দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নে বহলবাড়িয়া, চাঁদপুর ও বাঁশআড়া এলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা কৃষিজমি নিয়ে বিস্তীর্ণ তিনটি মাঠ। একসময় এসব জমি ছিল তিন ফসলি। কিন্তু ড্রেনেজ খাল দখল হওয়ার কারণে এসব জমি এখন জলাবদ্ধ বিলে পরিণত হয়েছে। বছরের সাত-আট মাস পানির নিচে থাকে এসব জমি। ফলে তিন ফসলির জমিতে মাত্র একবার চাষাবাদ করা যাচ্ছে।
কৃষি অফিস বলছে, জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে প্রায় ছয় হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, ‘খালজুড়ে কেউ বাড়ি করেছেন, কেউ পুকুর খনন করেছেন। এতে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ফসল হচ্ছে না। আমি খাল খননের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাশাপাশি তিনটি মাঠে জমে রয়েছে হাঁটুপানি। সেখানে কচুরিপানা, কলমিসহ নানা রকম আগাছা জন্মেছে। নিজ নিজ জমিতে কৃষকেরা আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার পাশেই বাঁশের চাঁই, অবৈধ কারেন্ট জাল ও ছিপ দিয়ে মাছ ধরছেন কয়েকজন জেলে। মাঠের মধ্যে কয়েকটি পুকুর কাটা রয়েছে। যে এলাকা দিয়ে খাল ছিল, সেখানে কয়েকটি বসতবাড়িও গড়ে উঠেছে।
বহলবাড়িয়া মাঠে জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত ষাটোর্ধ্ব কৃষক মসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে নিজের ও বর্গা নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি আবাদ করি। আগে খাল ছিল, নদীতে পানি চলে যেত। এখন খাল বন্ধ হয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। এতে কোনোমতে একবার চাষ হয়।’
চাঁদপুর মাঠের আরিফুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আগে ধান, পেঁয়াজ, রসুনের চাষ করতাম, কিন্তু পানির কারণে এখন একটা ফসল হয়। জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে কচুরিপানা-আগাছা জমে থাকে। সেগুলো প্রতিবছর পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হয়। চাষে খরচও বেশি হয়।’ এই জলাবদ্ধতা দূর করতে তিনি খাল খননের দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, তিনটি মাঠে প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সেখানে বর্তমানে মাত্র চার হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূর করা গেলে সেখানে আরও ছয় হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সংকট নিরসনে কৃষক, কৃষি বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করছি। সবাই একমত হলে সরকারের কাছ থেকে বড় বাজেট নিয়ে একটা খাল খনন করা হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নে বহলবাড়িয়া, চাঁদপুর ও বাঁশআড়া এলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা কৃষিজমি নিয়ে বিস্তীর্ণ তিনটি মাঠ। একসময় এসব জমি ছিল তিন ফসলি। কিন্তু ড্রেনেজ খাল দখল হওয়ার কারণে এসব জমি এখন জলাবদ্ধ বিলে পরিণত হয়েছে। বছরের সাত-আট মাস পানির নিচে থাকে এসব জমি। ফলে তিন ফসলির জমিতে মাত্র একবার চাষাবাদ করা যাচ্ছে।
কৃষি অফিস বলছে, জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে প্রায় ছয় হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, ‘খালজুড়ে কেউ বাড়ি করেছেন, কেউ পুকুর খনন করেছেন। এতে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ফসল হচ্ছে না। আমি খাল খননের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাশাপাশি তিনটি মাঠে জমে রয়েছে হাঁটুপানি। সেখানে কচুরিপানা, কলমিসহ নানা রকম আগাছা জন্মেছে। নিজ নিজ জমিতে কৃষকেরা আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার পাশেই বাঁশের চাঁই, অবৈধ কারেন্ট জাল ও ছিপ দিয়ে মাছ ধরছেন কয়েকজন জেলে। মাঠের মধ্যে কয়েকটি পুকুর কাটা রয়েছে। যে এলাকা দিয়ে খাল ছিল, সেখানে কয়েকটি বসতবাড়িও গড়ে উঠেছে।
বহলবাড়িয়া মাঠে জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত ষাটোর্ধ্ব কৃষক মসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে নিজের ও বর্গা নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি আবাদ করি। আগে খাল ছিল, নদীতে পানি চলে যেত। এখন খাল বন্ধ হয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। এতে কোনোমতে একবার চাষ হয়।’
চাঁদপুর মাঠের আরিফুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আগে ধান, পেঁয়াজ, রসুনের চাষ করতাম, কিন্তু পানির কারণে এখন একটা ফসল হয়। জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে কচুরিপানা-আগাছা জমে থাকে। সেগুলো প্রতিবছর পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হয়। চাষে খরচও বেশি হয়।’ এই জলাবদ্ধতা দূর করতে তিনি খাল খননের দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, তিনটি মাঠে প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সেখানে বর্তমানে মাত্র চার হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূর করা গেলে সেখানে আরও ছয় হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সংকট নিরসনে কৃষক, কৃষি বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করছি। সবাই একমত হলে সরকারের কাছ থেকে বড় বাজেট নিয়ে একটা খাল খনন করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে