নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ সুবিধার আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী নাগরিকেরা সুনির্দিষ্ট হিসাবে টাকা জমা করে তার দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন। সর্বজনীন যে পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে তাতে মাসে এক হাজার টাকা জমা করলে ৬০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত ২০ বছর প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। আর শুরুর দিকে এ পেনশন ব্যবস্থা ঐচ্ছিক করলেও পরবর্তীকালে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, পেনশন ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে। বার্ধক্যের কারণে যাঁরা অভাবগ্রস্ত হবেন তাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে। রাষ্ট্রের কাছে সাহায্য পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বার্ধক্যজনিত সময়ে অভাবগ্রস্ত নাগরিকেরা যাতে সুবিধা পান, সে জন্যই পেনশন ব্যবস্থা।
অর্থমন্ত্রী সুবিধাভোগীর বিষয়ে বলেন, এই পেনশন কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু সংযোজন-বিয়োজন হবে। তবে একটা মৌলিক ধারণা তৈরি করা হয়েছে। তা হলো, দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট বয়সের সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে মাসিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি পেনশন হিসাব থাকবে। এতে কেউ চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে। মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদা নির্ধারণ করা থাকবে। প্রবাসীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দিতে পারবেন। চাঁদা জমা দিতে ব্যর্থ হলে হিসাব সাময়িক বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে জরিমানাসহ বকেয়া দিয়ে হিসাব চালু করতে পারবেন। পেনশনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৬০ বছরপূর্তিতে নির্ধারিত হারে তহবিল থেকে আসবে। পেনশনধারীরা মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। নির্ধারিত চাঁদাদানকারী ৭৫ বছর হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমাদানকারীর নমিনি পেনশন পাবেন। সে ক্ষেত্রে নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জমাকারীর অবর্তমানে এককালীন টাকা তোলার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেনশনের ৫০ ভাগ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। কোনো জমাদানকারী ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর যদি মারা যান তাহলে জমা করা অর্থ তাঁর বৈধ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা পরে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য ব্যয় সরকার নির্বাহ করবে।
পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পেনশন ব্যবস্থাপনার জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। পেনশনের জমা করা তহবিল বিনিয়োগ করবে সেই কর্তৃপক্ষ। বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা আসবে তা পেনশনধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই এটা করা সম্ভব। কর্তৃপক্ষ গঠন করা হলে তারাই যাবতীয় বিষয় ঠিক করবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ধরনের কার্যক্রম যেভাবে চালায়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ সুবিধার আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী নাগরিকেরা সুনির্দিষ্ট হিসাবে টাকা জমা করে তার দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন। সর্বজনীন যে পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে তাতে মাসে এক হাজার টাকা জমা করলে ৬০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত ২০ বছর প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। আর শুরুর দিকে এ পেনশন ব্যবস্থা ঐচ্ছিক করলেও পরবর্তীকালে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, পেনশন ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে। বার্ধক্যের কারণে যাঁরা অভাবগ্রস্ত হবেন তাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে। রাষ্ট্রের কাছে সাহায্য পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বার্ধক্যজনিত সময়ে অভাবগ্রস্ত নাগরিকেরা যাতে সুবিধা পান, সে জন্যই পেনশন ব্যবস্থা।
অর্থমন্ত্রী সুবিধাভোগীর বিষয়ে বলেন, এই পেনশন কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু সংযোজন-বিয়োজন হবে। তবে একটা মৌলিক ধারণা তৈরি করা হয়েছে। তা হলো, দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট বয়সের সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে মাসিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি পেনশন হিসাব থাকবে। এতে কেউ চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে। মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদা নির্ধারণ করা থাকবে। প্রবাসীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দিতে পারবেন। চাঁদা জমা দিতে ব্যর্থ হলে হিসাব সাময়িক বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে জরিমানাসহ বকেয়া দিয়ে হিসাব চালু করতে পারবেন। পেনশনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৬০ বছরপূর্তিতে নির্ধারিত হারে তহবিল থেকে আসবে। পেনশনধারীরা মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। নির্ধারিত চাঁদাদানকারী ৭৫ বছর হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমাদানকারীর নমিনি পেনশন পাবেন। সে ক্ষেত্রে নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জমাকারীর অবর্তমানে এককালীন টাকা তোলার কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পেনশনের ৫০ ভাগ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। কোনো জমাদানকারী ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর যদি মারা যান তাহলে জমা করা অর্থ তাঁর বৈধ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা পরে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য ব্যয় সরকার নির্বাহ করবে।
পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পেনশন ব্যবস্থাপনার জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। পেনশনের জমা করা তহবিল বিনিয়োগ করবে সেই কর্তৃপক্ষ। বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা আসবে তা পেনশনধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই এটা করা সম্ভব। কর্তৃপক্ষ গঠন করা হলে তারাই যাবতীয় বিষয় ঠিক করবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ধরনের কার্যক্রম যেভাবে চালায়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে