সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বর্ষণে সাতক্ষীরার সদর, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলও। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে খেতের ফসল, বীজতলা, মাছের ঘের ও পুকুর। টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ধুলিহর, ফিংড়ি, ব্রহ্মরাজপুর, লাবসা, বল্লী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলের সদ্য রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কামালনগর, ইটাগাছা, খড়িবিলা, বদ্যিপুর কলোনি, শহরতলীর বকচরা, কাশেমপুর, সরকারপাড়া, আমতলার মোড়। নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বাড়িঘরে উঠতে শুরু করেছে। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়ের খালও পানি টানতে পারছে না।
ভ্যানচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃষ্টিতে ভ্যান নিয়ে শহরে বের হলেও কেউ ওঠেনি। ফলে খালি হাতেই রাতে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবারও একই অবস্থা। দিনমজুর শামসুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে দুদিন কাজ না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এর আগে ২৭ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে জেলা শহরসহ প্রায় প্রতিটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সে সময় গদাই বিল, ছাগলার বিল, শ্যাল্যের বিল, বিনেরপোতার বিল, রাজনগরের বিল, মাছখোলার বিলসহ কমপক্ষে ১০টি বিল তলিয়ে যায়। এসব বিলের মাছের ঘের ভেসে গেছে। সেসব এলাকার পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আবারও টানা বর্ষণ দুর্ভোগ দ্বিগুন করেছে।
তালার ইসলামকাটি, কুমিরা, পাটকেলঘাটা, মাগুরা; আশাশুনির প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, বড়দল, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর, দরগাহপুর, কাদাকাটিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে থই থই করছে। শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালি, রমজাননগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। কালীগঞ্জের মৌতলা, মথুরেশপুর, ভাড়াশিমলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মাছের ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দুদিনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পরশু থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে ৭১০ হেক্টর আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ১০২ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বর্ষণে সাতক্ষীরার সদর, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলও। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে খেতের ফসল, বীজতলা, মাছের ঘের ও পুকুর। টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ধুলিহর, ফিংড়ি, ব্রহ্মরাজপুর, লাবসা, বল্লী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলের সদ্য রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কামালনগর, ইটাগাছা, খড়িবিলা, বদ্যিপুর কলোনি, শহরতলীর বকচরা, কাশেমপুর, সরকারপাড়া, আমতলার মোড়। নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বাড়িঘরে উঠতে শুরু করেছে। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়ের খালও পানি টানতে পারছে না।
ভ্যানচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃষ্টিতে ভ্যান নিয়ে শহরে বের হলেও কেউ ওঠেনি। ফলে খালি হাতেই রাতে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবারও একই অবস্থা। দিনমজুর শামসুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে দুদিন কাজ না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এর আগে ২৭ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে জেলা শহরসহ প্রায় প্রতিটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সে সময় গদাই বিল, ছাগলার বিল, শ্যাল্যের বিল, বিনেরপোতার বিল, রাজনগরের বিল, মাছখোলার বিলসহ কমপক্ষে ১০টি বিল তলিয়ে যায়। এসব বিলের মাছের ঘের ভেসে গেছে। সেসব এলাকার পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আবারও টানা বর্ষণ দুর্ভোগ দ্বিগুন করেছে।
তালার ইসলামকাটি, কুমিরা, পাটকেলঘাটা, মাগুরা; আশাশুনির প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, বড়দল, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর, দরগাহপুর, কাদাকাটিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে থই থই করছে। শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালি, রমজাননগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। কালীগঞ্জের মৌতলা, মথুরেশপুর, ভাড়াশিমলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মাছের ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দুদিনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পরশু থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে ৭১০ হেক্টর আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ১০২ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে