হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
পাহাড়তলী ওয়্যারলেস কলোনির মো। ড়ে টিঅ্যান্ডটি অফিসে ছিল ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের ক্যাম্প। কয়েক গজ দূরে ছিল জল্লাদখানা। পাহাড়তলী এলাকায় বাঙালিদের ট্রেন থেকে নামিয়ে এখানে এনে হত্যা করত পাকিস্তানিরাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পার হলেও এখানকার বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা হয়নি। পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত এই বধ্যভূমির সামনের অংশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বধ্যভূমির পুরো ১ দশমিক ৭৫ একর জায়গাটি এখনো অরক্ষিত।
শুধু পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত বধ্যভূমি নয়, চট্টগ্রামের ১১১টি বধ্যভূমি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতক পরও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি। এর মধ্যে নগরীর ৬১টি বধ্যভূমির ৫৬টিতেই নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। ২০১৮ সালে একটি প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভূমি জটিলতার কারণে এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
গত চার বছরে এসব বধ্যভূমির কোনোটির কাজই শুরু করতে পারেনি গণপূর্ত অধিদপ্তর। কোথাও নির্ধারিত পরিমাণ জায়গা নেই। আবার কোথাও জায়গা থাকলেও ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায় অধিগ্রহণ না হওয়ায় আটকে যাচ্ছে বধ্যভূমি সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জোনের স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী সোমেন মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার জন্য আমরা চিঠি পেয়েছি। কিন্তু ভূমি জটিলতার কারণে এগুলোর কোনোটিইতে এখনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বাঁশখালী উপজেলার একটি বধ্যভূমির জায়গা সম্পর্কিত ঝামেলা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আগামী মাসে ওই বধ্যভূমিতে কাজ শুরু হবে।’
সোমেন মল্লিক আরও বলেন, ‘অধিকাংশ বধ্যভূমির জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন। তাই জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা ছাড়া সেখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কয়েকটি বধ্যভূমির জায়গা নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তাই ভূমি জটিলতা নিরসন না হলে এগুলোতে কাজ করা সম্ভব হবে না।’
চট্টগ্রাম নগরীর ৬১টি বধ্যভূমিসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১১১টি বধ্যভূমি রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ১১১টি বধ্যভূমির মধ্যে নগরীর পাঁচটি এবং ৬টি উপজেলার আরও ১১টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ’ শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের এই ১৬টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা।
১৬টি বধ্যভূমির মধ্যে ৬টির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছেন গণপূর্ত বিভাগ-২ (চট্টগ্রাম) নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হলে একটি বধ্যভূমিতে কমপক্ষে ১৯ শতক জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু আমাকে যে ৬টি বধ্যভূমির কাজ বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ বধ্যভূমির জন্য ১৯ শতক জায়গা নেই। যে জায়গা আছে, সে জায়গাগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাই এগুলো অধিগ্রহণ করা ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগ-১ (চট্টগ্রাম) নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ। চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমির মধ্যে এই প্রকৌশলী ৪টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছেন।
রাহুল গুহ আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে চারটা বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে বাঁশখালী উপজেলার গুনগরি বধ্যভূমির কাজ আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি তিনটা বধ্যভূমির কাজ আমরা এখনো শুরু করতে পারিনি। ভূমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে জটিলতার কারণে এগুলোর কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির অধীনে আমরা সারা দেশে ২৮১টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
পাহাড়তলী ওয়্যারলেস কলোনির মো। ড়ে টিঅ্যান্ডটি অফিসে ছিল ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের ক্যাম্প। কয়েক গজ দূরে ছিল জল্লাদখানা। পাহাড়তলী এলাকায় বাঙালিদের ট্রেন থেকে নামিয়ে এখানে এনে হত্যা করত পাকিস্তানিরাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পার হলেও এখানকার বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা হয়নি। পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত এই বধ্যভূমির সামনের অংশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বধ্যভূমির পুরো ১ দশমিক ৭৫ একর জায়গাটি এখনো অরক্ষিত।
শুধু পূর্ব পাহাড়তলী বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত বধ্যভূমি নয়, চট্টগ্রামের ১১১টি বধ্যভূমি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতক পরও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি। এর মধ্যে নগরীর ৬১টি বধ্যভূমির ৫৬টিতেই নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। ২০১৮ সালে একটি প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভূমি জটিলতার কারণে এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
গত চার বছরে এসব বধ্যভূমির কোনোটির কাজই শুরু করতে পারেনি গণপূর্ত অধিদপ্তর। কোথাও নির্ধারিত পরিমাণ জায়গা নেই। আবার কোথাও জায়গা থাকলেও ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায় অধিগ্রহণ না হওয়ায় আটকে যাচ্ছে বধ্যভূমি সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জোনের স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী সোমেন মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার জন্য আমরা চিঠি পেয়েছি। কিন্তু ভূমি জটিলতার কারণে এগুলোর কোনোটিইতে এখনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বাঁশখালী উপজেলার একটি বধ্যভূমির জায়গা সম্পর্কিত ঝামেলা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আগামী মাসে ওই বধ্যভূমিতে কাজ শুরু হবে।’
সোমেন মল্লিক আরও বলেন, ‘অধিকাংশ বধ্যভূমির জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন। তাই জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা ছাড়া সেখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কয়েকটি বধ্যভূমির জায়গা নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তাই ভূমি জটিলতা নিরসন না হলে এগুলোতে কাজ করা সম্ভব হবে না।’
চট্টগ্রাম নগরীর ৬১টি বধ্যভূমিসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১১১টি বধ্যভূমি রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ১১১টি বধ্যভূমির মধ্যে নগরীর পাঁচটি এবং ৬টি উপজেলার আরও ১১টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ’ শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামের এই ১৬টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা।
১৬টি বধ্যভূমির মধ্যে ৬টির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছেন গণপূর্ত বিভাগ-২ (চট্টগ্রাম) নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হলে একটি বধ্যভূমিতে কমপক্ষে ১৯ শতক জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু আমাকে যে ৬টি বধ্যভূমির কাজ বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ বধ্যভূমির জন্য ১৯ শতক জায়গা নেই। যে জায়গা আছে, সে জায়গাগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাই এগুলো অধিগ্রহণ করা ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগ-১ (চট্টগ্রাম) নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ। চট্টগ্রামের ১৬টি বধ্যভূমির মধ্যে এই প্রকৌশলী ৪টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছেন।
রাহুল গুহ আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে চারটা বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে বাঁশখালী উপজেলার গুনগরি বধ্যভূমির কাজ আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি তিনটা বধ্যভূমির কাজ আমরা এখনো শুরু করতে পারিনি। ভূমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে জটিলতার কারণে এগুলোর কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির অধীনে আমরা সারা দেশে ২৮১টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে