মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
সম্প্রতি নোয়াখালীতে বিদ্যুৎবিভ্রাট (লোডশেডিং) বেড়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তেমনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মতো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানও। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকও পাচ্ছে না তারা। তাই সংকট নিরসনেরও কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক দিন ধরে দিনে ও রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন যায়, তার ঠিক নেই। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে দিনের তুলনায় রাতে কষ্ট বেশি। দিনের চেয়ে রাতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছে মহাবিপদে। বিদ্যুৎ না থাকায় সময়মতো পানি তুলতে না পারায় বাসাবাড়িতে সময়মতো পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁদের দুর্বিষহ অবস্থা। বিদ্যুৎ না পেয়ে দ্রুত দোকান বন্ধ করায় চুরির মতো ঘটনাও ঘটছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ছোট ও মাঝারি কলকারখানায়।
বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ইউনিট-২-এর ম্যানেজার নুরুল আহসান লিটন বলেন, কয়েক দিনে তাঁদের উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেকে এসেছে। আগে কারখানা চালুর পর থেকে সারা দিনে (সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা) একবার বিদ্যুৎ যেত। বর্তমানে প্রতিদিন ৩-৪ বার বিদ্যুৎ যায়। প্রতিবার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে, কখনো আরও বেশি। এতে যেমন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি মেশিনের যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।
নুরুল আহসান লিটন আরও বলেন, এক সপ্তাহে তাঁর কারখানার একটি মেশিন দুবার নষ্ট হয়েছে। ঘনঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার মেশিন চালুর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে হিট হওয়ার পর উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে লোডশেডিং হলে আবার মেশিন হিট করতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে, এতে বিদ্যুৎ খরচও বাড়ছে।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৯ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। পল্লী বিদ্যুতের ১৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে তাঁরা সরবরাহ পাচ্ছেন মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ মেগাওয়াট। আর পিডিবির পিক আওয়ারে ৩০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ১০-১২ মেগাওয়াট। সরবরাহ কম থাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ৪৫ থেকে ৪৭ শতাংশ এবং রাতে প্রায় ৫০ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছে।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে বিদ্যুৎবিভ্রাট (লোডশেডিং) বেড়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তেমনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মতো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানও। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকও পাচ্ছে না তারা। তাই সংকট নিরসনেরও কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক দিন ধরে দিনে ও রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন যায়, তার ঠিক নেই। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে দিনের তুলনায় রাতে কষ্ট বেশি। দিনের চেয়ে রাতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছে মহাবিপদে। বিদ্যুৎ না থাকায় সময়মতো পানি তুলতে না পারায় বাসাবাড়িতে সময়মতো পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁদের দুর্বিষহ অবস্থা। বিদ্যুৎ না পেয়ে দ্রুত দোকান বন্ধ করায় চুরির মতো ঘটনাও ঘটছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ছোট ও মাঝারি কলকারখানায়।
বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ইউনিট-২-এর ম্যানেজার নুরুল আহসান লিটন বলেন, কয়েক দিনে তাঁদের উৎপাদন কমে প্রায় অর্ধেকে এসেছে। আগে কারখানা চালুর পর থেকে সারা দিনে (সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা) একবার বিদ্যুৎ যেত। বর্তমানে প্রতিদিন ৩-৪ বার বিদ্যুৎ যায়। প্রতিবার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে, কখনো আরও বেশি। এতে যেমন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি মেশিনের যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।
নুরুল আহসান লিটন আরও বলেন, এক সপ্তাহে তাঁর কারখানার একটি মেশিন দুবার নষ্ট হয়েছে। ঘনঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার মেশিন চালুর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে হিট হওয়ার পর উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে লোডশেডিং হলে আবার মেশিন হিট করতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে, এতে বিদ্যুৎ খরচও বাড়ছে।
জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৯ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। পল্লী বিদ্যুতের ১৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে তাঁরা সরবরাহ পাচ্ছেন মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ মেগাওয়াট। আর পিডিবির পিক আওয়ারে ৩০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ১০-১২ মেগাওয়াট। সরবরাহ কম থাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ৪৫ থেকে ৪৭ শতাংশ এবং রাতে প্রায় ৫০ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে