Ajker Patrika

কুশিয়ারার ভাঙনে নিঃস্ব ২০০ পরিবার

বিপ্লব রায়, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১৪: ৩৮
কুশিয়ারার ভাঙনে নিঃস্ব ২০০ পরিবার

শাল্লা উপজেলার মেধা ও প্রতাপপুর এলাকায় কুশিয়ারা গত পাঁচ বছরে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বাজারের দোকানপাট ও অর্ধশত বসতভিটা। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে দুই শতাধিক পরিবার। এসব পরিবারের লোকজন বর্তমানে খাসজমিতে বসবাস করছেন।

এদিকে আবাদি জমিও নদীতে চলে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কৃষকেরা। প্রায় ২০০ একর কৃষিজমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কুশিয়ারার ভাঙন রোধে নদীতে বাঁধ দেওয়ার দাবি কৃষকদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর পূর্বদিক ভরাট হয়ে চর পড়েছে। আর পশ্চিম দিকে ভাঙন ধরে অর্ধেক বাজার বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি মেধা মাজার ও প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ১০০ একর জায়গার পুকুর ভাঙনের কবলে।

কয়েক বছর ধরে কুশিয়ারার অব্যাহত ভাঙনে শতাধিক ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবারের লোকজন অন্যত্র বসবাস করছেন। মেধা বাজারসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে রক্ষা করতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা।

এদিকে ভাঙনরোধ প্রকল্পের আওতায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা।

উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের মেধা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে এ বাজারের দোকানপাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রোজগারের একমাত্র সম্বল হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বর্তমানে উপজেলার মেধা বাজার, মুছাপুর, প্রতাপপুর ও ফয়েজুল্লাহপুর রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। নদীপাড়ের ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের কবলে রয়েছে।

মেধা বাজারের ব্যবসায়ী মাহফুজ মিয়া জানান, কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে অর্ধশত বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ২০০ পরিবারের লোকজন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছেন। বাজারের বেশ কয়েকটি স্থাপনাও ঝুঁকিতে রয়েছে।

মির্জাকান্দা গ্রামের কাজল মিয়া বলেন, কুশিয়ারা নদীর পূর্বদিকে চর পড়া জায়গাটুকু খনন করা হলে মেধা বাজারকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ জন্য প্রশাসনের সাহায্য প্রয়োজন।

শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ঠেকাতে কয়েক জায়গায় জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। মেধা বাজারে গত বছর ব্লক দেওয়া হয়েছিল। এরপরও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত