সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন-২০০৩ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে মেয়রের ভূমিকায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরাক্রমশালী ওসমান পরিবারের জোরালো বিরোধিতার পরও আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আইভী গড়েছেন শক্ত অবস্থান। নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আস্থাও অর্জন করেছেন অনায়াসে। কিন্তু মেয়র হিসেবে তিনি কতটা সফল? টানা তৃতীয়বার সিটি মেয়র পদে আইভীর নির্বাচনের আগে এমন প্রশ্ন ঘুরছে মুখে মুখে। আইভীর সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে মেয়র আইভীর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাওয়া গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে নিজের ইশতেহারে নগরের উন্নয়নে ২১টি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছিলেন আইভী। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ১৬টি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল ৫টি। গত বুধবার নির্বাচনী প্রচারের সময় আইভী দাবি করেছেন, ওই ইশতেহারের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১০ ভাগ কাজ বাকি। আমি আমার দায়িত্ব ইমান ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দল-মত-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি। এরপর আমাকে ভোট না দেওয়ার কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ ১০০ ভাগ আমাকে ভোট দেবে।’
তবে এবারের নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের অনুসারীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল, সিটি সার্ভিস, ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ এবং শীতলক্ষ্যা দূষণমুক্ত রাখতে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখেননি আইভী। ৯০ ভাগ ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবিও ঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান সেন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং নাগরিক সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে আইভী। একই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এগুলো কোনো উন্নয়নের ভেতর পড়ে না। একটা কালভার্টের কাজ তিন বছরে শেষ করতে পারেনি। সড়কে হকার, যানজট, ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
শীতলক্ষ্যায় সরাসরি বর্জ্য ফেলে দূষিত করে ফেলছে। সুপেয় পানিরও অভাব প্রকট।’
গত নির্বাচনের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলেও আইভীর কার্যক্রম নিয়ে নিরাশ নন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ধীমান সাহা জুয়েল। তিনি বলেন, ‘গতবারের ইশতেহারের মধ্যে অনেকগুলোই বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে কয়েকটি এখনো হয়নি। তবে সিটিতে যেই কাজ হয়েছে তাতে বোঝা যায় তাঁর (আইভী) কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বাস্তবতায় তিনি অনেক কাজ করলেও তাঁর কাছে আমরা আরও প্রত্যাশা রাখি।’
সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি নূর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনেকগুলো বাস্তবায়ন হলেও বেশ কিছু এখনো সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে সড়ক হকারমুক্ত রাখা, যানজট নিরসন, সুপেয় পানি, শীতলক্ষ্যা দূষণের মতো সমস্যাগুলো। তবে আইভী এসব কাজের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে এসব কাজ সম্পন্ন করে তিনি একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারবেন।’
যেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলোর জন্য শুধু আইভীকে দায়ী করতে রাজি নন ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী। তিনি বলেন, সব কাজ সিটি করপোরেশন চাইলেই করতে পারে না। অনেক বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হয়। তা করতে গিয়ে আইভীকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে তিনি কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনেক কাজই দৃশ্যমান। যেগুলো হয়নি, সেগুলোও চলমান।
এবারের নির্বাচন উপলক্ষে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইভীর ইশতেহার প্রকাশ হয়নি। তবে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি-সংবলিত একটি বুকলেট বিতরণ করা হচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে। গতবারের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এবারের ইশতেহারেও যুক্ত করেছেন আইভী। এর মধ্যে সবুজ নগরী এবং সুপেয় পানি নিশ্চিতের বিষয়গুলো রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন-২০০৩ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে মেয়রের ভূমিকায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরাক্রমশালী ওসমান পরিবারের জোরালো বিরোধিতার পরও আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আইভী গড়েছেন শক্ত অবস্থান। নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আস্থাও অর্জন করেছেন অনায়াসে। কিন্তু মেয়র হিসেবে তিনি কতটা সফল? টানা তৃতীয়বার সিটি মেয়র পদে আইভীর নির্বাচনের আগে এমন প্রশ্ন ঘুরছে মুখে মুখে। আইভীর সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে মেয়র আইভীর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাওয়া গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে নিজের ইশতেহারে নগরের উন্নয়নে ২১টি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছিলেন আইভী। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ১৬টি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল ৫টি। গত বুধবার নির্বাচনী প্রচারের সময় আইভী দাবি করেছেন, ওই ইশতেহারের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১০ ভাগ কাজ বাকি। আমি আমার দায়িত্ব ইমান ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দল-মত-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি। এরপর আমাকে ভোট না দেওয়ার কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ ১০০ ভাগ আমাকে ভোট দেবে।’
তবে এবারের নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের অনুসারীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল, সিটি সার্ভিস, ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ এবং শীতলক্ষ্যা দূষণমুক্ত রাখতে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখেননি আইভী। ৯০ ভাগ ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবিও ঠিক নয়।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান সেন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং নাগরিক সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে আইভী। একই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এগুলো কোনো উন্নয়নের ভেতর পড়ে না। একটা কালভার্টের কাজ তিন বছরে শেষ করতে পারেনি। সড়কে হকার, যানজট, ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
শীতলক্ষ্যায় সরাসরি বর্জ্য ফেলে দূষিত করে ফেলছে। সুপেয় পানিরও অভাব প্রকট।’
গত নির্বাচনের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলেও আইভীর কার্যক্রম নিয়ে নিরাশ নন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ধীমান সাহা জুয়েল। তিনি বলেন, ‘গতবারের ইশতেহারের মধ্যে অনেকগুলোই বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে কয়েকটি এখনো হয়নি। তবে সিটিতে যেই কাজ হয়েছে তাতে বোঝা যায় তাঁর (আইভী) কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বাস্তবতায় তিনি অনেক কাজ করলেও তাঁর কাছে আমরা আরও প্রত্যাশা রাখি।’
সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি নূর উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনেকগুলো বাস্তবায়ন হলেও বেশ কিছু এখনো সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে সড়ক হকারমুক্ত রাখা, যানজট নিরসন, সুপেয় পানি, শীতলক্ষ্যা দূষণের মতো সমস্যাগুলো। তবে আইভী এসব কাজের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে এসব কাজ সম্পন্ন করে তিনি একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারবেন।’
যেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলোর জন্য শুধু আইভীকে দায়ী করতে রাজি নন ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী। তিনি বলেন, সব কাজ সিটি করপোরেশন চাইলেই করতে পারে না। অনেক বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হয়। তা করতে গিয়ে আইভীকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে তিনি কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনেক কাজই দৃশ্যমান। যেগুলো হয়নি, সেগুলোও চলমান।
এবারের নির্বাচন উপলক্ষে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইভীর ইশতেহার প্রকাশ হয়নি। তবে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি-সংবলিত একটি বুকলেট বিতরণ করা হচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে। গতবারের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এবারের ইশতেহারেও যুক্ত করেছেন আইভী। এর মধ্যে সবুজ নগরী এবং সুপেয় পানি নিশ্চিতের বিষয়গুলো রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে