গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
কিছুদিন আগেও শীতের সবজি ও পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত ছিলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মাপারের কৃষকেরা। পরিবারের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও নেমেছিল খেতের কাজে। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সেই খুশি ম্লান। টানা বর্ষণে খেতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে গত রোববার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে। হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিখেতে জমেছে পানি। কিছু কিছু খেত পুরোটাই পানির নিচে। এতে অনেক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেউ খেতের পানি হাতে সেচে ফসল রক্ষার নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রোপিত বীজ পচে গেছে, তাই শেষরক্ষা হবে না বলে জানান চাষিরা।
গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মন্ডলেরপাড়া ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মুড়িকাটা পেঁয়াজখেত ও বীজতলায় জমে আছে পানি। কোনো কোনো জমির সবজির চারা মরতে শুরু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, ‘টানা বৃষ্টিতে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। নতুন করে বীজতলা তৈরি এবং সবজির চারা রোপণের পর তা বাজারে আসতে দেরি হবে। তত দিনে বাজারে সবজির দামও অনেক বেশি থাকবে। তা ছাড়া নতুন করে আবার আবাদ করায় উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে।’
উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া গ্রামের কিষানী আব্দুল খালেকের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘এত-ক্যাতা (সর্বস্ব) বেইচা বিগাদেড়েক খ্যাতে পেঁয়াজ লাগাইচিলাম। হেরপরও পইরেতের (কৃষিশ্রমিক) দাম দিবার না পাইরে ঘরে কয়ডা খাওয়ার ধান আছিল, তাও বেইচা পইরেতের দাম দিছিলাম। দেওয়ার (বৃষ্টি) পানিতে হেই খ্যাত তলাইয়া গেছে। আমাগো সব শ্যাষ অইয়া গেছে। এহুন খামু কী? আবার ফের আবাদই বা করমু কী দিয়া?’
কৃষক বাচ্চু শেখ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরেক কৃষক আব্দুল কুদ্দুস শেখ জানান, একটি বাড়ি একটি খামার’ নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছিলেন। খেতে বৃষ্টির পানি জমে কুমড়াগাছগুলো মরতে শুরু করেছে।
নাসির সরদার নামের এক কৃষক জানান, ধারদেনা করে সোয়া বিঘা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ করেছিলেন। জমিতে এখন হাঁটুপানি। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আমার সব শেষ কইরা দিল। নতুন করে আবাদ করব সেই সামর্থ্য নেই।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ৫৫০, পেঁয়াজ ১১০, মাষকলাই ১১০, কলা ২০, রোপা আমন ৫০০, নাবী পাটবীজ ১ ও মুগডাল ৪ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পর সবজিখেতে পচন রোগ দেখা দেয় আর যাঁরা আগাম সবজির আবাদ করেছিলেন, তাঁদের ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই উপজেলায় অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা পাওয়া গেলে তা কৃষকদের দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেও শীতের সবজি ও পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত ছিলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মাপারের কৃষকেরা। পরিবারের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে ছোট শিশুরাও নেমেছিল খেতের কাজে। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সেই খুশি ম্লান। টানা বর্ষণে খেতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে গত রোববার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে। হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিখেতে জমেছে পানি। কিছু কিছু খেত পুরোটাই পানির নিচে। এতে অনেক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেউ খেতের পানি হাতে সেচে ফসল রক্ষার নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রোপিত বীজ পচে গেছে, তাই শেষরক্ষা হবে না বলে জানান চাষিরা।
গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাবিল মন্ডলেরপাড়া ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মুড়িকাটা পেঁয়াজখেত ও বীজতলায় জমে আছে পানি। কোনো কোনো জমির সবজির চারা মরতে শুরু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, ‘টানা বৃষ্টিতে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। নতুন করে বীজতলা তৈরি এবং সবজির চারা রোপণের পর তা বাজারে আসতে দেরি হবে। তত দিনে বাজারে সবজির দামও অনেক বেশি থাকবে। তা ছাড়া নতুন করে আবার আবাদ করায় উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাবে।’
উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতুব্বরপাড়া গ্রামের কিষানী আব্দুল খালেকের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘এত-ক্যাতা (সর্বস্ব) বেইচা বিগাদেড়েক খ্যাতে পেঁয়াজ লাগাইচিলাম। হেরপরও পইরেতের (কৃষিশ্রমিক) দাম দিবার না পাইরে ঘরে কয়ডা খাওয়ার ধান আছিল, তাও বেইচা পইরেতের দাম দিছিলাম। দেওয়ার (বৃষ্টি) পানিতে হেই খ্যাত তলাইয়া গেছে। আমাগো সব শ্যাষ অইয়া গেছে। এহুন খামু কী? আবার ফের আবাদই বা করমু কী দিয়া?’
কৃষক বাচ্চু শেখ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরেক কৃষক আব্দুল কুদ্দুস শেখ জানান, একটি বাড়ি একটি খামার’ নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছিলেন। খেতে বৃষ্টির পানি জমে কুমড়াগাছগুলো মরতে শুরু করেছে।
নাসির সরদার নামের এক কৃষক জানান, ধারদেনা করে সোয়া বিঘা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ করেছিলেন। জমিতে এখন হাঁটুপানি। চোখের পানি মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি আমার সব শেষ কইরা দিল। নতুন করে আবাদ করব সেই সামর্থ্য নেই।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ৫৫০, পেঁয়াজ ১১০, মাষকলাই ১১০, কলা ২০, রোপা আমন ৫০০, নাবী পাটবীজ ১ ও মুগডাল ৪ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পর সবজিখেতে পচন রোগ দেখা দেয় আর যাঁরা আগাম সবজির আবাদ করেছিলেন, তাঁদের ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই উপজেলায় অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা পাওয়া গেলে তা কৃষকদের দেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে