সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে কয়েক শ শিক্ষার্থী বুকে হাত রেখে এই শপথ নেন। তাঁরা শপথে আরও বলেন, ‘এই আঙিনায় আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ যেন ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।’
শিক্ষার্থীদের এই শপথের খবর পড়ে অনেকে হয়তো খুশি হবেন, আবার সংখ্যায় কম হলেও কিছু মানুষ এতে অখুশিও হবেন। আমাদের দেশে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য আছে। কিন্তু এখন ছাত্র আন্দোলন অনেকটাই বিপথগামী হয়েছে। সন্ত্রাস-হানাহানিকে কোনোভাবেই ছাত্র আন্দোলন বা ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না। অথচ এখন সহিংসতাই হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্ররাজনীতি। এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বুয়েটশিক্ষার্থীদের অবস্থান হলে সেটার প্রশংসা করতেই হবে। তবে সাংগঠনিক বা দলীয় রাজনীতির বিরোধিতার আড়ালে যদি সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় চিন্তার বিস্তারে ভূমিকা পালনকারীদের আড়াল করা হয়, সেটা সমর্থন করা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থীরা যদিও বলেছেন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান থেকে তাঁরা কখনো সরবেন না। যেকোনো ছাত্ররাজনীতি এবং মৌলবাদ চর্চা বুয়েট ক্যাম্পাসে গ্রহণযোগ্য হবে না, তা যে দলেরই হোক না কেন।
শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ‘মৌলবাদ চর্চা’ বন্ধে কী ভূমিকা পালন করেন, সেটা অনেকেই হয়তো পর্যবেক্ষণে রাখবেন। অভিযোগ আছে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দিলেও বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌলবাদীদের গোপন তৎপরতা থেমে নেই।
‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ’ করার এসব ঘোষণার আড়ালে বিশেষ কোনো মতলব আছে কি না, দেখার বিষয় সেটাও। ছাত্রদের মধ্যে রাজনীতি বন্ধ হয় না, এটা করা যায় না। বাস্তবে ছাত্রদের রাজনীতি বন্ধ করা অসম্ভব আর আইনগতভাবেও এটা করা যায় না। যেকোনো সংগঠনের সদস্য হওয়া বা সংগঠন করা বা মতামত প্রকাশ করা বা প্রচার করা হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা নেই কাউকে রাজনৈতিক দলের বা সংগঠনের সদস্য হওয়া থেকে বিরত রাখার। তবে যুক্তিসংগত কারণে ক্যাম্পাসে মিটিং, মিছিল ইত্যাদি থেকে শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বিরত রাখা যেতেই পারে।
হ্যাঁ, সন্ত্রাস, গুন্ডামি, মৌলবাদ—এসব নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই জরুরি। এর জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়; বরং নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার আইনশৃঙ্খলার কঠোর নিয়ন্ত্রণ। কেউ গুন্ডামি করলে তাকে বহিষ্কার করা যেতে পারে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও কেউ বিরোধিতা করবে না। বিচারব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বা আইনের শাসন কার্যকর করা গেলে গুন্ডামি-হানাহানি এমনিতেই কমে আসার কথা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উপেক্ষা করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের দিকে মনোযোগী হওয়া কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তা ছাড়া, কেবল শ্রেণিকক্ষ ও পাঠ্যবইয়ের ওপর নির্ভর করে কি শিক্ষার্থীরা জীবন-অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেন? ক্যাম্পাসে নানামুখী চর্চার পথ রুদ্ধ করা ঠিক নয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে কয়েক শ শিক্ষার্থী বুকে হাত রেখে এই শপথ নেন। তাঁরা শপথে আরও বলেন, ‘এই আঙিনায় আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ যেন ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।’
শিক্ষার্থীদের এই শপথের খবর পড়ে অনেকে হয়তো খুশি হবেন, আবার সংখ্যায় কম হলেও কিছু মানুষ এতে অখুশিও হবেন। আমাদের দেশে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য আছে। কিন্তু এখন ছাত্র আন্দোলন অনেকটাই বিপথগামী হয়েছে। সন্ত্রাস-হানাহানিকে কোনোভাবেই ছাত্র আন্দোলন বা ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না। অথচ এখন সহিংসতাই হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্ররাজনীতি। এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বুয়েটশিক্ষার্থীদের অবস্থান হলে সেটার প্রশংসা করতেই হবে। তবে সাংগঠনিক বা দলীয় রাজনীতির বিরোধিতার আড়ালে যদি সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় চিন্তার বিস্তারে ভূমিকা পালনকারীদের আড়াল করা হয়, সেটা সমর্থন করা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থীরা যদিও বলেছেন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান থেকে তাঁরা কখনো সরবেন না। যেকোনো ছাত্ররাজনীতি এবং মৌলবাদ চর্চা বুয়েট ক্যাম্পাসে গ্রহণযোগ্য হবে না, তা যে দলেরই হোক না কেন।
শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ‘মৌলবাদ চর্চা’ বন্ধে কী ভূমিকা পালন করেন, সেটা অনেকেই হয়তো পর্যবেক্ষণে রাখবেন। অভিযোগ আছে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দিলেও বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌলবাদীদের গোপন তৎপরতা থেমে নেই।
‘বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ’ করার এসব ঘোষণার আড়ালে বিশেষ কোনো মতলব আছে কি না, দেখার বিষয় সেটাও। ছাত্রদের মধ্যে রাজনীতি বন্ধ হয় না, এটা করা যায় না। বাস্তবে ছাত্রদের রাজনীতি বন্ধ করা অসম্ভব আর আইনগতভাবেও এটা করা যায় না। যেকোনো সংগঠনের সদস্য হওয়া বা সংগঠন করা বা মতামত প্রকাশ করা বা প্রচার করা হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা নেই কাউকে রাজনৈতিক দলের বা সংগঠনের সদস্য হওয়া থেকে বিরত রাখার। তবে যুক্তিসংগত কারণে ক্যাম্পাসে মিটিং, মিছিল ইত্যাদি থেকে শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বিরত রাখা যেতেই পারে।
হ্যাঁ, সন্ত্রাস, গুন্ডামি, মৌলবাদ—এসব নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই জরুরি। এর জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়; বরং নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার আইনশৃঙ্খলার কঠোর নিয়ন্ত্রণ। কেউ গুন্ডামি করলে তাকে বহিষ্কার করা যেতে পারে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও কেউ বিরোধিতা করবে না। বিচারব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বা আইনের শাসন কার্যকর করা গেলে গুন্ডামি-হানাহানি এমনিতেই কমে আসার কথা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উপেক্ষা করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের দিকে মনোযোগী হওয়া কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তা ছাড়া, কেবল শ্রেণিকক্ষ ও পাঠ্যবইয়ের ওপর নির্ভর করে কি শিক্ষার্থীরা জীবন-অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেন? ক্যাম্পাসে নানামুখী চর্চার পথ রুদ্ধ করা ঠিক নয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে