ভরসা বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২২, ০৭: ০২
আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ০৮: ৪১

আগৈলঝাড়ায় উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামে উপজেলা পরিষদের রাস্তার পাশের খালের ওপরে একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। নড়বড়ে সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারীসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল খালের ওপর স্থানীয় জনগণ নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩০ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন, যা দুই বছর পর পর নতুন করে নির্মাণ করতে হয়। ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটি তাঁরা নিজেদের উদ্যোগ ও অর্থে সংস্কারও করে আসছেন। দুই বছর পর বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করতে হয়।

এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বড় বাশাইল গ্রামের ব্যবসায়ী জাকির সরদার বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করে আসছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মোল্লা, সাইফুল ইসলাম রব বলেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ এক হয়ে এই বাঁশের সাঁকোটি বছরের পর বছর ধরে নির্মাণ ও সংস্কার করে থাকে। বর্ষার সময় কত যে দুর্ভোগ তা না দেখলে বোঝানো যাবে না।’

স্থানীয় রুবেল সরদার জানান, এলজিইডি বিভাগে স্থানীয় লোকজন লিখিত ও মৌখিকভাবে বারবার বলেও কাজ হচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক নির্মাণের আগে উপজেলা সদর থেকে উত্তর অঞ্চলের লোকজনের একমাত্র যাতায়াত পথ ছিল উপজেলা পরিষদের টিঅ্যান্ডটি অফিসের পাশ দিয়ে যে সড়কটি বড় বাশাইলে সংযুক্ত হয়েছে সেটি। এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সেতু নির্মাণ হলেও একমাত্র পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার সংযোগস্থলে খালের ওপর বড় বাশাইল গ্রামের সেতুটি নির্মাণ হয়নি।

এ ব্যাপারে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেতু করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি, আশা করি খুব শিগগিরই সেখানে একটি সেতু তৈরি করা হবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার জানান, ওই স্থানসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টি সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ঢাকা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত