জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
কোরবানির ঈদে অনলাইনে পশু বিক্রি এবং ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নীলফামারীর পশুর খামারিরা। প্রশাসন অনলাইনে পশু বিক্রিতে উৎসাহিত করলেও জেলার অধিকাংশ খামারি ও ক্রেতার এ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, অনেকেই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গরু বিক্রি করছেন। এ ছাড়া জেলার পশুর হাটগুলোতে ৩৫টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭টি ‘অনলাইন পশুর হাট’ পেজ খোলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে খোলা হাটগুলোর মধ্যে জেলার ৬ উপজেলায় ৬টি এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১টি অনলাইন পশুর হাট। এসব পেজে গতকাল রোববার পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৭০টি গরু ও ছাগলের বিবরণসহ ছবি আপলোড করা হয়েছে। সরকারি এসব অনলাইনে ইতিমধ্যে ৪৬৫টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া ৬টি উপজেলায় খামারি ও পশু পালনকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার। এতে জেলায় ২ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২৬ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী জেলায় চাহিদার চেয়ে ৭৪ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে।
সৈয়দপুরের মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামারের মালিক রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারে ১৭০টি ষাঁড় দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছি। তবে খড়, কুড়া, ভুসিসহ অন্য খাবার অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩০টি ষাঁড় বিক্রি হয়েছে। খামারে এসে ক্রেতারা ক্রয় করেছেন।’
অনলাইনে তিনি গরু বিক্রি করছেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে ১০টি ষাঁড় ক্রেতারা বুকিং দিয়েও ক্রয় না করায় ঈদের পর কম দামে তা বিক্রি করতে হয়েছে।’
ডিমলার খামারি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘নিজের খামারে ৭০টি ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। ঢাকার ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে সবগুলো ষাঁড় ক্রয় করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে খামারে ষাঁড় পালনের সংখ্যা বৃদ্ধি করব।’
আওলাদ আরও বলেন, ‘নিজের চিন্তা-চেতনায় খামারটি গড়ে তুলেছি। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।’
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আশরাফ আলী নিজ বাড়িতে ৪টি গরু ও ১০টি ছাগল পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দরদামে মিলছে না। হাটে প্রচুর গরু-ছাগলের আমদানি হলেও বেচাকেনা একেবারেই কম। চাহিদা মতো দাম না পেলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা সব পশু বিক্রি করব না।’
কোরবানির ঈদে অনলাইনে পশু বিক্রি এবং ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন নীলফামারীর পশুর খামারিরা। প্রশাসন অনলাইনে পশু বিক্রিতে উৎসাহিত করলেও জেলার অধিকাংশ খামারি ও ক্রেতার এ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, অনেকেই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গরু বিক্রি করছেন। এ ছাড়া জেলার পশুর হাটগুলোতে ৩৫টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭টি ‘অনলাইন পশুর হাট’ পেজ খোলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে খোলা হাটগুলোর মধ্যে জেলার ৬ উপজেলায় ৬টি এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১টি অনলাইন পশুর হাট। এসব পেজে গতকাল রোববার পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৭০টি গরু ও ছাগলের বিবরণসহ ছবি আপলোড করা হয়েছে। সরকারি এসব অনলাইনে ইতিমধ্যে ৪৬৫টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া ৬টি উপজেলায় খামারি ও পশু পালনকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার। এতে জেলায় ২ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২৬ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী জেলায় চাহিদার চেয়ে ৭৪ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে।
সৈয়দপুরের মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামারের মালিক রোটারিয়ান জামিল আশরাফ মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারে ১৭০টি ষাঁড় দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছি। তবে খড়, কুড়া, ভুসিসহ অন্য খাবার অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩০টি ষাঁড় বিক্রি হয়েছে। খামারে এসে ক্রেতারা ক্রয় করেছেন।’
অনলাইনে তিনি গরু বিক্রি করছেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে ১০টি ষাঁড় ক্রেতারা বুকিং দিয়েও ক্রয় না করায় ঈদের পর কম দামে তা বিক্রি করতে হয়েছে।’
ডিমলার খামারি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘নিজের খামারে ৭০টি ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। ঢাকার ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে সবগুলো ষাঁড় ক্রয় করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে খামারে ষাঁড় পালনের সংখ্যা বৃদ্ধি করব।’
আওলাদ আরও বলেন, ‘নিজের চিন্তা-চেতনায় খামারটি গড়ে তুলেছি। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।’
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আশরাফ আলী নিজ বাড়িতে ৪টি গরু ও ১০টি ছাগল পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দরদামে মিলছে না। হাটে প্রচুর গরু-ছাগলের আমদানি হলেও বেচাকেনা একেবারেই কম। চাহিদা মতো দাম না পেলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা সব পশু বিক্রি করব না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে