বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
সাধারণত শীত মৌসুম শেষে বসন্ত এলেও পর্যটকদের কলরবে মুখর থাকে বান্দরবান। মাঝখানে করোনার কারণে দুই বছর বান্দরবানের পর্যটন খাত কিছুটা মুখ থুবড়ে পড়লেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার টানা তিন দিন ছুটি থাকলেও বান্দরবানে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি। এতে পর্যটন খাত থেকে যে পরিমাণ আয় হওয়ার কথা, সেভাবে আয় হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি বন্ধ ছিল। এর আগে টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের ঢল নামে। তবে এবার প্রথম দুই দিন বান্দরবানে পর্যটন আগমন ঘটলেও শনিবারই পর্যটক কমে যায়। আর গতকাল রোববার বান্দরবানে অল্প কিছু পর্যটক বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত মৌসুমে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। তাঁরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। শীত শেষ হয়ে বসন্ত ঋতু পর্যন্ত পর্যটকের বিপুল উপস্থিতি থাকে বান্দরবানে। কিন্তু এবার বসন্ত মৌসুমে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন আশানুরূপ নয় বলে জানা গেছে।
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল। জেলা শহর থেকে চার মাইল দূরেও বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের পাশে যৌথ খামার এলাকায় নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। ফলে বান্দরবানে আগত পর্যটকদের বেশির ভাগই নীলাচলে ঘুরতে যান। তবে এ তিন দিনে তেমন পর্যটক আসেন নীলাচলে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত শীত মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন আড়াই হাজারের মতো পর্যটকের আগমন ঘটে নীলাচলে। শীতের শেষে বসন্ত মৌসুমেও প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের মতো পর্যটকের আগমন হয়। কিন্তু এবার টানা তিন দিনের ছুটিতেও নীলাচলে পর্যটক তুলনামূলকভাবে কম এসেছে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের ইনচার্জ আদীব বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল নীলাচলে হাতে গোনা পর্যটক এসেছেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই শর মতো পর্যটক টিকিট কেটে নীলাচলের ভেতরে গেছেন। সন্ধ্যার দিকে আরও কিছু পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আদীব বড়ুয়া আশা করছেন। তিনি বলেন, এর আগে শনিবার ছুটির দিন থাকলেও ১ হাজার ২০০-র মতো পর্যটক শনিবার টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত ছুটির দিনে দেড় হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন হয়ে থাকে। তবে শনিবার ছুটির দিন থাকলেও তুলনামূলকভাবে পর্যটকের কম আগমন হয়েছে।
বান্দরবান সদরের আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র মেঘলাতেও ছুটির দিনে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি বলে মেঘলা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মেঘলার গেটের বাইরে কিছু পর্যটককে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও ভেতরে অন্য ছুটির দিনের তুলনায় পর্যটক কম প্রবেশ করেছে বলে মেঘলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে গেটের সামনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা লোকজনও জানিয়েছেন, অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে পর্যটন কম। অন্য বছরে এ সময়ে আরও বেশি পর্যটক বান্দরবানে আসেন।
এদিকে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রকে লক্ষ্য রেখে পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি পর্যটকবাহী গাড়ি রাখার পার্কিংটিও গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রায় গাড়িশূন্য দেখা গেছে। ওই পার্কিং স্থানের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বশির আহমেদ বলেন, অন্য সময় ছুটির দিনে তাঁদের পার্কিং স্থানে পর্যটকদের অনেক গাড়ি থামলেও এবার তেমন গাড়ি আসেনি। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণেও বান্দরবানে পর্যটক কম আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবান শহরের আবাসিক হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর বলেন, ১৯ মার্চ পর্যটন তাঁর হোটেলটির সবগুলো রুম বুকিং থাকলেও গতকাল কিছু রুম বুকিং হয়নি।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের শেষেও বান্দরবানে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে এবার বসন্তকালে তুলনামূলক গরম বেশি পড়ছে কয়েক দিন ধরে। তাই এ সময়ে পর্যটকের উপস্থিতি কম।
এদিকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পর্যটনেও পড়েছে। এখন বেড়ানোর খরচ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে বাড়তি ব্যয় হওয়ায় বাজেট ঠিক রাখা যাচ্ছে না। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আসতে পারছে না।
সাধারণত শীত মৌসুম শেষে বসন্ত এলেও পর্যটকদের কলরবে মুখর থাকে বান্দরবান। মাঝখানে করোনার কারণে দুই বছর বান্দরবানের পর্যটন খাত কিছুটা মুখ থুবড়ে পড়লেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার টানা তিন দিন ছুটি থাকলেও বান্দরবানে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি। এতে পর্যটন খাত থেকে যে পরিমাণ আয় হওয়ার কথা, সেভাবে আয় হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি বন্ধ ছিল। এর আগে টানা তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের ঢল নামে। তবে এবার প্রথম দুই দিন বান্দরবানে পর্যটন আগমন ঘটলেও শনিবারই পর্যটক কমে যায়। আর গতকাল রোববার বান্দরবানে অল্প কিছু পর্যটক বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত মৌসুমে বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। তাঁরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। শীত শেষ হয়ে বসন্ত ঋতু পর্যন্ত পর্যটকের বিপুল উপস্থিতি থাকে বান্দরবানে। কিন্তু এবার বসন্ত মৌসুমে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন আশানুরূপ নয় বলে জানা গেছে।
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল। জেলা শহর থেকে চার মাইল দূরেও বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের পাশে যৌথ খামার এলাকায় নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। ফলে বান্দরবানে আগত পর্যটকদের বেশির ভাগই নীলাচলে ঘুরতে যান। তবে এ তিন দিনে তেমন পর্যটক আসেন নীলাচলে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত শীত মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন আড়াই হাজারের মতো পর্যটকের আগমন ঘটে নীলাচলে। শীতের শেষে বসন্ত মৌসুমেও প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের মতো পর্যটকের আগমন হয়। কিন্তু এবার টানা তিন দিনের ছুটিতেও নীলাচলে পর্যটক তুলনামূলকভাবে কম এসেছে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের ইনচার্জ আদীব বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল নীলাচলে হাতে গোনা পর্যটক এসেছেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই শর মতো পর্যটক টিকিট কেটে নীলাচলের ভেতরে গেছেন। সন্ধ্যার দিকে আরও কিছু পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আদীব বড়ুয়া আশা করছেন। তিনি বলেন, এর আগে শনিবার ছুটির দিন থাকলেও ১ হাজার ২০০-র মতো পর্যটক শনিবার টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তিনি বলেন, সাধারণত ছুটির দিনে দেড় হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন হয়ে থাকে। তবে শনিবার ছুটির দিন থাকলেও তুলনামূলকভাবে পর্যটকের কম আগমন হয়েছে।
বান্দরবান সদরের আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র মেঘলাতেও ছুটির দিনে আশানুরূপ পর্যটক আসেননি বলে মেঘলা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মেঘলার গেটের বাইরে কিছু পর্যটককে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলেও ভেতরে অন্য ছুটির দিনের তুলনায় পর্যটক কম প্রবেশ করেছে বলে মেঘলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে গেটের সামনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা লোকজনও জানিয়েছেন, অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে পর্যটন কম। অন্য বছরে এ সময়ে আরও বেশি পর্যটক বান্দরবানে আসেন।
এদিকে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রকে লক্ষ্য রেখে পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি পর্যটকবাহী গাড়ি রাখার পার্কিংটিও গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রায় গাড়িশূন্য দেখা গেছে। ওই পার্কিং স্থানের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বশির আহমেদ বলেন, অন্য সময় ছুটির দিনে তাঁদের পার্কিং স্থানে পর্যটকদের অনেক গাড়ি থামলেও এবার তেমন গাড়ি আসেনি। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণেও বান্দরবানে পর্যটক কম আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবান শহরের আবাসিক হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর বলেন, ১৯ মার্চ পর্যটন তাঁর হোটেলটির সবগুলো রুম বুকিং থাকলেও গতকাল কিছু রুম বুকিং হয়নি।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের শেষেও বান্দরবানে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে এবার বসন্তকালে তুলনামূলক গরম বেশি পড়ছে কয়েক দিন ধরে। তাই এ সময়ে পর্যটকের উপস্থিতি কম।
এদিকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পর্যটনেও পড়েছে। এখন বেড়ানোর খরচ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে বাড়তি ব্যয় হওয়ায় বাজেট ঠিক রাখা যাচ্ছে না। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আসতে পারছে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে