বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ত্রিরত্ন বৌদ্ধবিহার, ৫ ঘর

মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৪২
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার ত্রিরত্ন বৌদ্ধবিহারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে মন্দির ও পাঁচটি বসতঘর পুড়ে গেছে। তবে আগুনে কেউ হতাহত হননি। গতকাল রোববার বেলা ২টার দিকে শর্টসার্কিটে উপজেলার বুদংপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই বৌদ্ধবিহারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে বিহারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, শর্টসার্কিট থেকে বিহারে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দ্রুতই আগুন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মন্দিরের লোকজনের চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের আগেই মন্দির ছাড়াও পাশে থাকা চারটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিহারের আশপাশে থাকা লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে বিহারে থাকা মূল্যবান আসবাব পুড়ে যায়।

উপজেলার বুদংপাড়া এলাকায় ১৯৯৮ সাল স্থাপন করা হয় ত্রিরত্ন বৌদ্ধবিহার।

বিহার যুবসমাজের সাধারণ সম্পাদক অংশেনু মারমা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিহারের লোকজন বাইরে অবস্থান করেছিলেন। হঠাৎ বিদ্যুৎ এলে বিহারের ভেতরে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। তারপর আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিক আগুন বিহারের আশপাশে থাকা ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।’

বিহারের অধ্যক্ষ উঃ ভদন্ত ক্ষেমাসারা থের বলেন, ‘বিহারের ভেতর নগদ অর্থের মধ্যে ২ লাখ টাকা ছিল। এ ছাড়া ডেকোরেশন ও অন্যান্য মালামাল বাবদ প্রায় ১৫ লাখ টাকার সম্পদ ছিল। বিহারের অধীনে আমার থাকার ঘরসহ ৫টা ঘর পুড়েছে। বিহারে আমার সঙ্গে ২ জন শ্রমণ থাকতেন। সঙ্গে একটা ছাত্রও থাকত। ছাত্রের বইপত্রসহ কাপড়চোপড় পুড়ে গেছে। কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’

মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের কর্মকর্তারা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনে লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুষার আহমেদ বলেন, ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধবিহারটি সরেজমিনে দেখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ উপজেলা প্রশাসনের বার্ষিক বরাদ্দ থেকে বৌদ্ধবিহারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত