শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হলেও থানা হেফাজতে আসামি নির্যাতন থামছে না। এবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেপ্তার ১৫ আসামিকে থানা হেফাজতে রেখে হেনস্তার কথা উঠে এসেছে খোদ ডিএমপির ইন্টারনাল ওভারসাইট শাখার তথ্যে। এই আসামিদের কারও নামে ওয়ারেন্ট ছিল, কেউ নতুন মামলায় আটক হয়েছেন, আবার কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে এনেছিল পুলিশ।
ইন্টারনাল ওভারসাইট-পিআইও হলো পুলিশের দুর্নীতি রোধে গঠিত একটি শাখা, যেটি পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করে। এই শাখার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত জুন মাসে ডিএমপির ৮ বিভাগে ৫০টি থানায় ৫ হাজার ৯৫০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েকজন আসামিকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৫ আসামিকে থানাহাজতে হেনস্তার তথ্য মিলেছে।
অভিযোগ উঠেছে, হেনস্তার শিকার ১৫ আসামির মধ্যে ৭ জন ডিএমপির রমনা বিভাগে, ৩ জন লালবাগ বিভাগে, একজন তেজগাঁও এবং একজন গুলশান বিভাগে থানা হেফাজতে ছিলেন।
যদিও মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন মনে করেন, পুলিশের নিজেদের অভ্যন্তরীণ শাখার তথ্যে নির্যাতনের যে সংখ্যা এসেছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কথা। অনেক সময়ই ভুক্তভোগীর স্বজনেরা নির্যাতন বা হেনস্তার বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। কারণ, পুলিশ এখনো জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।
অভিযোগ ওঠা এসব থানা বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইন্টারনাল ওভারসাইটে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে জুন মাসের হিসাবে আসা এই ১৫ আসামির হেনস্তার বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।’
এর আগে জুন মাসেই উত্তরায় এক হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আলাল দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আলাল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন ১০ দিন। পরে অসুস্থ হলে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ গ্রহণের সময় তাঁকে হাত ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন।
ডিএমপির অধীন একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাউকে আটক করা হলে অনেক সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে আইনের নিয়ম অনুযায়ী, তার অধিকার, মানবাধিকারের সবকিছু অনুসরণ করেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সব সময় অভিযোগ সঠিক হয় না।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্র যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা যত দিন স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ না করবেন, তত দিন এর কোনো সমাধান হবে না। পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে এই শাখাগুলোকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে একসময় পরিবর্তন আসবে।
জিডি ও মামলার কাজে প্রশংসিত পুলিশ থানা হেফাজতে পুলিশের এই হেনস্তার বিষয়টি বাদ দিলে জুন মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজের কথা উঠে এসেছে পুলিশের ইন্টারনাল ওভারসাইট শাখার তথ্যে। এতে বলা হয়, জুন মাসে ডিএমপির ৫০ থানায় মোট ১৬ হাজার ৬৪৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। জিডির পর সেবা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৮ দশমিক ৯১ শতাংশ থানা-পুলিশের ব্যবহার ও পেশাদারত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ মানুষ। সংখ্যা হিসেবে যা ১৮২ জন। যাঁরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, তাদের কেউ কেউ খারাপ ব্যবহার ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেন।
একইভাবে মামলা করতে এসেছিলেন ২ হাজার ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ৯৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ থানা-পুলিশের ব্যবহার ও মামলার কাজে পুলিশের সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হলেও থানা হেফাজতে আসামি নির্যাতন থামছে না। এবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেপ্তার ১৫ আসামিকে থানা হেফাজতে রেখে হেনস্তার কথা উঠে এসেছে খোদ ডিএমপির ইন্টারনাল ওভারসাইট শাখার তথ্যে। এই আসামিদের কারও নামে ওয়ারেন্ট ছিল, কেউ নতুন মামলায় আটক হয়েছেন, আবার কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে এনেছিল পুলিশ।
ইন্টারনাল ওভারসাইট-পিআইও হলো পুলিশের দুর্নীতি রোধে গঠিত একটি শাখা, যেটি পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি করে। এই শাখার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত জুন মাসে ডিএমপির ৮ বিভাগে ৫০টি থানায় ৫ হাজার ৯৫০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েকজন আসামিকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৫ আসামিকে থানাহাজতে হেনস্তার তথ্য মিলেছে।
অভিযোগ উঠেছে, হেনস্তার শিকার ১৫ আসামির মধ্যে ৭ জন ডিএমপির রমনা বিভাগে, ৩ জন লালবাগ বিভাগে, একজন তেজগাঁও এবং একজন গুলশান বিভাগে থানা হেফাজতে ছিলেন।
যদিও মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন মনে করেন, পুলিশের নিজেদের অভ্যন্তরীণ শাখার তথ্যে নির্যাতনের যে সংখ্যা এসেছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কথা। অনেক সময়ই ভুক্তভোগীর স্বজনেরা নির্যাতন বা হেনস্তার বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। কারণ, পুলিশ এখনো জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।
অভিযোগ ওঠা এসব থানা বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইন্টারনাল ওভারসাইটে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে জুন মাসের হিসাবে আসা এই ১৫ আসামির হেনস্তার বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।’
এর আগে জুন মাসেই উত্তরায় এক হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আলাল দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আলাল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন ১০ দিন। পরে অসুস্থ হলে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ গ্রহণের সময় তাঁকে হাত ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন।
ডিএমপির অধীন একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাউকে আটক করা হলে অনেক সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে আইনের নিয়ম অনুযায়ী, তার অধিকার, মানবাধিকারের সবকিছু অনুসরণ করেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সব সময় অভিযোগ সঠিক হয় না।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্র যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা যত দিন স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ না করবেন, তত দিন এর কোনো সমাধান হবে না। পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে এই শাখাগুলোকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে একসময় পরিবর্তন আসবে।
জিডি ও মামলার কাজে প্রশংসিত পুলিশ থানা হেফাজতে পুলিশের এই হেনস্তার বিষয়টি বাদ দিলে জুন মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজের কথা উঠে এসেছে পুলিশের ইন্টারনাল ওভারসাইট শাখার তথ্যে। এতে বলা হয়, জুন মাসে ডিএমপির ৫০ থানায় মোট ১৬ হাজার ৬৪৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। জিডির পর সেবা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৮ দশমিক ৯১ শতাংশ থানা-পুলিশের ব্যবহার ও পেশাদারত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ মানুষ। সংখ্যা হিসেবে যা ১৮২ জন। যাঁরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, তাদের কেউ কেউ খারাপ ব্যবহার ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেন।
একইভাবে মামলা করতে এসেছিলেন ২ হাজার ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ৯৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ থানা-পুলিশের ব্যবহার ও মামলার কাজে পুলিশের সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে