কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা স্বামীক ধরি নিয়া যায়। আর আইসে নাই। ২০ বছর ধরি এই ধাপরিত (ঝুপড়ি) থাকোং। তিন ছেলে, এক মেয়ে থাকিও নাই। কাও পুশে না মোক। চেয়ারম্যান একনা বয়স্ক ভাতা করি দিছে। তাও কোনো বার টাকা পাং, কোনো বার না পাং। ভিক্ষা করি কোনো রকমে নাতনিটাক নিয়া দিন পারি দেওছুং।’ কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ৮০ বছর বয়সের রহিমা খাতুন।
রহিমার বাড়ি উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুনসীর বাজার এলাকায়। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামীকে হারিয়ে যেন তিনি সবকিছু হারিয়েছেন। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী মারা গেলে বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মেজ ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করেন এবং ছোট ছেলে ভবঘুরে। বড় ছেলের মেয়েকে নিয়ে রহিমা ঝুপড়িতে থাকেন।
রহিমার ছেলে মেয়ে থেকেও যেন নেই, নিয়মিত খোঁজ রাখেন না বৃদ্ধা মায়ের। তিস্তার বাঁধে ছোট্ট একটা ঝুপড়ি ঘরে ছোট নাতনিকে নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটে তাঁর। বৃষ্টি এলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে যা পান তাই দিয়ে দিন পার করছেন তিনি।
রহিমা বলেন, ‘ঝড়ির দিনোত থাকির সমস্যা হয়। সরকার কত কিছু দিয়ার নাগছে, মোক তা কই কি দেয় বাহে। কত কষ্ট করি রাইত কাটাং। বড় ছেলে আগে রিকশা চালাইচল এলা অর মাথা খারাপ। ঘুরি ঘুরি বেড়ায়। মেজো ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করে। ছোট ছেলে কিছুই করে না। মেয়ে স্বামীর বাড়িতে। বড় ছেলের মেয়েটাকে মোর কাছত দিয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘সন্তানরা থেকেও কারও কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি রহিমার। এমন পরিস্থিতে সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য হয়েও আজও তাঁর ভাগ্যে জোটেনি একটি ঘর।’
ওই এলাকার কালু নামে এক দিনমজুর জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে হাত পেতে কোনো রকমে দিন পার করছেন। এখন আর কানে ভালো শুনতে পান না। এক প্রকার শ্রবণ প্রতিবন্ধী তিনি।’
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ জানান, ‘অসহায় ওই বৃদ্ধার সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়েছি, উপযুক্ত জায়গা পেলে তাঁকে ঘর করে দেওয়া হবে।’
‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা স্বামীক ধরি নিয়া যায়। আর আইসে নাই। ২০ বছর ধরি এই ধাপরিত (ঝুপড়ি) থাকোং। তিন ছেলে, এক মেয়ে থাকিও নাই। কাও পুশে না মোক। চেয়ারম্যান একনা বয়স্ক ভাতা করি দিছে। তাও কোনো বার টাকা পাং, কোনো বার না পাং। ভিক্ষা করি কোনো রকমে নাতনিটাক নিয়া দিন পারি দেওছুং।’ কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ৮০ বছর বয়সের রহিমা খাতুন।
রহিমার বাড়ি উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুনসীর বাজার এলাকায়। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামীকে হারিয়ে যেন তিনি সবকিছু হারিয়েছেন। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী মারা গেলে বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মেজ ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করেন এবং ছোট ছেলে ভবঘুরে। বড় ছেলের মেয়েকে নিয়ে রহিমা ঝুপড়িতে থাকেন।
রহিমার ছেলে মেয়ে থেকেও যেন নেই, নিয়মিত খোঁজ রাখেন না বৃদ্ধা মায়ের। তিস্তার বাঁধে ছোট্ট একটা ঝুপড়ি ঘরে ছোট নাতনিকে নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটে তাঁর। বৃষ্টি এলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে যা পান তাই দিয়ে দিন পার করছেন তিনি।
রহিমা বলেন, ‘ঝড়ির দিনোত থাকির সমস্যা হয়। সরকার কত কিছু দিয়ার নাগছে, মোক তা কই কি দেয় বাহে। কত কষ্ট করি রাইত কাটাং। বড় ছেলে আগে রিকশা চালাইচল এলা অর মাথা খারাপ। ঘুরি ঘুরি বেড়ায়। মেজো ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করে। ছোট ছেলে কিছুই করে না। মেয়ে স্বামীর বাড়িতে। বড় ছেলের মেয়েটাকে মোর কাছত দিয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘সন্তানরা থেকেও কারও কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি রহিমার। এমন পরিস্থিতে সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য হয়েও আজও তাঁর ভাগ্যে জোটেনি একটি ঘর।’
ওই এলাকার কালু নামে এক দিনমজুর জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে হাত পেতে কোনো রকমে দিন পার করছেন। এখন আর কানে ভালো শুনতে পান না। এক প্রকার শ্রবণ প্রতিবন্ধী তিনি।’
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ জানান, ‘অসহায় ওই বৃদ্ধার সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়েছি, উপযুক্ত জায়গা পেলে তাঁকে ঘর করে দেওয়া হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে