ভালো ফলনেও আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ২৭

ফলন ভালো পেলেও ভোলার লালমোহনে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। যার মূল কারণ মনে করা হচ্ছে, চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হওয়া ও ফসল পেতে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করাকে। কৃষকদের দাবি সরকার যদি সরাসরি তাঁদের থেকে আখ কেনার উদ্যোগ নিতেন, তাহলে তাঁরা লাভবান হতেন। এতে আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ত কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত বছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হলেও এ বছর চাষ হয়েছে ৩৫ হেক্টরে। চাষাবাদ গত বছরের তুলনায় কমেছে ১০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আখ চাষি জেবল হক সর্দার বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আখ চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে পরিশ্রম অনেক বেশি। আবার আখের খেতে কাজ করার লোকও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। অন্যদিকে এসব আখের ন্যায্যমূল্য পেতে নিজেদের বাজারে গিয়ে কষ্ট করে বিক্রি করতে হয়। পাইকাররা খেতে কিনতে আসলে দাম কম বলে। যাতে করে খরচের তুলনায় তেমন লাভবান হওয়া যায় না। তাই গত বছর প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করলেও এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি।   সরকার যদি সরাসরি আমাদের কাছ থেকে আখ কেনার উদ্যোগ নিত তাহলে আখের সঠিক মূল্য পাওয়া যেত।

লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গ্রামের  চাষি মো. জুয়েল বলেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষরাও আখ চাষ করেছেন। আমিও গত ৬-৭ বছর ধরে চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষে পরিশ্রম অনেক বেশি হওয়ায় গত বছর ১৬ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করলেও এ বছর ৮ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। এতে যা ফলন হয়েছে তাতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব হবে।’

লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ বলেন, আখ চাষে যে সময় লাগে, সে সময়ে কৃষকেরা অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে আখের চেয়েও লাভবান হতে পারে। যার জন্য কৃষকেরা আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।

এ ছাড়াও সরকারিভাবে অন্যান্য ফসলের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হলেও আখের জন্য দেওয়া হয় না। মূলত এসব কারণেই উপজেলাতে আখ চাষ কমে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত