Ajker Patrika

জনবল-সংকটে ব্যাহত সেবা

হারুনুর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৬: ০৬
জনবল-সংকটে ব্যাহত সেবা

নরসিংদীর রায়পুরায় চিকিৎসকসহ জনবল-সংকট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় বেশির ভাগ ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যাহত হচ্ছে প্রসূতি মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা। উপজেলায় ১৯টি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও পুরোপুরি চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে ৬টিতে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বেশির ভাগ ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনেক পদ শূন্য। এসব পদে জনবল নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এসব সংকটের পরও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতে রয়েছে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মা ও শিশুর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ভিজিটর, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তাপ্রহরী থাকার কথা। কিন্তু ১৯টি ইউনিয়নের অন্তত ৬টিতে দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় কোনো কার্যক্রম নেই। কয়েকটি কেন্দ্রে আয়া ও নিরাপত্তাপ্রহরী থাকলেও তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩টির বেশির ভাগ কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ভিজিটর, ফার্মাসিস্ট, আয়া ও নিরাপত্তাপ্রহরীর পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তার ৩টি পদের মধ্যে ২টি, ২টি চিকিৎসা কর্মকর্তার মধ্যে ২টিই শূন্য রয়েছে।

গত ২১ জুলাই মুছাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা, চিকিৎসক-সংকটসহ নানা কারণে তালাবদ্ধ রয়েছে কেন্দ্রটি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠে প্রতি শুক্র ও সোমবার বসে পশুর হাট। কেন্দ্রটির চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে পশুর মল-মূত্র, পোলট্রি খামার।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির আয়া বলেন, ‘বিদ্যুৎহীন জরাজীর্ণ ভবনে মাঝেমধ্যে এসে থাকি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। দক্ষিণ পাশের মুরগির খামারের গন্ধে বসে থাকা যায় না।’ 
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক্তারের সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। এতে এলাকাবাসী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

উপজেলার উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায়ই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের গেটে তালা ঝোলে। 
খোলা হলেও সময়মতো উপস্থিত হন না দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ অন্য কর্মীরা।

সম্প্রতি ওই কেন্দ্রে গেলে দেখা গেছে, সেবা নেওয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ জন রোগী অপেক্ষা করছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. হারুনুর রশিদ তখনো আসেননি। 
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোমানুর নাহার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেশির ভাগ ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনেক পদ শূন্য। এসব পদে জনবল নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এসব সংকটের পরও স্বাস্থ্যসেবা চালু রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

পাগল বেশে রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সম্পর্কে যা জানা গেল

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত