তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে চারদিকের শত সমালোচনার মুখেও যে মানুষটি বহাল তবিয়তে ছিলেন, তিনি হলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ওয়াসায় এখনো বহাল তবিয়তে আছে তাঁর বসানো লোকজন। ফলে তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনো আছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। প্রথম নিয়োগ থেকে মোট সাতবার নিজের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়াসাকে যেন নিজের ব্যক্তিগত সংস্থায় পরিণত করেছিলেন এ প্রকৌশলী। নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় অনেকটা অচল হয়ে পড়ে সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই তাঁর সেই সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন ওয়াসার কমপক্ষে ১০ জন প্রকৌশলী।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করলেও তাঁর অনুসারীরা এখনো বহাল তবিয়তে। বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া প্রকল্পের ১৯ হাজার কোটি টাকা এখন ওয়াসার কাঁধে ঋণের বোঝা রেখে গেছেন তাকসিম। এসব প্রকল্পের পিডির দায়িত্বেও রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানতে চাইলে গতকাল শনিবার ঢাকা ওয়াসার সদ্য নিয়োগ পাওয়া এমডি এ কে এম শহীদ উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ঢাকা শহরের পানি সরবরাহের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবই সমাধান হবে। আমি যদি সবকিছু এই মুহূর্তে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি, তাহলে মানুষের সেবা দিতে পারব না। তাই আপাতত নো কমেন্টস।’
ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বিদায়ী এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো তাঁরই দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম শহীদ উদ্দীনকে। প্রকৌশলী শহীদ ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এর আগে তাকসিমের পছন্দের পরিচালক, উপদেষ্টা ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
তাকসিম সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য তাঁর একান্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে সংস্থার ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি। এ ছাড়া ৮ হাজার কোটি টাকার এডিবি প্রকল্পের পিডি ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ, তাকসিমের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম, সংস্থার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, ক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার সাত্তার, প্রকল্প পরিচালক ওয়াইজ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (১৬ ইউনিয়ন পানি সরবরাহ) আজিজুল হক এবং সায়েদাবাদ পানি সরবরাহ-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।
ওয়াসার সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী তাকসিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অর্থ জোগানদাতা হিসেবে শহীদ উদ্দীনের নাম আসে সবার আগে। তাকসিমের বিদায়ের পরও তাঁর সহযোগী বর্তমান এমডি শহীদ উদ্দিন তাকসিমের নির্দেশে সিন্ডিকেটের সদস্যদের নানাভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা যে পদে আছেন, তাঁদের সেই পদেই রাখবেন ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসা ভবনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে চারদিকের শত সমালোচনার মুখেও যে মানুষটি বহাল তবিয়তে ছিলেন, তিনি হলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ওয়াসায় এখনো বহাল তবিয়তে আছে তাঁর বসানো লোকজন। ফলে তাকসিম না থাকলেও তাঁর সিন্ডিকেট এখনো আছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম এ খান। প্রথম নিয়োগ থেকে মোট সাতবার নিজের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়াসাকে যেন নিজের ব্যক্তিগত সংস্থায় পরিণত করেছিলেন এ প্রকৌশলী। নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় অনেকটা অচল হয়ে পড়ে সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই তাঁর সেই সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন ওয়াসার কমপক্ষে ১০ জন প্রকৌশলী।
হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকসিম এ খানের চুক্তি বাতিল করলেও তাঁর অনুসারীরা এখনো বহাল তবিয়তে। বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া প্রকল্পের ১৯ হাজার কোটি টাকা এখন ওয়াসার কাঁধে ঋণের বোঝা রেখে গেছেন তাকসিম। এসব প্রকল্পের পিডির দায়িত্বেও রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানতে চাইলে গতকাল শনিবার ঢাকা ওয়াসার সদ্য নিয়োগ পাওয়া এমডি এ কে এম শহীদ উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন ঢাকা শহরের পানি সরবরাহের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবই সমাধান হবে। আমি যদি সবকিছু এই মুহূর্তে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি, তাহলে মানুষের সেবা দিতে পারব না। তাই আপাতত নো কমেন্টস।’
ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বিদায়ী এমডি তাকসিম এ খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো তাঁরই দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম শহীদ উদ্দীনকে। প্রকৌশলী শহীদ ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এর আগে তাকসিমের পছন্দের পরিচালক, উপদেষ্টা ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
তাকসিম সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য তাঁর একান্ত অনুসারী হিসেবে পরিচিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে সংস্থার ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি। এ ছাড়া ৮ হাজার কোটি টাকার এডিবি প্রকল্পের পিডি ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ, তাকসিমের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম, সংস্থার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, ক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার সাত্তার, প্রকল্প পরিচালক ওয়াইজ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (১৬ ইউনিয়ন পানি সরবরাহ) আজিজুল হক এবং সায়েদাবাদ পানি সরবরাহ-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।
ওয়াসার সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী তাকসিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অর্থ জোগানদাতা হিসেবে শহীদ উদ্দীনের নাম আসে সবার আগে। তাকসিমের বিদায়ের পরও তাঁর সহযোগী বর্তমান এমডি শহীদ উদ্দিন তাকসিমের নির্দেশে সিন্ডিকেটের সদস্যদের নানাভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা যে পদে আছেন, তাঁদের সেই পদেই রাখবেন ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসা ভবনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪