সম্পাদকীয়
একটা সময় আমাদের দেশের ভ্রমণপিপাসুরা শীতকালকেই ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করতেন। ঈদ-পূজা বা অন্যান্য ছুটি-ছাটায় বড়জোর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় থাকত। আর শীতকালে পর্যটনকেন্দ্রগুলো মুখরিত হতো তাঁদের পদচারণে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন যেকোনো ছুটিতেই সারা বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমান সেখানে। ফলে ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বাৎসরিক আয় যে বেড়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পর্যটকেরা যে তাঁদের ব্যয় অনুয়ায়ী সব সময় সব সুযোগ-সুবিধা বা নিরাপত্তা পান না, সেই অভিযোগও কিন্তু বহুবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি বছরের কয়েক মাস আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে খরা গেছে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, পাহাড়ে অস্থিরতা এবং বন্যার প্রভাবে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে জনপ্রিয় কক্সবাজার, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো। এবার দুর্গাপূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনে এই খরা কেটে গেছে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, পার্বত্য তিন জেলায় এখনো পর্যন্ত ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাপ পড়ছে কক্সবাজারের ওপর এবং সিলেটেও ভিড় করেছেন লক্ষাধিক পর্যটক। নিঃসন্দেহে এটি আনন্দের সংবাদ। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় মানে শুধু তাঁদের অবকাশ যাপন নয়, দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙা হওয়ার আলামতও।
কক্সবাজার ও সিলেট—দুই জেলাতেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে এবার নিরাপত্তার কমতি নেই বলেই মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলেও খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজারের এক দর্শনার্থী। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই সব হোটেল ও রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ নজর দেবে। তবে পর্যটকদেরও সতর্ক থাকা উচিত, বিশেষ করে সমুদ্রসৈকত এলাকায়। ভাটার সময় লাল পতাকা উড়ালে যে সাগরে জলকেলি করা যায় না, সে ব্যাপারটা জেনেই বেড়াতে যেতে হবে। ভাটার সময় সাগরমুখী টান প্রবল থাকায় লাইফ গার্ডকর্মীরা পর্যটকদের গোসলে নামতে নানাভাবে সতর্ক তো করেই থাকেন, তবু তাঁদের কথা ‘থোড়াই কেয়ার’ করে অনেকে সাগরে নেমে যান গোসল করতে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এবারের ছুটিতে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো প্রায় শতভাগ ভাড়া হয়ে গেছে। অতীতের মতো কাউকে থাকার জায়গা না পেয়ে গাড়িতে রাত্রিযাপনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সে যা-ই হোক, সারা বছর যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানকার ভ্রমণকেন্দ্রগুলোতে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে আসেন, সেই তুলনায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংখ্যা যে নেহাত কম, তা কোনো পরিসংখ্যান না করলেও বোঝা যায়।
পর্যটনশিল্পকে প্রসারিত না করে উপায় নেই। তাতে অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্ণ ও দৃষ্টিপাত জরুরি। প্রতিবেশী ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ যদি সারা বছর বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে আমরা কেন আমাদের দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলো দিয়ে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে পারি না? তাদের নিরাপত্তা এবং চাওয়া অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা-সেবার ব্যবস্থা করতে পারলেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব। সম্ভব বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।
একটা সময় আমাদের দেশের ভ্রমণপিপাসুরা শীতকালকেই ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করতেন। ঈদ-পূজা বা অন্যান্য ছুটি-ছাটায় বড়জোর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় থাকত। আর শীতকালে পর্যটনকেন্দ্রগুলো মুখরিত হতো তাঁদের পদচারণে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে এই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন যেকোনো ছুটিতেই সারা বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমান সেখানে। ফলে ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বাৎসরিক আয় যে বেড়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু পর্যটকেরা যে তাঁদের ব্যয় অনুয়ায়ী সব সময় সব সুযোগ-সুবিধা বা নিরাপত্তা পান না, সেই অভিযোগও কিন্তু বহুবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি বছরের কয়েক মাস আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে খরা গেছে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, পাহাড়ে অস্থিরতা এবং বন্যার প্রভাবে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে জনপ্রিয় কক্সবাজার, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো। এবার দুর্গাপূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনে এই খরা কেটে গেছে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, পার্বত্য তিন জেলায় এখনো পর্যন্ত ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাপ পড়ছে কক্সবাজারের ওপর এবং সিলেটেও ভিড় করেছেন লক্ষাধিক পর্যটক। নিঃসন্দেহে এটি আনন্দের সংবাদ। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় মানে শুধু তাঁদের অবকাশ যাপন নয়, দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙা হওয়ার আলামতও।
কক্সবাজার ও সিলেট—দুই জেলাতেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে এবার নিরাপত্তার কমতি নেই বলেই মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলেও খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজারের এক দর্শনার্থী। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই সব হোটেল ও রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ নজর দেবে। তবে পর্যটকদেরও সতর্ক থাকা উচিত, বিশেষ করে সমুদ্রসৈকত এলাকায়। ভাটার সময় লাল পতাকা উড়ালে যে সাগরে জলকেলি করা যায় না, সে ব্যাপারটা জেনেই বেড়াতে যেতে হবে। ভাটার সময় সাগরমুখী টান প্রবল থাকায় লাইফ গার্ডকর্মীরা পর্যটকদের গোসলে নামতে নানাভাবে সতর্ক তো করেই থাকেন, তবু তাঁদের কথা ‘থোড়াই কেয়ার’ করে অনেকে সাগরে নেমে যান গোসল করতে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এবারের ছুটিতে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো প্রায় শতভাগ ভাড়া হয়ে গেছে। অতীতের মতো কাউকে থাকার জায়গা না পেয়ে গাড়িতে রাত্রিযাপনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সে যা-ই হোক, সারা বছর যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানকার ভ্রমণকেন্দ্রগুলোতে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে আসেন, সেই তুলনায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সংখ্যা যে নেহাত কম, তা কোনো পরিসংখ্যান না করলেও বোঝা যায়।
পর্যটনশিল্পকে প্রসারিত না করে উপায় নেই। তাতে অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্ণ ও দৃষ্টিপাত জরুরি। প্রতিবেশী ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ যদি সারা বছর বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে আমরা কেন আমাদের দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলো দিয়ে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে পারি না? তাদের নিরাপত্তা এবং চাওয়া অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা-সেবার ব্যবস্থা করতে পারলেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব। সম্ভব বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে