মো. নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ
শুভাঢ্যা খাল কেরানীগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। দখল আর দূষণে ইতিমধ্যে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এই খাল। বর্ষা শেষে জলাধারে সাধারণত পানি থাকলেও এই খালে নেই পানির দেখা।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, একসময় এই খাল দিয়ে বড় বড় লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল করত। কথিত আছে, এই খাল দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টিমারে করে গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। এই খালে এখন লঞ্চ তো দূরের কথা, খেয়া নৌকাও চলা দায়।
একটা সময় উপজেলার শুভাঢ্যা, আগানগর ও তেঘরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির প্রধান উৎস ছিল এই শুভাঢ্যা খাল। এই খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন উপজেলার অনেক বাসিন্দা। দেশীয় প্রায় সব প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম ছিল শুভাঢ্যা খাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় দিয়ে খাল প্রায় ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া খালের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ময়লা আর আবর্জনা দিয়ে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও খালের মাঝখানেই জন্ম নিয়েছে বড় বড় গাছ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খালের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খাল রক্ষায় সরকার বিভিন্ন সময় বরাদ্দ দিলেও খাতাপত্রেই তা সীমাবদ্ধ। জনগণের চোখে ধুলো দিতে কিছু কাজ করেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুভাঢ্যা খালে বুড়িগঙ্গা নদীর মুখ চর কালীগঞ্জ থেকে গোলামবাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালায়। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালের উভয় পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ১৮৬টি ছোট-বড় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া খালটি পুনরায় খনন করে সেখানে পানির নাব্যতা সৃষ্টি করা হয়।
খালটি পুনরায় দখল ও দূষণ হয়ে গেলে ২০১২ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে খাল খনন ও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কাজ করে। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার দখল ও দূষণের কারণে খালটি পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।
গত ২০১৫ সালের ৮ মার্চ পুনরায় খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ করার কথা ছিল। এতে খালের ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ করে খালের দুপাশে ব্লক বসিয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা ছিল। ওই বছরের জুলাই মাসেই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কয়েক মাস কাজ করে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৬ সালের শুরু থেকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ কিলোমিটারের পর থেকে বর্জ্য অপসারণ ও নাব্যতা সৃষ্টির কাজ করে। কাবিখা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের সংস্কারের পরে ওই বছরের ৩১ জুলাই খালে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ফের ময়লা-আবর্জনায় খালটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
শুভাঢ্যা এলাকার বাসিন্দা মুনসুর আলী বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই খালে গোসল করেছি। বাসাবাড়ির কাজে খালের পানি ব্যবহার করেছি। আর এখন এই খাল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।’
ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শুভাঢ্যা খালটি কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্য। ঐতিহ্যবাহী এই খাল রক্ষায় সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান দুটোই চলবে। খাল-নদী দখল-দূষণে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে।’
শুভাঢ্যা খাল কেরানীগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। দখল আর দূষণে ইতিমধ্যে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এই খাল। বর্ষা শেষে জলাধারে সাধারণত পানি থাকলেও এই খালে নেই পানির দেখা।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, একসময় এই খাল দিয়ে বড় বড় লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল করত। কথিত আছে, এই খাল দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টিমারে করে গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। এই খালে এখন লঞ্চ তো দূরের কথা, খেয়া নৌকাও চলা দায়।
একটা সময় উপজেলার শুভাঢ্যা, আগানগর ও তেঘরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির প্রধান উৎস ছিল এই শুভাঢ্যা খাল। এই খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন উপজেলার অনেক বাসিন্দা। দেশীয় প্রায় সব প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম ছিল শুভাঢ্যা খাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় দিয়ে খাল প্রায় ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া খালের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ময়লা আর আবর্জনা দিয়ে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও খালের মাঝখানেই জন্ম নিয়েছে বড় বড় গাছ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খালের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খাল রক্ষায় সরকার বিভিন্ন সময় বরাদ্দ দিলেও খাতাপত্রেই তা সীমাবদ্ধ। জনগণের চোখে ধুলো দিতে কিছু কাজ করেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুভাঢ্যা খালে বুড়িগঙ্গা নদীর মুখ চর কালীগঞ্জ থেকে গোলামবাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালায়। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালের উভয় পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ১৮৬টি ছোট-বড় স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া খালটি পুনরায় খনন করে সেখানে পানির নাব্যতা সৃষ্টি করা হয়।
খালটি পুনরায় দখল ও দূষণ হয়ে গেলে ২০১২ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে খাল খনন ও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কাজ করে। উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার দখল ও দূষণের কারণে খালটি পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।
গত ২০১৫ সালের ৮ মার্চ পুনরায় খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ করার কথা ছিল। এতে খালের ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ করে খালের দুপাশে ব্লক বসিয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা ছিল। ওই বছরের জুলাই মাসেই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কয়েক মাস কাজ করে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৬ সালের শুরু থেকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ কিলোমিটারের পর থেকে বর্জ্য অপসারণ ও নাব্যতা সৃষ্টির কাজ করে। কাবিখা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের সংস্কারের পরে ওই বছরের ৩১ জুলাই খালে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ফের ময়লা-আবর্জনায় খালটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
শুভাঢ্যা এলাকার বাসিন্দা মুনসুর আলী বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই খালে গোসল করেছি। বাসাবাড়ির কাজে খালের পানি ব্যবহার করেছি। আর এখন এই খাল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।’
ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শুভাঢ্যা খালটি কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্য। ঐতিহ্যবাহী এই খাল রক্ষায় সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান দুটোই চলবে। খাল-নদী দখল-দূষণে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে