদের মাঝমাঠ ও রক্ষণে অনেক শূন্যস্থান তৈরি হয়ে যায়। এবং গোল হজম করার শঙ্কা তৈরি হয়। আর এই কারণেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে খুব সাবধানে ক্রোয়েশিয়া বিল্ডআপ ফুটবল খেলে। নিজেদের কাউন্টার অ্যাটাক ও সেট পিসগুলো কাজে লাগাতে পারে তাহলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার জেতা খুবই সম্ভব।
ক্রোয়াটদের শক্তি
ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা দলের সবাই মিলে রক্ষণে তাঁরা খুবই ভালো। গোলরক্ষক বাদে ১০ ফুটবলারই নিচে নেমে তারা রক্ষণ সামলায়। অনেক নিচে বক্সের সামনে থেকে তারা রক্ষণব্যূহ তৈরি করে। ক্রোয়াটদের মূল খেলোয়াড় অবশ্যই লুকা মদরিচ। সে বক্স টু বক্স বা আক্রমণ-রক্ষণে সমান পারদর্শী। প্রতিপক্ষ আক্রমণ করলে তাকে নিচে এসে সতীর্থদের সহায়তা করতে দেখা যায়। সুযোগ তৈরি করে আক্রমণও তৈরি করে মদরিচ। আক্রমণ-রক্ষণে তার সমান ভূমিকা।
১২০ মিনিটের ফুটবল
ক্রোয়েশিয়ার ১২০ মিনিট ফুটবল বা তাদের টাইব্রেক কৌশল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে তুলনামূলক কম শক্তির দল কখনোই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে না। একটু নেতিবাচক ফুটবল খেলাটাই স্বাভাবিক।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবও কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই গোল পেয়েছিল। ক্রোয়েশিয়া ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলে কিন্তু আসলে তাদের খেলার ধরন ভিন্ন। বিশ্ব ফুটবলে ৪-৩-৩ ফরমেশন বেশ জনপ্রিয় আক্রমণাত্মক কৌশল। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার খেলার ধরন মূলত কাউন্টার অ্যাটাক ফুটবল।
জমাট রক্ষণ
রক্ষণ ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত এনেছে। গ্রুপ পর্বে মাত্র একটা ম্যাচ তারা পরিষ্কার ব্যবধানে জিতেছে। বাকি ম্যাচগুলো ড্র করে কিংবা টাইব্রেকারে শেষ চারে এসেছে। তাদের ‘থ্রি লাইন’ ডিফেন্সে এক লাইন থেকে আরেক লাইনে খুব কম দূরত্ব থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিপক্ষকে উইং বা প্রান্ত ধরে খেলতে হয়। প্রতি উইংয়ে তিনজন ফুটবলারকে খেলাতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।
দুর্বলতা
কাউন্টার অ্যাটাক যদি ক্রোয়েশিয়ার শক্তির জায়গা হয় একই সঙ্গে এটাই তাদের দুর্বলতা। কাউন্টার টু কাউন্টারে তাদের বিপদ হতে পারে। কাউন্টার অ্যাটাকের সময় যদি বল কেড়ে নিয়ে আর্জেন্টিনা দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করতে পারে তাহলে গোলের একটা ভালো সুযোগ তৈরি হতে পারে। ক্রোয়েশিয়ার অনেক খেলোয়াড় ওপরে চলে যাবে। ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা একটু ধীরগতির হওয়ায় সময়মতো নিজেদের অর্ধে আসতে পারবে না। আর্জেন্টিনার জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ হতে পারে।
চার বছর আগে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে মনে রাখতে হবে এই ক্রোয়েশিয়া চার বছর আগের সেই দল নয়। আর্জেন্টিনাও সেই চার বছর আগের দল নয়।
ক্রোয়েশিয়ার এই পর্যন্ত আসার পেছনে তাদের গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের বড় একটা ভূমিকা আছে। ভাগ্যেরও ছোঁয়া আছে। কিন্তু এই পর্যন্ত তাদের খেলা খুব একটা মন ভরায়নি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪