আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
দখলমুক্ত হওয়া বদরগঞ্জের ভাড়ারদহ বিল পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। সেখানে ভোর থেকে শুরু হয় কিচিরমিচির শব্দ। এখন এই শব্দে মুখরিত পুরো এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের এলাকার অনেকেই ছুটে আসছেন বিল দেখতে।
বিলটির অবস্থান বদরগঞ্জ পৌর শহরের জামুবাড়ি ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। এটি ভরাট হয়ে স্থানীয় লোকদের দখলে ছিল। গত বছর এই বিল দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান সম্প্রতি বিল এলাকায় সপরিবারে বেড়াতে আসেন। তিনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং বিলের পাড়ের নানা প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ দেখে মুগ্ধ হন।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত চিকলী ও গডডাংগী নদীর মিলনস্থল বা ঘূর্ণিময় অংশ ছিল ভাড়ারদহ বিল। চিকলীর প্রবাহ পরিবর্তনের পর ঘূর্ণিময় অংশটি বিল আকারে অস্তিত্ব বজায় রাখে। প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে এটি ছিল দেশীয় মাছের ভান্ডার। স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে মাছ শিকার করতেন। কালের পরিক্রমায় যত্ন না থাকায় বিলটি মজে গিয়ে জলাভূমিতে পরিণত হয়। এরপর দখলদারেরা একপর্যায়ে বিলটিকে কৃষি জমিতে পরিণত করেন।
পরবর্তীতে বিএমডিএ এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিলটি পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। নকশা দেখে বিলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ১১ দশমিক ৫৯ একর আয়তনের বিলের খননকাজ গত বছরের ১ জানুয়ারি শুরু হয়। ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের আওতায় খননে নেমে দখলদারদের তোপের মুখে পড়েন বিএমডিএ কর্মকর্তারা। খননকাজ কয়েক দফা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে মার্চের শেষ সপ্তাহে পুনঃখনন কাজ সমাপ্ত হলে হারিয়ে যাওয়া ভাড়ারদহ বিল প্রাণ ফিরে পায়।
এখন বিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জল ময়ূর, টুনটুনি, চাপাখি, খঞ্জনা, বন ভারত, ফিঙে, চাতক, পাতি সরালি, মাছরাঙাসহ প্রায় ২০ প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে।
বিলের ৮০ থেকে ১০০ ফুট চওড়া পাড়ে কৃষ্ণচূড়া, নাগেশ্বর, সোনালু, জারুল, কুরচি, কদম, নাগলিঙ্গম, ছাতিম, চিকরাশি, শ্বেত চন্দন, গন্ধরাজ, বকুল, শিমুল (বর্মিজ), পলাশ, মহুয়া, কাঞ্চন, দেশি শিমুল, হিজল, অশোক, চাপা, পারুল, রাধাচূড়া, তমাল, বাজনা, গৌরিচৌরি, কাঠমল্লিকা, মাধবীলতা, টগর, হৈমন্তী, ডুমুর, ডেউয়া, খড়কি জাম, কোরিয়ান জাম, কতবেল, করমচা, আঞ্জির, জাফরান, আমলকী, হরীতকী, গাবসহ ১০৩ প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করা হয়েছে।
বিএমডিএর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘বিলটি পুনঃখননের পর যে এত পাখির আশ্রয়স্থল হবে তা ভাবতেও পারিনি। পাখি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। সময় পেলেই বিলে যাই। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সপরিবারে বিলে এসেছিলেন। তিনিও পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখে মুগ্ধ হন।’
ইআইআরের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান জানান, বিলটি পুনঃখনন করতে গিয়ে দখলদারদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় খননকাজ শেষ করে বিলের পাড়ে গাছ রোপণ করা হয়। এখন এটি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এখানে আরও কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, যাতে এলাকার মানুষ বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বিলটি ব্যবহার করতে পারেন।
দখলমুক্ত হওয়া বদরগঞ্জের ভাড়ারদহ বিল পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। সেখানে ভোর থেকে শুরু হয় কিচিরমিচির শব্দ। এখন এই শব্দে মুখরিত পুরো এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের এলাকার অনেকেই ছুটে আসছেন বিল দেখতে।
বিলটির অবস্থান বদরগঞ্জ পৌর শহরের জামুবাড়ি ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। এটি ভরাট হয়ে স্থানীয় লোকদের দখলে ছিল। গত বছর এই বিল দখলমুক্ত এবং পুনঃখনন করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান সম্প্রতি বিল এলাকায় সপরিবারে বেড়াতে আসেন। তিনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং বিলের পাড়ের নানা প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ দেখে মুগ্ধ হন।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত চিকলী ও গডডাংগী নদীর মিলনস্থল বা ঘূর্ণিময় অংশ ছিল ভাড়ারদহ বিল। চিকলীর প্রবাহ পরিবর্তনের পর ঘূর্ণিময় অংশটি বিল আকারে অস্তিত্ব বজায় রাখে। প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে এটি ছিল দেশীয় মাছের ভান্ডার। স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে মাছ শিকার করতেন। কালের পরিক্রমায় যত্ন না থাকায় বিলটি মজে গিয়ে জলাভূমিতে পরিণত হয়। এরপর দখলদারেরা একপর্যায়ে বিলটিকে কৃষি জমিতে পরিণত করেন।
পরবর্তীতে বিএমডিএ এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিলটি পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। নকশা দেখে বিলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ১১ দশমিক ৫৯ একর আয়তনের বিলের খননকাজ গত বছরের ১ জানুয়ারি শুরু হয়। ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের আওতায় খননে নেমে দখলদারদের তোপের মুখে পড়েন বিএমডিএ কর্মকর্তারা। খননকাজ কয়েক দফা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে মার্চের শেষ সপ্তাহে পুনঃখনন কাজ সমাপ্ত হলে হারিয়ে যাওয়া ভাড়ারদহ বিল প্রাণ ফিরে পায়।
এখন বিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জল ময়ূর, টুনটুনি, চাপাখি, খঞ্জনা, বন ভারত, ফিঙে, চাতক, পাতি সরালি, মাছরাঙাসহ প্রায় ২০ প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে।
বিলের ৮০ থেকে ১০০ ফুট চওড়া পাড়ে কৃষ্ণচূড়া, নাগেশ্বর, সোনালু, জারুল, কুরচি, কদম, নাগলিঙ্গম, ছাতিম, চিকরাশি, শ্বেত চন্দন, গন্ধরাজ, বকুল, শিমুল (বর্মিজ), পলাশ, মহুয়া, কাঞ্চন, দেশি শিমুল, হিজল, অশোক, চাপা, পারুল, রাধাচূড়া, তমাল, বাজনা, গৌরিচৌরি, কাঠমল্লিকা, মাধবীলতা, টগর, হৈমন্তী, ডুমুর, ডেউয়া, খড়কি জাম, কোরিয়ান জাম, কতবেল, করমচা, আঞ্জির, জাফরান, আমলকী, হরীতকী, গাবসহ ১০৩ প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করা হয়েছে।
বিএমডিএর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘বিলটি পুনঃখননের পর যে এত পাখির আশ্রয়স্থল হবে তা ভাবতেও পারিনি। পাখি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। সময় পেলেই বিলে যাই। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সপরিবারে বিলে এসেছিলেন। তিনিও পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখে মুগ্ধ হন।’
ইআইআরের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান জানান, বিলটি পুনঃখনন করতে গিয়ে দখলদারদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় খননকাজ শেষ করে বিলের পাড়ে গাছ রোপণ করা হয়। এখন এটি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এখানে আরও কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, যাতে এলাকার মানুষ বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বিলটি ব্যবহার করতে পারেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে