চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে রাজস্ব কমেছে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের শরীয়তপুর অংশে সড়ক বেহাল ও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহন পারাপার অনেক কমেছে। চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার যানবহন এখন পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলে যায়। যে কারণে এই ফেরি রুটের দুই পাড়েই রাজস্ব কমেছে। ২০ লাখ টাকার স্থলে এখন রাজস্ব আদায় হয় প্রতিদিন মাত্র ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। ফেরি থাকলেও পার হওয়ার জন্য যানবাহন না থাকায় অলস সময় কাটান কর্মচারীরা। বিআইডব্লিউটিসি (বাণিজ্য) চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হরিণা ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড সম্পূর্ণ ফাঁকা। কোনো যানবাহনই টার্মিনালে পার্ক করা নেই। আগে পার্কিং ইয়ার্ডজুড়ে গাড়ির অবস্থান ছিল। অনেক সময় ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকত। মালবাহী যানবাহন ও গণপরিবহন পার হওয়ার জন্য রয়েছে সাতটি ফেরি; কিন্তু এখন চারটি ফেরি চলাচল করলেও গাড়ির সংখ্যা খুবই কম।

খুলনা থেকে আসা ট্রাকচালক খন্দকার রিয়াদ জানান, এখন আর ফেরিঘাটে এসে বসে থাকতে হয় না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পার হওয়া যায়। তবে গাড়ি কম হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যে করতে হয়। সড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই।

কাকলী ফেরির মাস্টার আব্দুল আজিজ জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এসব স্থান থেকে কয়েকটি ফেরি হরিণা এসেছে। এই ঘাটে বড় ফেরি গোলাম মাওলা, কাবেরী, কাকলী, কামেনী, কেতুকী, কুমারী ও কিশোরী আছে। এত ফেরি থাকলেও যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম।

বিআইডব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল হোসেন চৌধুরী জানান, গত বছর এ সময়ে প্রতিদিন দুই পাড় মিলে গাড়ি পার হয়েছে প্রায় এক হাজার। এখন পার হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০০। যে কারণে রাজস্ব ২০ লাখের স্থলে আদায় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। তবে শরীয়তপুর অংশের সড়ক মেরামত করা হলে যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত