মরিচের ভালো ফলন তবু হতাশ কৃষক

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ২০
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৪

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর মরিচের ভালো ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় তাঁদের সেই স্বপ্নে যেন গুঁড়ে বালি। মরিচ চাষিদের অনেকের চোখে-মুখে এখন হতাশার ছাপ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিনে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খেত থেকে মরিচ তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। মরিচ তুলে কেউ বড় ঝুড়িতে রাখছেন, কেউ বস্তায় ভরছেন। কৃষকের বাড়ির-আঙিনা এখন পাকা মরিচে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া চলছে মরিচ শুকানোর ধুম। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার খেত থেকে ওঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ১০-১৫ হাজার টাকা। বিক্রি করা যাচ্ছে ৮-৯ হাজার টাকা।

চরকাটি হারী এলাকার মরিচ চাষি রুক্কূন মিয়া (৩৮) বলেন, ‘অনেক আশা করে এইবার মরিচের আবাদ করেছিলাম। শুকনা মরিচ ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করছি। এক একর জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এক একর জমি থেকে ৩০০ কেজি মরিচ বিক্রি করেছি। ১২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। বাকি মরিচ বিক্রি করলে হয়তো খরচ উঠবে, কিন্তু লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই।’

চাষিরা জানিয়েছেন, এখন প্রতি কেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। গত বছর প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এর আগের দুই বছরও প্রায় একই দাম ছিল।

উপজেলা সদর বাজারের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী রেনু (৫২) বলেন, বাইরের মরিচ বাজারে এলে দাম আরও কমে যাবে। এতে চাষিরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত মরিচ উৎপন্ন হয়েছে। এখন যে দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে, তাতে চাষিদের লোকসানের আশঙ্কা আছে বলে মনে হয় না। কারণ মরিচের উৎপাদন তো বেশি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত