এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
কলকারখানা, যানবাহন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দিন দিন পরিবেশদূষণ বেড়েই চলেছে। পরিবেশদূষণ নিয়ে প্রতিবছর যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়ে, সে তুলনায় প্রতিকার চেয়ে মামলা হয় খুবই কম। এ জন্য ভুক্তভোগীর সরাসরি মামলা করার এখতিয়ার না থাকাকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আইন সংশোধন করে অন্যান্য অভিযোগের মতো পরিবেশদূষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে সরাসরি মামলা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি আইনজ্ঞদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ৪৪৪টি এবং চিঠির মাধ্যমে ১১৫টি অভিযোগ এসেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে চলতি বছরের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ২৪৮টি অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৯৭টি নিষ্পত্তি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সব মিলিয়ে ২১ মাসে ৮০৭টি অভিযোগ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়। এর বাইরে জেলা অফিসগুলোয় কতসংখ্যক অভিযোগ এসেছে, তার কোনো সঠিক তথ্য নেই ।
অন্যদিকে পরিবেশদূষণের ঘটনায় ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্চ আদালতে ২ হাজার ১৭৫টি রিট দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৮০১টি রিট নিষ্পত্তি হয়েছে। এখনো বিচারাধীন রয়েছে ১ হাজার ৩৭৪টি। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার আদালতে মাত্র ১১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগে আরও ৪টি পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সেসব আদালতে মামলার সংখ্যা ঢাকার চেয়ে কম। এ ছাড়া পরিবেশ আপিল আদালত রয়েছে একটি।
অভিযোগের তুলনায় মামলা এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরাসরি মামলা করতে আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মোবাইল কোর্ট করে পাল্টা বিচার বিভাগ দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা কেবল জরিমানা করে। আর জরিমানার ভয় দেখিয়ে আপসও হয়ে যায়। মামলার মাধ্যমে সাজা না হলে পরিবেশবিধ্বংসী কাজ বন্ধ হবে না।
জানা যায়, পরিবেশদূষণ রোধে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৭২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়, যাতে জরিমানা আদায় করা হয় ২০ কোটি ২১ লাখ ৪ হাজার টাকা। আর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৮৭৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে জরিমানা আদায় করা হয় ২৩ কোটি ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকা। এ সময় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
আইন অনুযায়ী পরিবেশদূষণ-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রথমে অভিযোগ দিতে হয়। অধিদপ্তর ৬০ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারেন। কিন্তু অধিদপ্তরে অভিযোগ না করে সরাসরি আবেদন করলে তা গ্রহণ করতে পারেন না আদালত। এ জন্য অনেকেই মামলা করতে আগ্রহী হয় না। আর পরিবেশ অধিদপ্তর পলিথিন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও নদীদূষণের ঘটনায় তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না সংস্থাটিকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবেশ আদালত আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আইন সংশোধন করতে সময় লাগে। আমরা কাজ করছি।’
নদীর পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ
রিভার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) বাংলাদেশের নদীর গুণগত মান বিশ্লেষণ করে গত ১৪ মার্চ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে ৫৬টি নদীতে অতিমাত্রায় দূষণ খুঁজে পাওয়ার কথা জানানো হয়। আর দূষণের কারণ হিসেবে বলা হয়, যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহার, নদীতীরবর্তী শিল্পকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা এবং সারা দেশের পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নদীকে বেছে নেওয়া।জানতে চাইলে আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫৬টি নদীর পর আরও বেশ কিছু নদীর পানিতে মারাত্মক দূষণ পেয়েছি আমরা। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং নদী রক্ষা কমিশন তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না। তারা দায়িত্ব পালন করলে এভাবে নদী দূষণ হওয়ার কথা নয়।’
কলকারখানা, যানবাহন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দিন দিন পরিবেশদূষণ বেড়েই চলেছে। পরিবেশদূষণ নিয়ে প্রতিবছর যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়ে, সে তুলনায় প্রতিকার চেয়ে মামলা হয় খুবই কম। এ জন্য ভুক্তভোগীর সরাসরি মামলা করার এখতিয়ার না থাকাকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আইন সংশোধন করে অন্যান্য অভিযোগের মতো পরিবেশদূষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে সরাসরি মামলা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি আইনজ্ঞদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ৪৪৪টি এবং চিঠির মাধ্যমে ১১৫টি অভিযোগ এসেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এ ছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে চলতি বছরের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ২৪৮টি অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৯৭টি নিষ্পত্তি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সব মিলিয়ে ২১ মাসে ৮০৭টি অভিযোগ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়। এর বাইরে জেলা অফিসগুলোয় কতসংখ্যক অভিযোগ এসেছে, তার কোনো সঠিক তথ্য নেই ।
অন্যদিকে পরিবেশদূষণের ঘটনায় ২০০২ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্চ আদালতে ২ হাজার ১৭৫টি রিট দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৮০১টি রিট নিষ্পত্তি হয়েছে। এখনো বিচারাধীন রয়েছে ১ হাজার ৩৭৪টি। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার আদালতে মাত্র ১১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগে আরও ৪টি পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সেসব আদালতে মামলার সংখ্যা ঢাকার চেয়ে কম। এ ছাড়া পরিবেশ আপিল আদালত রয়েছে একটি।
অভিযোগের তুলনায় মামলা এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরাসরি মামলা করতে আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মোবাইল কোর্ট করে পাল্টা বিচার বিভাগ দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা কেবল জরিমানা করে। আর জরিমানার ভয় দেখিয়ে আপসও হয়ে যায়। মামলার মাধ্যমে সাজা না হলে পরিবেশবিধ্বংসী কাজ বন্ধ হবে না।
জানা যায়, পরিবেশদূষণ রোধে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৭২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়, যাতে জরিমানা আদায় করা হয় ২০ কোটি ২১ লাখ ৪ হাজার টাকা। আর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৮৭৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে জরিমানা আদায় করা হয় ২৩ কোটি ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকা। এ সময় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
আইন অনুযায়ী পরিবেশদূষণ-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রথমে অভিযোগ দিতে হয়। অধিদপ্তর ৬০ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারেন। কিন্তু অধিদপ্তরে অভিযোগ না করে সরাসরি আবেদন করলে তা গ্রহণ করতে পারেন না আদালত। এ জন্য অনেকেই মামলা করতে আগ্রহী হয় না। আর পরিবেশ অধিদপ্তর পলিথিন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও নদীদূষণের ঘটনায় তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না সংস্থাটিকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবেশ আদালত আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আইন সংশোধন করতে সময় লাগে। আমরা কাজ করছি।’
নদীর পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ
রিভার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) বাংলাদেশের নদীর গুণগত মান বিশ্লেষণ করে গত ১৪ মার্চ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে ৫৬টি নদীতে অতিমাত্রায় দূষণ খুঁজে পাওয়ার কথা জানানো হয়। আর দূষণের কারণ হিসেবে বলা হয়, যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহার, নদীতীরবর্তী শিল্পকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা এবং সারা দেশের পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নদীকে বেছে নেওয়া।জানতে চাইলে আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫৬টি নদীর পর আরও বেশ কিছু নদীর পানিতে মারাত্মক দূষণ পেয়েছি আমরা। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং নদী রক্ষা কমিশন তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না। তারা দায়িত্ব পালন করলে এভাবে নদী দূষণ হওয়ার কথা নয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে