নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পে কার্ড (ডেবিট কার্ড) চালু করতে যাচ্ছে। দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি এই কার্ডে ভারতে গিয়ে রুপির ব্যবহারও করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই কার্ড চালু হলে ডলার বাঁচবে। কারণ, বাংলাদেশিরা তখন ভারতে গিয়ে ডলার নয়, সরাসরি রুপি ব্যবহার করবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কার্ড চালু হলে বাংলাদেশি-দের ভারত ভ্রমণ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। কাজেই রুপির ব্যবহার বেড়ে গেলে তা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
গত রোববার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পে কার্ড আসছে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই কার্ড চালু হবে। বাংলাদেশেও এই কার্ড দিয়ে লেন-দেন করা যাবে। আবার কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সেই পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে মুদ্রার বিনিময়ের কারণে যে ক্ষতি হতো, সেটা আর হবে না। তাতে দেখা গেছে, ৬ শতাংশের মতো অপচয় কমবে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বেড়ে গেলে রুপির ব্যবহার বেড়ে যাবে; কিন্তু এত রুপি বাংলাদেশে নেই। কাজেই ব্যাংকগুলো ডলার দিয়ে রুপি কিনবে। নতুবা ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় ডলারের পরিবর্তে রুপিতে নেবে। এতে সরাসরি ডলার আসা বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ডলার। আর ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটিরও বেশি। এদিকে বাংলাদেশিরা প্রতিবেশী দেশ ভারত সফরে একক দেশ হিসেবে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি খরচ করেন। বস্তুত দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের মোট খরচের ৪ ভাগের ১ ভাগ হয় ভারতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। যদি রপ্তানি আয়ের অর্থ ডলারের পরিবর্তে রুপিতে নেওয়া হয়, তা হলে ২ বিলিয়ন ডলার কম আয় হবে। মূল কথা, যত বেশি রুপি আসবে, ডলারে আয় তত কমবে।এর কোনো বিকল্প থাকবে না ব্যাংকগুলোর। ডলারে আয় কমলে রিজার্ভেও চাপ পড়বে।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সরওয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ভারতে রুপি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রুপিপ্রাপ্তি সহজ হচ্ছে। ডলারের বিপরীতে রুপি পেতে যে চার্জ দিতে হতো, তা দূর হচ্ছে। বাংলাদেশিদের ভারত গমন বেড়ে যাওয়া বা রুপির খরচ অধিক বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আগাম বলা কঠিন। তবে রপ্তানি আয়ে ডলারের পরিবর্তে রুপির জোগান হবে, তা নিশ্চিত। এ ছাড়া ভারতের ব্যবসায়ীরা রুপিতে আগ্রহ দেখানোর কথা।
জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত বাংলাদেশিরা ভারতে বেশি যান। আর কার্ডে রুপি সহজ হওয়ায় ভারত গমন বেড়ে গেলে তখন রুপির সরবরাহ কঠিন হতে পারে। চাপ বাড়লে ব্যাংকগুলো ডলার দিয়ে রুপি কিনে চাহিদা মেটাবে, অথবা রপ্তানি আয়ে ডলারের পরিবর্তে রুপি নেবে ব্যাংকগুলো। তবে অনেক কিছু এখনো পরিষ্কার নয়, কার্ডটি চালু হলে বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পে কার্ড (ডেবিট কার্ড) চালু করতে যাচ্ছে। দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি এই কার্ডে ভারতে গিয়ে রুপির ব্যবহারও করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই কার্ড চালু হলে ডলার বাঁচবে। কারণ, বাংলাদেশিরা তখন ভারতে গিয়ে ডলার নয়, সরাসরি রুপি ব্যবহার করবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কার্ড চালু হলে বাংলাদেশি-দের ভারত ভ্রমণ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। কাজেই রুপির ব্যবহার বেড়ে গেলে তা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
গত রোববার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পে কার্ড আসছে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই কার্ড চালু হবে। বাংলাদেশেও এই কার্ড দিয়ে লেন-দেন করা যাবে। আবার কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সেই পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে মুদ্রার বিনিময়ের কারণে যে ক্ষতি হতো, সেটা আর হবে না। তাতে দেখা গেছে, ৬ শতাংশের মতো অপচয় কমবে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বেড়ে গেলে রুপির ব্যবহার বেড়ে যাবে; কিন্তু এত রুপি বাংলাদেশে নেই। কাজেই ব্যাংকগুলো ডলার দিয়ে রুপি কিনবে। নতুবা ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় ডলারের পরিবর্তে রুপিতে নেবে। এতে সরাসরি ডলার আসা বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ডলার। আর ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটিরও বেশি। এদিকে বাংলাদেশিরা প্রতিবেশী দেশ ভারত সফরে একক দেশ হিসেবে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি খরচ করেন। বস্তুত দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের মোট খরচের ৪ ভাগের ১ ভাগ হয় ভারতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক। যদি রপ্তানি আয়ের অর্থ ডলারের পরিবর্তে রুপিতে নেওয়া হয়, তা হলে ২ বিলিয়ন ডলার কম আয় হবে। মূল কথা, যত বেশি রুপি আসবে, ডলারে আয় তত কমবে।এর কোনো বিকল্প থাকবে না ব্যাংকগুলোর। ডলারে আয় কমলে রিজার্ভেও চাপ পড়বে।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সরওয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ভারতে রুপি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রুপিপ্রাপ্তি সহজ হচ্ছে। ডলারের বিপরীতে রুপি পেতে যে চার্জ দিতে হতো, তা দূর হচ্ছে। বাংলাদেশিদের ভারত গমন বেড়ে যাওয়া বা রুপির খরচ অধিক বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আগাম বলা কঠিন। তবে রপ্তানি আয়ে ডলারের পরিবর্তে রুপির জোগান হবে, তা নিশ্চিত। এ ছাড়া ভারতের ব্যবসায়ীরা রুপিতে আগ্রহ দেখানোর কথা।
জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত বাংলাদেশিরা ভারতে বেশি যান। আর কার্ডে রুপি সহজ হওয়ায় ভারত গমন বেড়ে গেলে তখন রুপির সরবরাহ কঠিন হতে পারে। চাপ বাড়লে ব্যাংকগুলো ডলার দিয়ে রুপি কিনে চাহিদা মেটাবে, অথবা রপ্তানি আয়ে ডলারের পরিবর্তে রুপি নেবে ব্যাংকগুলো। তবে অনেক কিছু এখনো পরিষ্কার নয়, কার্ডটি চালু হলে বোঝা যাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪