প্রিন্স রাসেল, ঢাকা
এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) আলোচিত হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হুটহাট অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘটনায়। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আকস্মিক অধিনায়ক পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। তবে বিপিএলে এই নেতিবাচক চর্চাটা এতটাই বেশি হয়, যেটি ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকেই।
টুর্নামেন্টের ইতিহাস আর পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে অধিনায়ক বদলের খেলায় বিপিএলের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। গত ১০ বছরে টুর্নামেন্টের আট পর্বে এখনো পর্যন্ত বিপিএল পেয়েছে মোট ৫০ অধিনায়ক। হুটহাট নেতৃত্ব বদলে যাওয়ার এই তালিকায় সবশেষ গত মঙ্গলবার যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আফিফ হোসেন ধ্রুব।
প্রায় শেষ দিকে আসা এই বিপিএলও সবচেয়ে আলোচিত-বিতর্কিত আকস্মিক অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘটনাতেই। টুর্নামেন্টের আগে নেতৃত্ব পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ'কে হঠাৎ চট্টগ্রামের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিষয়টার সুরাহা করে দিলেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যায়নি। মিরাজের শূন্যস্থান পূরণ করা নাঈম ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চার ম্যাচ পরেই। নতুন অধিনায়ক হয়েছেন আফিফ। চট্টগ্রামকে নিয়ে কানাঘুষার রেশ থাকতেই সিলেট সানরাইজার্সে দেখা গেল নতুন অধিনায়ককে। সরে দাঁড়ান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাঁর জায়গায় বিদেশি অধিনায়কে ঝুঁকতে হয়েছে সিলেটকে। সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া সিলেট এখন খেলছে রবি বোপারার নেতৃত্বে। পরিসংখ্যান বলছে বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট—এই তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক বদলের অভ্যাসটাই বেশি!
এ পর্যন্ত ১৪ ক্রিকেটার টস করেছেন চট্টগ্রামের হয়ে। পাঁচটি ভিন্ন নামে বিপিএল খেলা সিলেট উপহার দিয়েছে ১২ অধিনায়ককে। রংপুরকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন ১২ জন। এক ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন বিপিএলে, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাও কম নয়—১২ জন!
দলের নেতৃত্বে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাপট দেখা গেলেও বিপিএলে ছবিটা ভিন্ন। এখন পর্যন্ত আট পর্বে স্থানীয় ২৩ ক্রিকেটারকে টুর্নামেন্টে নেতৃত্বে দেখা গেছে। সেখানে বিদেশি অধিনায়ক ২৭ জন। সর্বোচ্চ ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে সর্বোচ্চ ৮৬টি ম্যাচে টস করার রেকর্ডটা মাশরাফি বিন মুর্তজার দখলে। তিনি অবশ্য এবারের টুর্নামেন্টে ঢাকার হয়ে খেলছেন শুধুই খেলোয়াড় হিসেবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বিপিএলের চেয়ে বেশি অধিনায়ক আছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। বিগ ব্যাশে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে ৫৬ খেলোয়াড়ের। আর অর্থের ঝনঝনানির আইপিএলে অধিনায়কত্ব করেছেন ৫৫ জন। ১৫ বছরে ১৪ আইপিএলে অধিনায়ক সংখ্যাটা সে অর্থে বেশি নয়। আর টুর্নামেন্টটিতে দলের সংখ্যাও অন্যদের তুলনায় বেশি।
বিপিএলের বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, স্বত্বাধিকারী ও বিসিবি কর্মকর্তা—বেশির ভাগই একমত, ঘন ঘন অধিনায়ক পরিবর্তনের অনেক নেতিবাচক দিক আছে। দলের স্থিতিশীলতা তো কমেই, পারফরম্যান্সেও এটির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেশির ভাগ সময়ই অধিনায়কত্ব পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে অনেক বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালে বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ঘটনাও অধিনায়ক পরিবর্তনের মাধ্যমে। যে দলের অধিনায়কত্ব যত কম বদল হয়, তাদের সাফল্যের হারও বেশি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আইপিএলের দুই ‘জায়ান্ট’ চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এমনকি বিপিএলের সব পর্বে খেলে সবচেয়ে কম সাত অধিনায়কের ঢাকা সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিপিএলে কেন ঘন ঘন নেতৃত্ব বদলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে? সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রথমত, নিয়মিত অধিনায়কের চোট। আরেকটি হচ্ছে বিষম চাপ। অনেক অধিনায়ক চাপে ভেঙে পড়েন, ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। দলের ব্যর্থতায় অধিনায়কের দিকেই যে তিরটা বেশি যায়। একাধিক টিম ম্যানেজমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিনায়কদেরও নিজস্ব কিছু পছন্দ থাকে। সেটা অনেক সময় ম্যানেজমেন্টের ভাবনার বিপরীত। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি কিংবা মতের অমিলের কারণেও অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আসে। গড়াপেটার মতো ঘৃণ্য ও বিতর্কিত বিষয়ের কারণেও অধিনায়কত্ব বলি দেওয়ার ঘটনা বিরল নয়।
যে কারণেই হোক, ঘন ঘন অধিনায়ক বদলের ঘটনায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডকে। বিসিবিও এখানে ব্যতিক্রম নয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গতকাল ফোন দেওয়া হয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিককে। জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে থাকা এক নিকটাত্মীয়কে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘অধিনায়কত্বের বিষয়টা হচ্ছে স্বত্বাধিকারী, টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়দের ব্যাপার। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ সীমিত। তবে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লে এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আর দেখুন, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ও জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনের চিন্তাভাবনা সাধারণত এক হয় না। তারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) চিন্তা করে বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে। নির্ধারিত লক্ষ্য যখন তারা অর্জন করতে পারে না, তখন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে টুর্নামেন্ট চলার সময় এ ধরনের পরিবর্তন সবাইকে অস্বস্তিতে ফেলে।’
এ ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতি বিসিবির কী বার্তা থাকে, সেটিও পরিষ্কার করেছেন নিজাম উদ্দিন, ‘যখন কোনো দলে অস্বাভাবিকতা চলে এসে, তখন তারা বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে থাকে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা থাকে। এখানে যে বিষয়গুলোর দিকে আঙুল তোলে (সংবাদমাধ্যম), এসব ক্ষেত্রে আমাদের দুর্নীতি দমন ইউনিটকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে, সতর্ক ও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সবই আমাদের রাডারের মধ্যেই থাকে। কিছু অস্বস্তি ঘটনা যেমন ঘটেছে, আবার কিছু ঘটনা অতিরঞ্জিত করেও দেখানো হয়। জল্পনা-কল্পনার ওপর কিন্তু খবর হয় না।’
এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) আলোচিত হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হুটহাট অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘটনায়। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আকস্মিক অধিনায়ক পরিবর্তন নতুন কিছু নয়। তবে বিপিএলে এই নেতিবাচক চর্চাটা এতটাই বেশি হয়, যেটি ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকেই।
টুর্নামেন্টের ইতিহাস আর পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে অধিনায়ক বদলের খেলায় বিপিএলের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। গত ১০ বছরে টুর্নামেন্টের আট পর্বে এখনো পর্যন্ত বিপিএল পেয়েছে মোট ৫০ অধিনায়ক। হুটহাট নেতৃত্ব বদলে যাওয়ার এই তালিকায় সবশেষ গত মঙ্গলবার যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আফিফ হোসেন ধ্রুব।
প্রায় শেষ দিকে আসা এই বিপিএলও সবচেয়ে আলোচিত-বিতর্কিত আকস্মিক অধিনায়ক পরিবর্তনের ঘটনাতেই। টুর্নামেন্টের আগে নেতৃত্ব পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ'কে হঠাৎ চট্টগ্রামের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিষয়টার সুরাহা করে দিলেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যায়নি। মিরাজের শূন্যস্থান পূরণ করা নাঈম ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চার ম্যাচ পরেই। নতুন অধিনায়ক হয়েছেন আফিফ। চট্টগ্রামকে নিয়ে কানাঘুষার রেশ থাকতেই সিলেট সানরাইজার্সে দেখা গেল নতুন অধিনায়ককে। সরে দাঁড়ান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাঁর জায়গায় বিদেশি অধিনায়কে ঝুঁকতে হয়েছে সিলেটকে। সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া সিলেট এখন খেলছে রবি বোপারার নেতৃত্বে। পরিসংখ্যান বলছে বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট—এই তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক বদলের অভ্যাসটাই বেশি!
এ পর্যন্ত ১৪ ক্রিকেটার টস করেছেন চট্টগ্রামের হয়ে। পাঁচটি ভিন্ন নামে বিপিএল খেলা সিলেট উপহার দিয়েছে ১২ অধিনায়ককে। রংপুরকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন ১২ জন। এক ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন বিপিএলে, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাও কম নয়—১২ জন!
দলের নেতৃত্বে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাপট দেখা গেলেও বিপিএলে ছবিটা ভিন্ন। এখন পর্যন্ত আট পর্বে স্থানীয় ২৩ ক্রিকেটারকে টুর্নামেন্টে নেতৃত্বে দেখা গেছে। সেখানে বিদেশি অধিনায়ক ২৭ জন। সর্বোচ্চ ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে সর্বোচ্চ ৮৬টি ম্যাচে টস করার রেকর্ডটা মাশরাফি বিন মুর্তজার দখলে। তিনি অবশ্য এবারের টুর্নামেন্টে ঢাকার হয়ে খেলছেন শুধুই খেলোয়াড় হিসেবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বিপিএলের চেয়ে বেশি অধিনায়ক আছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। বিগ ব্যাশে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে ৫৬ খেলোয়াড়ের। আর অর্থের ঝনঝনানির আইপিএলে অধিনায়কত্ব করেছেন ৫৫ জন। ১৫ বছরে ১৪ আইপিএলে অধিনায়ক সংখ্যাটা সে অর্থে বেশি নয়। আর টুর্নামেন্টটিতে দলের সংখ্যাও অন্যদের তুলনায় বেশি।
বিপিএলের বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, স্বত্বাধিকারী ও বিসিবি কর্মকর্তা—বেশির ভাগই একমত, ঘন ঘন অধিনায়ক পরিবর্তনের অনেক নেতিবাচক দিক আছে। দলের স্থিতিশীলতা তো কমেই, পারফরম্যান্সেও এটির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেশির ভাগ সময়ই অধিনায়কত্ব পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে অনেক বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালে বিপিএলে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ঘটনাও অধিনায়ক পরিবর্তনের মাধ্যমে। যে দলের অধিনায়কত্ব যত কম বদল হয়, তাদের সাফল্যের হারও বেশি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আইপিএলের দুই ‘জায়ান্ট’ চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এমনকি বিপিএলের সব পর্বে খেলে সবচেয়ে কম সাত অধিনায়কের ঢাকা সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিপিএলে কেন ঘন ঘন নেতৃত্ব বদলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে? সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রথমত, নিয়মিত অধিনায়কের চোট। আরেকটি হচ্ছে বিষম চাপ। অনেক অধিনায়ক চাপে ভেঙে পড়েন, ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। দলের ব্যর্থতায় অধিনায়কের দিকেই যে তিরটা বেশি যায়। একাধিক টিম ম্যানেজমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিনায়কদেরও নিজস্ব কিছু পছন্দ থাকে। সেটা অনেক সময় ম্যানেজমেন্টের ভাবনার বিপরীত। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি কিংবা মতের অমিলের কারণেও অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আসে। গড়াপেটার মতো ঘৃণ্য ও বিতর্কিত বিষয়ের কারণেও অধিনায়কত্ব বলি দেওয়ার ঘটনা বিরল নয়।
যে কারণেই হোক, ঘন ঘন অধিনায়ক বদলের ঘটনায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডকে। বিসিবিও এখানে ব্যতিক্রম নয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গতকাল ফোন দেওয়া হয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিককে। জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে থাকা এক নিকটাত্মীয়কে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘অধিনায়কত্বের বিষয়টা হচ্ছে স্বত্বাধিকারী, টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়দের ব্যাপার। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ সীমিত। তবে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়লে এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আর দেখুন, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ও জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনের চিন্তাভাবনা সাধারণত এক হয় না। তারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) চিন্তা করে বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে। নির্ধারিত লক্ষ্য যখন তারা অর্জন করতে পারে না, তখন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে টুর্নামেন্ট চলার সময় এ ধরনের পরিবর্তন সবাইকে অস্বস্তিতে ফেলে।’
এ ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতি বিসিবির কী বার্তা থাকে, সেটিও পরিষ্কার করেছেন নিজাম উদ্দিন, ‘যখন কোনো দলে অস্বাভাবিকতা চলে এসে, তখন তারা বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে থাকে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা থাকে। এখানে যে বিষয়গুলোর দিকে আঙুল তোলে (সংবাদমাধ্যম), এসব ক্ষেত্রে আমাদের দুর্নীতি দমন ইউনিটকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে, সতর্ক ও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সবই আমাদের রাডারের মধ্যেই থাকে। কিছু অস্বস্তি ঘটনা যেমন ঘটেছে, আবার কিছু ঘটনা অতিরঞ্জিত করেও দেখানো হয়। জল্পনা-কল্পনার ওপর কিন্তু খবর হয় না।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে