কামাল হোসেন, কয়রা
কয়রা উপজেলায় আকাশে কালো মেঘ ও বাতাসের একটু বেগ বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। তিন-চার ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। কখনো সেটি স্বাভাবিক হতে এক-দুদিনও লাগে।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে ঘের ও বিলের মধ্য দিয়ে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন। এই লাইনই এখন বিদ্যুৎকর্মীদের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কখন, কোথায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়—এ নিয়েই তাঁদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া নারকেল, কড়ইসহ অন্যান্য গাছের ডালা ও পাতা পড়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসটি সাতক্ষীরা গ্রিডের মাধ্যমে উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সাতটি ইউনিয়নে মোট গ্রাহক ৬৫ হাজার ২৬০ জন। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৬৪ ও বাণিজ্যিক গ্রাহক ৩ হাজার ৯৬৮ জন।
আমাদী ইউনিয়নের হাতিয়ারডাঙ্গা ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে ফুলতলা বাজারে স্থাপিত ২টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ৬টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইনগুলো। ১৮ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করতে মাঠে কাজ করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের গ্রাহক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ দিনভর বিদ্যুৎ থাকে না। অফিসে খোঁজ নিলে বলে সাতক্ষীরা লাইনে ঝামেলা হয়েছে। অপেক্ষা করেন আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া আকাশে কালো মেঘ ও ঝোড়ো বাতাস দেখা দিলে বিদ্যুৎ থাকে না। কয়েক দিন আগে কয়েকটি স্থানে গাছ পড়লে আমাদের গ্রামে দুদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল হয়নি।
মহারাজপুর গ্রামের গ্রাহক আছাফুর রহমান বলেন, ‘আগে বাতাস বাড়লে ঘর-দরজা ভেঙে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। লাইনের ওপর একবার গাছ পড়লে ৮-১০ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। কখনো কখনো এটা এক-দুই দিনও গড়ায়। এত বেশি পরিমাণ গাছ পড়ে যে বিদ্যুতের লোকজন দিন-রাত চেষ্টা করেও লাইন চালু করতে সক্ষম হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের একজন লাইনম্যান বলেন, আকাশে কালো মেঘ ও বাতাস বাড়তে দেখলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বেশি আতঙ্কে থাকি সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে আমাদের হাতিয়ারডাঙ্গা উপকেন্দ্রে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন নিয়ে। এই লাইনে সমস্যা হলে মাছের ঘেরের মধ্য দিয়ে সমস্যা খুঁজতে হয়। এখন গড়ে প্রতিদিন ১০-১২টি অভিযোগ সমাধান করলেও আকাশে কালো মেঘ ও ঝোড়ো বাতাস দেখা দিলে তা বেড়ে ৮০-৯০টির মতো দাঁড়ায়। কখনো কখনো দিন-রাত কাজ করে লাইন চালু করতে হয়। জোনাল অফিসে আরও ১০-১৫ জন লাইনম্যান পদায়ন করলে এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে যেত।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায়। আর আমাদের বিদ্যুৎ আসে সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে। আমাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু সাতক্ষীরার লাইনে সমস্যা। যে কারণে আমাদের বিদ্যুৎবিভ্রাটে পড়তে হয়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্য খুলনার সঙ্গে এ এলাকার লাইন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।’
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘১টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এ উপজেলায় আমাদের ১ হাজার ৫৯০ কিলোমিটার লাইন পরিচালনা করতে হয়। প্রতিদিন এখানে সাড়ে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে ঘের ও বিলের মধ্য দিয়ে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন। জাতীয় চাহিদা সমন্বয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে আমাদের ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম দেওয়ায় লোডশেডিং করতে হয়। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।’
কয়রা উপজেলায় আকাশে কালো মেঘ ও বাতাসের একটু বেগ বাড়লেই চলে যায় বিদ্যুৎ। তিন-চার ঘণ্টা লেগে যায় আবার ফিরে আসতে। কখনো সেটি স্বাভাবিক হতে এক-দুদিনও লাগে।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে ঘের ও বিলের মধ্য দিয়ে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন। এই লাইনই এখন বিদ্যুৎকর্মীদের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কখন, কোথায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়—এ নিয়েই তাঁদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া নারকেল, কড়ইসহ অন্যান্য গাছের ডালা ও পাতা পড়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসটি সাতক্ষীরা গ্রিডের মাধ্যমে উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সাতটি ইউনিয়নে মোট গ্রাহক ৬৫ হাজার ২৬০ জন। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৬৪ ও বাণিজ্যিক গ্রাহক ৩ হাজার ৯৬৮ জন।
আমাদী ইউনিয়নের হাতিয়ারডাঙ্গা ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে ফুলতলা বাজারে স্থাপিত ২টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ৬টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইনগুলো। ১৮ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করতে মাঠে কাজ করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের গ্রাহক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ দিনভর বিদ্যুৎ থাকে না। অফিসে খোঁজ নিলে বলে সাতক্ষীরা লাইনে ঝামেলা হয়েছে। অপেক্ষা করেন আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া আকাশে কালো মেঘ ও ঝোড়ো বাতাস দেখা দিলে বিদ্যুৎ থাকে না। কয়েক দিন আগে কয়েকটি স্থানে গাছ পড়লে আমাদের গ্রামে দুদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল হয়নি।
মহারাজপুর গ্রামের গ্রাহক আছাফুর রহমান বলেন, ‘আগে বাতাস বাড়লে ঘর-দরজা ভেঙে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। লাইনের ওপর একবার গাছ পড়লে ৮-১০ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। কখনো কখনো এটা এক-দুই দিনও গড়ায়। এত বেশি পরিমাণ গাছ পড়ে যে বিদ্যুতের লোকজন দিন-রাত চেষ্টা করেও লাইন চালু করতে সক্ষম হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের একজন লাইনম্যান বলেন, আকাশে কালো মেঘ ও বাতাস বাড়তে দেখলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বেশি আতঙ্কে থাকি সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে আমাদের হাতিয়ারডাঙ্গা উপকেন্দ্রে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন নিয়ে। এই লাইনে সমস্যা হলে মাছের ঘেরের মধ্য দিয়ে সমস্যা খুঁজতে হয়। এখন গড়ে প্রতিদিন ১০-১২টি অভিযোগ সমাধান করলেও আকাশে কালো মেঘ ও ঝোড়ো বাতাস দেখা দিলে তা বেড়ে ৮০-৯০টির মতো দাঁড়ায়। কখনো কখনো দিন-রাত কাজ করে লাইন চালু করতে হয়। জোনাল অফিসে আরও ১০-১৫ জন লাইনম্যান পদায়ন করলে এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে যেত।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায়। আর আমাদের বিদ্যুৎ আসে সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে। আমাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু সাতক্ষীরার লাইনে সমস্যা। যে কারণে আমাদের বিদ্যুৎবিভ্রাটে পড়তে হয়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্য খুলনার সঙ্গে এ এলাকার লাইন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।’
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘১টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এ উপজেলায় আমাদের ১ হাজার ৫৯০ কিলোমিটার লাইন পরিচালনা করতে হয়। প্রতিদিন এখানে সাড়ে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা সাতক্ষীরা গ্রিড থেকে ঘের ও বিলের মধ্য দিয়ে আসা ৪৫ কিলোমিটার লাইন। জাতীয় চাহিদা সমন্বয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে আমাদের ২-৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম দেওয়ায় লোডশেডিং করতে হয়। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১০ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪