মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের আব্দুল্লাপুর হাওরে কচুরিপানা, আগাছা, সেচসংকট ও ইঁদুরের আক্রমণে অনেক জমিতে সাত বছর ধরে বোরো চাষ হচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে বোরো উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা। এদিকে পতিত জমির পরিমাণ নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত।
কৃষি অফিস বলছে মাত্র ১৭২ একর। আর স্থানীয় কৃষক ও চেয়ারম্যান বলছেন প্রায় দুই হাজার একর। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া অনাবাদি এসব জমি চাষ করা সম্ভব না। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এসব জমির সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কৃষকেরা এগিয়ে না এলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টি এখন দৃষ্টিগোচর হয়নি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চল কার্যলয়ের।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর, কলিমপুর ও গয়েশপুর হাওরে বর্ষা মৌসুমে ভেসে আসা কচুরিপানায় ঢেকে আছে প্রায় দেড় হাজার একর জমি। কোনো কোনো জমিতে শুকনো কচুরিপানা জ্বলছে আগুন। কোথাও নলখাগড়ার ঝোপ। কোথাও চড়ছে শত শত গরু-মহিষ। যেন গোচারণ ভূমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে ফসল রক্ষাবাঁধ ভেঙে বর্ষার পানির সঙ্গে ভেসে আসে কচুরিপানা। বর্ষার পানি নেমে গেলে আটকে যায় সেসব কচুরিপানা। সে বছর কেউ বাড়তি খরচ করে জমি পরিষ্কার করে বোরো চাষ করেন। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে ফসল পাওয়া যায় অর্ধেক। পরের বছর কচুরিপানা আরও বেড়ে গেলে অনেকেই চাষ বন্ধ করে দেন। কৃষকেরা জানান, কচুরিপানা পরিষ্কারে একরপ্রতি খরচ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেসঙ্গে অপরিষ্কার জমির ইঁদুরের আক্রমণ ও সেচসংকটে উৎপাদন খরচ বেশি হয়। তাই লাভ হয় না। ঘরে অভাব থাকলেও চাষ করেন না জমি। সরকারিভাবে আগাছা পরিষ্কারক যন্ত্র ব্যবহার ও ফসল রক্ষাবাঁধের ভাঙন মেরামত করলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
দক্ষিণ আব্দুল্লাপুরের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন (৪৮) বলেন, ‘আমার তিন একর জমি কচুরিপানার কারণে চাষ করি না। সংসার ও ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ কীভাবে চালাব জানি না। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি সহযোগিতা না পেলে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।’
রুবেল মিয়া বলেন, ‘আমাদের ২০০ একর জমি ৭-৮ বছর ধরে পতিত। পরিবারে কোনো আয় নেই। অন্য ভাইয়েরা বিদেশ থাকায় কোনো রকমে চলছি। সরকারি উদ্যোগ না নিলে পতিত জমিতে চাষ সম্ভব না।’
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষপদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার একর কৃষিজমির আগাছা সরকারি সহায়তা ছাড়া পরিষ্কার করা সম্ভব না। কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত জমি পরিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সেচ ও ফসল রক্ষাবাঁধ সংস্কার না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, কাশ, কলমিলতা ও কচুরিপানার ব্যাপক বংশবিস্তারের কারণে মাঠ জঙ্গলে রূপ নেয়। সেসঙ্গে সেচসংকটে বহু জমি অনাবাদি রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেচ ও আগাছা পরিষ্কারক যন্ত্রের ব্যবস্থা করা গেলে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা যাবে। তবে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। কৃষকেরা এগিয়ে না এলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে শিগগির জমি আবাদ করতে, কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেব।’
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের আব্দুল্লাপুর হাওরে কচুরিপানা, আগাছা, সেচসংকট ও ইঁদুরের আক্রমণে অনেক জমিতে সাত বছর ধরে বোরো চাষ হচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে বোরো উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা। এদিকে পতিত জমির পরিমাণ নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত।
কৃষি অফিস বলছে মাত্র ১৭২ একর। আর স্থানীয় কৃষক ও চেয়ারম্যান বলছেন প্রায় দুই হাজার একর। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া অনাবাদি এসব জমি চাষ করা সম্ভব না। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এসব জমির সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কৃষকেরা এগিয়ে না এলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টি এখন দৃষ্টিগোচর হয়নি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চল কার্যলয়ের।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর, কলিমপুর ও গয়েশপুর হাওরে বর্ষা মৌসুমে ভেসে আসা কচুরিপানায় ঢেকে আছে প্রায় দেড় হাজার একর জমি। কোনো কোনো জমিতে শুকনো কচুরিপানা জ্বলছে আগুন। কোথাও নলখাগড়ার ঝোপ। কোথাও চড়ছে শত শত গরু-মহিষ। যেন গোচারণ ভূমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে ফসল রক্ষাবাঁধ ভেঙে বর্ষার পানির সঙ্গে ভেসে আসে কচুরিপানা। বর্ষার পানি নেমে গেলে আটকে যায় সেসব কচুরিপানা। সে বছর কেউ বাড়তি খরচ করে জমি পরিষ্কার করে বোরো চাষ করেন। কিন্তু ইঁদুরের আক্রমণে ফসল পাওয়া যায় অর্ধেক। পরের বছর কচুরিপানা আরও বেড়ে গেলে অনেকেই চাষ বন্ধ করে দেন। কৃষকেরা জানান, কচুরিপানা পরিষ্কারে একরপ্রতি খরচ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেসঙ্গে অপরিষ্কার জমির ইঁদুরের আক্রমণ ও সেচসংকটে উৎপাদন খরচ বেশি হয়। তাই লাভ হয় না। ঘরে অভাব থাকলেও চাষ করেন না জমি। সরকারিভাবে আগাছা পরিষ্কারক যন্ত্র ব্যবহার ও ফসল রক্ষাবাঁধের ভাঙন মেরামত করলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
দক্ষিণ আব্দুল্লাপুরের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন (৪৮) বলেন, ‘আমার তিন একর জমি কচুরিপানার কারণে চাষ করি না। সংসার ও ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ কীভাবে চালাব জানি না। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি সহযোগিতা না পেলে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।’
রুবেল মিয়া বলেন, ‘আমাদের ২০০ একর জমি ৭-৮ বছর ধরে পতিত। পরিবারে কোনো আয় নেই। অন্য ভাইয়েরা বিদেশ থাকায় কোনো রকমে চলছি। সরকারি উদ্যোগ না নিলে পতিত জমিতে চাষ সম্ভব না।’
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষপদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার একর কৃষিজমির আগাছা সরকারি সহায়তা ছাড়া পরিষ্কার করা সম্ভব না। কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত জমি পরিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সেচ ও ফসল রক্ষাবাঁধ সংস্কার না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, কাশ, কলমিলতা ও কচুরিপানার ব্যাপক বংশবিস্তারের কারণে মাঠ জঙ্গলে রূপ নেয়। সেসঙ্গে সেচসংকটে বহু জমি অনাবাদি রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেচ ও আগাছা পরিষ্কারক যন্ত্রের ব্যবস্থা করা গেলে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা যাবে। তবে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। কৃষকেরা এগিয়ে না এলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে শিগগির জমি আবাদ করতে, কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে