মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে। এতে গত এক সপ্তাহে চড়পৌলী এলাকার পাঁচ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।
প্রতি বছর যমুনার পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় এ এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এ বছর হুমকির মুখে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত ২০ থেকে ২৫ বছর তাঁরা একটি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে তাঁদের ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে।
চরপৌলী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছও কেটে নিচ্ছেন তাঁরা। নদী তীরের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার এ কর্মযজ্ঞ। বাড়ির ছেলে, বৃদ্ধ ও নারী সদস্যরাও ঘরবাড়ি সরানোর কাজে সহযোগিতা করছেন।
ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম খান বলেন, তাঁর একটি কাঠ চেরাইয়ের মিল ছিল। সেখানে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার কাঠ ও কেটে আনা গাছের গুঁড়ি ছিল। গত শুক্রবার রাতে প্রবল ভাঙন শুরু হলে কোনো মতে মেশিনসহ কিছু কাঠ সরাতে পেরেছেন মাত্র। অনেক গাছের গুঁড়ি নদীতে ভেসে গেছে। এতে তাঁর অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।
সুরামন আলী নামের একজন বলেন, তাঁর ২০ বিঘা জমি ছিল আর এখন বাড়ি করার মতো জায়গা নেই। গত ১০ বছরে তিনবার বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। এবার আর বাড়ি করার মতো জায়গা নেই কোথাও তাঁর। এখন ঘরগুলো খুলে নিয়ে রাস্তার পাশে রেখে দিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে সরকারের কাছে একটি বাঁধ চাইছেন তাঁরা।
আনছের আলী নামের অপর একজন বলেন, প্রতিবছরই এ গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখনো এখানে কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। তাই প্রতি বছরই শত শত মানুষ গৃহহারা হচ্ছেন।
শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌরী মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে এসব প্রতিষ্ঠান বিলীন হতে পারে।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন। মাত্র কয়েক দিনেই ৫ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে চরপৌলী মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা। ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। তা না হলে আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনো মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র আহ্বান খুব দ্রুতই করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, ভাঙনকবলিতদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের কীভাবে পুনর্বাসন করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে। এতে গত এক সপ্তাহে চড়পৌলী এলাকার পাঁচ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।
প্রতি বছর যমুনার পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় এ এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এ বছর হুমকির মুখে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত ২০ থেকে ২৫ বছর তাঁরা একটি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে তাঁদের ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে।
চরপৌলী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছও কেটে নিচ্ছেন তাঁরা। নদী তীরের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার এ কর্মযজ্ঞ। বাড়ির ছেলে, বৃদ্ধ ও নারী সদস্যরাও ঘরবাড়ি সরানোর কাজে সহযোগিতা করছেন।
ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম খান বলেন, তাঁর একটি কাঠ চেরাইয়ের মিল ছিল। সেখানে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার কাঠ ও কেটে আনা গাছের গুঁড়ি ছিল। গত শুক্রবার রাতে প্রবল ভাঙন শুরু হলে কোনো মতে মেশিনসহ কিছু কাঠ সরাতে পেরেছেন মাত্র। অনেক গাছের গুঁড়ি নদীতে ভেসে গেছে। এতে তাঁর অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।
সুরামন আলী নামের একজন বলেন, তাঁর ২০ বিঘা জমি ছিল আর এখন বাড়ি করার মতো জায়গা নেই। গত ১০ বছরে তিনবার বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। এবার আর বাড়ি করার মতো জায়গা নেই কোথাও তাঁর। এখন ঘরগুলো খুলে নিয়ে রাস্তার পাশে রেখে দিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে সরকারের কাছে একটি বাঁধ চাইছেন তাঁরা।
আনছের আলী নামের অপর একজন বলেন, প্রতিবছরই এ গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখনো এখানে কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। তাই প্রতি বছরই শত শত মানুষ গৃহহারা হচ্ছেন।
শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌরী মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে এসব প্রতিষ্ঠান বিলীন হতে পারে।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন। মাত্র কয়েক দিনেই ৫ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে চরপৌলী মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা। ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। তা না হলে আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনো মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র আহ্বান খুব দ্রুতই করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, ভাঙনকবলিতদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের কীভাবে পুনর্বাসন করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে