চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রার পারদ। পরপর তিন দিন এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ৯ দশমিক ৫ এবং বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আরও কমতে পারে জেলার তাপমাত্রা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সন্ধ্যার পর থেকেই কমতে শুরু করে। তবে ভিড় বেড়েছে শহরের নতুন ও পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চুয়াডাঙ্গার ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য ১৫টি শয্যা বরাদ্দ থাকলেও কয়েক দিন ধরে শয্যার কয়েক গুণ বেশি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোনো কোনো দিন দেড় শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, শীত বাড়ায় গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে শতাধিক শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার প্রতিদিন বহির্বিভাগেও ১৫০ জনেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। চাপ সামাল দিয়ে হাসপাতালের সেবিকারা হিমশিম খাচ্ছেন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের নিকট নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইজিবাইকচালক ইসরাফিল হোসেন বলেন, ‘সংসারের তাগিদে সকালবেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীত বেশি পড়ায় লোকজন কম।’ ইঞ্জিনচালিত পাখি ভ্যানচালক কবির আলী বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন ভ্যান না চালালে সংসার চলে না। কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা বাতাসের কারণে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডায় ভ্যানে যাত্রী উঠতেও চাচ্ছে না।’ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পাঁচ মাস বয়সী শিশু রোকনের মা বিলকিস আরা বলেন, ছেলেকে নিয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে আছি। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ ও স্থান সংকটে কোনোমতে ওয়ার্ডের এক কোণে রয়েছেন তিনি। যারা বারান্দায় রয়েছে, শীতে তাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার একটি ইটভাটার শ্রমিক নিয়ামত আলী। তিনি বলেন, ‘শীতের মধ্যেও অনেক ভোরে উঠে কাদাপানি নিয়ে কাজ করতে হয়। চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে শীত বাড়ায় ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১০ ডিসেম্বর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শীত একটু বেশি। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা, পৌর পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রার পারদ। পরপর তিন দিন এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ৯ দশমিক ৫ এবং বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আরও কমতে পারে জেলার তাপমাত্রা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সন্ধ্যার পর থেকেই কমতে শুরু করে। তবে ভিড় বেড়েছে শহরের নতুন ও পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চুয়াডাঙ্গার ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য ১৫টি শয্যা বরাদ্দ থাকলেও কয়েক দিন ধরে শয্যার কয়েক গুণ বেশি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোনো কোনো দিন দেড় শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, শীত বাড়ায় গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে শতাধিক শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার প্রতিদিন বহির্বিভাগেও ১৫০ জনেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। চাপ সামাল দিয়ে হাসপাতালের সেবিকারা হিমশিম খাচ্ছেন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের নিকট নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইজিবাইকচালক ইসরাফিল হোসেন বলেন, ‘সংসারের তাগিদে সকালবেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীত বেশি পড়ায় লোকজন কম।’ ইঞ্জিনচালিত পাখি ভ্যানচালক কবির আলী বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন ভ্যান না চালালে সংসার চলে না। কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা বাতাসের কারণে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডায় ভ্যানে যাত্রী উঠতেও চাচ্ছে না।’ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পাঁচ মাস বয়সী শিশু রোকনের মা বিলকিস আরা বলেন, ছেলেকে নিয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে আছি। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চাপ ও স্থান সংকটে কোনোমতে ওয়ার্ডের এক কোণে রয়েছেন তিনি। যারা বারান্দায় রয়েছে, শীতে তাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার একটি ইটভাটার শ্রমিক নিয়ামত আলী। তিনি বলেন, ‘শীতের মধ্যেও অনেক ভোরে উঠে কাদাপানি নিয়ে কাজ করতে হয়। চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে শীত বাড়ায় ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১০ ডিসেম্বর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শীত একটু বেশি। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা, পৌর পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে