সনি আজাদ, চারঘাট
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে ভাঙনের আশঙ্কা। এ কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পদ্মার পাড়ের হাজারো মানুষ।
এক দশক ধরে নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে নদীভাঙনের শিকার হয়ে কয়েক হাজার পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। কেউ আবার জায়গা-জমি সব হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভাঙনের কবলে পড়ে হয়েছেন ভূমিহীন।
এবারও বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই চারঘাটের ইউসুফপুর ও সদর ইউনিয়নের প্রায় চারটি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় পাউবোর কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কথাটা ভুল। চারঘাট-বাঘা এলাকায় পদ্মার ভাঙন রোধে ৭২২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এ মৌসুমে সব এলাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ প্রকল্পের কাজ আগামী মৌসুমে শেষ হবে। এ কাজ শেষ হলেই ভাঙন রোধ হবে।
রাজশাহী পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাঁ তীরের স্থাপনাগুলো নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭২২ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের কাজে টাকা বরাদ্দের জটিলতায় কাজ চলছে ধীরে।
পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাওথা এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর ও চন্দনশহর এলাকায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। এদিকে ইউসুফপুর এলাকার পুরোনো বাঁধেও ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব এলাকায় পাউবোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
পদ্মা পাড়ের পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতিবছরই নদীতে বিলীন হচ্ছে তাঁদের বসতভিটা ও কৃষিজমি। ভাঙন রোধে নেই কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা। যখন ভাঙন শুরু হয় তখনই কেবল নামমাত্র কাজ করা হয়। যে কাজে কোনো সফলতা আসে না। শুধু সরকারের টাকা নষ্ট। এবারও তাঁদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তা প্রতিরোধে পাউবো আসেনি।
উপজেলার ইউসুফপুর কৃষি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইউসুফপুর এলাকার পুরোনো বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাঙনরোধে আগেভাগে ব্যবস্থা না নিলে এ বছর নদীতে বিলীন হবে উপজেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক গ্রাম।’
রাজশাহী পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ভাঙনরোধে প্রকল্পের কাজও চলমান আছে। ইউসুফপুর এলাকায় আগামী মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু হবে। তবে পানি বাড়ায় যেসব এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হচ্ছে, সেখানে জিও ব্যাগ ফেলাসহ যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে ভাঙনের আশঙ্কা। এ কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পদ্মার পাড়ের হাজারো মানুষ।
এক দশক ধরে নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে নদীভাঙনের শিকার হয়ে কয়েক হাজার পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। কেউ আবার জায়গা-জমি সব হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভাঙনের কবলে পড়ে হয়েছেন ভূমিহীন।
এবারও বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই চারঘাটের ইউসুফপুর ও সদর ইউনিয়নের প্রায় চারটি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় পাউবোর কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কথাটা ভুল। চারঘাট-বাঘা এলাকায় পদ্মার ভাঙন রোধে ৭২২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এ মৌসুমে সব এলাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ প্রকল্পের কাজ আগামী মৌসুমে শেষ হবে। এ কাজ শেষ হলেই ভাঙন রোধ হবে।
রাজশাহী পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাঁ তীরের স্থাপনাগুলো নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭২২ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের কাজে টাকা বরাদ্দের জটিলতায় কাজ চলছে ধীরে।
পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাওথা এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর ও চন্দনশহর এলাকায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। এদিকে ইউসুফপুর এলাকার পুরোনো বাঁধেও ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব এলাকায় পাউবোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
পদ্মা পাড়ের পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতিবছরই নদীতে বিলীন হচ্ছে তাঁদের বসতভিটা ও কৃষিজমি। ভাঙন রোধে নেই কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা। যখন ভাঙন শুরু হয় তখনই কেবল নামমাত্র কাজ করা হয়। যে কাজে কোনো সফলতা আসে না। শুধু সরকারের টাকা নষ্ট। এবারও তাঁদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তা প্রতিরোধে পাউবো আসেনি।
উপজেলার ইউসুফপুর কৃষি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইউসুফপুর এলাকার পুরোনো বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাঙনরোধে আগেভাগে ব্যবস্থা না নিলে এ বছর নদীতে বিলীন হবে উপজেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক গ্রাম।’
রাজশাহী পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ভাঙনরোধে প্রকল্পের কাজও চলমান আছে। ইউসুফপুর এলাকায় আগামী মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু হবে। তবে পানি বাড়ায় যেসব এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হচ্ছে, সেখানে জিও ব্যাগ ফেলাসহ যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪