সিনেমায় দুই দশক পূর্ণ হলো আপনার। উদ্যাপন করছেন না?
ভাবছিলাম এ উপলক্ষে একটা বই বের করব। কিন্তু কীভাবে সময়টা চলে এল, বুঝতেই পারিনি। আমি যে ইয়োগা সেন্টারটি (ইয়োগিস) দিয়েছি, ওটার অফিস বনানীতে ছিল, এখন নিয়ে এসেছি নিকেতনে। ওটার শিফটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তবে মনে হচ্ছে উদ্যাপন করা উচিত। বেশ বড় করেই করব।
কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ দিয়ে আপনার চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ক্যামেরার সামনে তো ছোটবেলা থেকে দাঁড়িয়েছি নাচ বা অন্যান্য পারফরম্যান্সের জন্য। ‘আয়না’ সিনেমার জন্য যখন কবরী আপা আমাকে সিলেক্ট করলেন, তারও চার-পাঁচ মাস পর শুটিং শুরু হয়। আমাদের প্রথম লটের শুটিং হয়েছিল পুবাইলে। আট দিন শুটিং হয়েছিল। পরের লটে আরও আট দিন হয়েছিল এফডিসিতে। পরে টুকটাক আরও শুটিং হয়েছে। তখন তো থার্টি ফাইভ এমএম-এ শুট হতো। বিশাল বড় ক্রেন ব্যবহার করা হতো। কবরী আপা স্মার্ট নারী ছিলেন। উনি যেটা করেছেন, আমার প্রথম শটটা তিনি রেখেছিলেন দূর থেকে একটা লং শট—যাতে আমি ক্যামেরা দেখে ভয় না পেয়ে যাই। আমার প্রথম শট ছিল, মাঠ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, একটা বাড়িতে আমি কাজ করি, সেইখানে। শটের আগমুহূর্তে, অ্যাকশন বলার আগে, ক্যামেরার দিকে একবার তাকাতেই দেখি, বিশাল একটা ক্রেনের ওপর ক্যামেরা, চারদিকে এক দেড় শ মানুষ। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম উপলব্ধি করলাম যে, আজকে থেকে আমাকে অনেক দায়িত্ববান হতে হবে। কারণ, আমার ওপর নির্ভর করে পুরো সিনেমাটার গল্প। আমি যদি দেরি করে যাই, সেটে সবাই বসে থাকবে। আমি যদি খারাপ অভিনয় করি, পুরো জিনিসটাই ফল করবে। ওই যে সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, সিনসিয়ারলি কাজ করব। সেটা আজ পর্যন্ত আমার প্রতিটি কাজে বজায় রাখতে পেরেছি।
আয়নার পরপরই মোরশেদুল ইসলামের ‘খেলাঘর’ সিনেমায় অভিনয় করলেন। এ দুটো সিনেমা মুক্তির পর আপনার জীবন কতটা বদলে গিয়েছিল?
আমি যখন ‘খেলাঘর’-এর শুটিং করতে গেছি, তখনো আয়না রিলিজ হয়নি। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা খেলাঘর, ২০০৬ সালে। আয়না তার দুই মাস পর রিলিজ হয়। ওই দুই বছর আমি ভীষণ ধৈর্য ধরে থেকেছি। আমার কাছে যে কী পরিমাণ বুলেট গতিতে সিনেমার প্রস্তাব আসত। যখন আয়নার সেকেন্ড লটের শুটিং করতে গেলাম, তখন অলরেডি এফডিসির সবাই জেনে গেছে। এফডিসিতে আগে এ রকমই হতো, সবাই সবার কাজের খবর রাখত। আমার অভিনয় দেখতে আসত প্রোডাকশন ম্যানেজার থেকে শুরু করে ডিরেক্টর, প্রডিউসাররা। তারপর তারা আমাকে প্রপোজাল পাঠাত। ওই সময় আমি ২৪টি সিনেমার অফার পাই মাত্র আট দিনে। এর আগে-পরে তো পেয়েছিই। কিন্তু তখন অ্যাকসেপ্ট করিনি। খেলাঘরটা হাতে নিয়েছিলাম, ওইটা ছাড়া ঠিক হবে না সে জন্য। খেলাঘর রিলিজের পর মমতাজউদদীন আহমদ থেকে শুরু করে তারেক মাসুদ—তাঁরা যখন পারসোনালি আমাকে ফোন করে বা নানা জায়গায় আমার প্রশংসা করেছেন, তখন মনে হয়েছে, এটা আমার একটা দায়িত্ব। এই ধরনের কাজেই আমি অভিনয় করব।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা তো অনেক বড় বিষয়। সে কারণেই কি আপনার সিনেমার সংখ্যা তুলনামূলক কম?
এটা করতে গিয়ে আমাকে অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে। আমি হয়তো ম্যাস লেভেলে অনেক পপুলার হতে পারতাম। যে ধরনের সিনেমার অফার এসেছিল আমার কাছে, সেগুলো করলে অনেক টাকাপয়সার মালিক হতে পারতাম। এখন তো কমেন্টবক্সে অনেকে খুব সস্তাভাবে লেখে, ‘কাজ নেই’ বা ইত্যাদি। আসলে আমি নিজেই কম কাজ করি, কিন্তু এগুলো লোকজনকে বলার কিছু নেই। আমার স্যাটিসফেকশন আমার জায়গায়। আমার কাছে মনে হয়, যারা আমার কাজ দেখে, যারা আমাকে জানে, তারা আমাকে যে রেসপেক্টটা করে, সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট। এই দুই দশক যে ভালোভাবে, সম্মানের সঙ্গে পার করতে পেরেছি, এটাই অনেক। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
সিনেমায় দুই দশক পূর্ণ হলো আপনার। উদ্যাপন করছেন না?
ভাবছিলাম এ উপলক্ষে একটা বই বের করব। কিন্তু কীভাবে সময়টা চলে এল, বুঝতেই পারিনি। আমি যে ইয়োগা সেন্টারটি (ইয়োগিস) দিয়েছি, ওটার অফিস বনানীতে ছিল, এখন নিয়ে এসেছি নিকেতনে। ওটার শিফটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তবে মনে হচ্ছে উদ্যাপন করা উচিত। বেশ বড় করেই করব।
কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ দিয়ে আপনার চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ক্যামেরার সামনে তো ছোটবেলা থেকে দাঁড়িয়েছি নাচ বা অন্যান্য পারফরম্যান্সের জন্য। ‘আয়না’ সিনেমার জন্য যখন কবরী আপা আমাকে সিলেক্ট করলেন, তারও চার-পাঁচ মাস পর শুটিং শুরু হয়। আমাদের প্রথম লটের শুটিং হয়েছিল পুবাইলে। আট দিন শুটিং হয়েছিল। পরের লটে আরও আট দিন হয়েছিল এফডিসিতে। পরে টুকটাক আরও শুটিং হয়েছে। তখন তো থার্টি ফাইভ এমএম-এ শুট হতো। বিশাল বড় ক্রেন ব্যবহার করা হতো। কবরী আপা স্মার্ট নারী ছিলেন। উনি যেটা করেছেন, আমার প্রথম শটটা তিনি রেখেছিলেন দূর থেকে একটা লং শট—যাতে আমি ক্যামেরা দেখে ভয় না পেয়ে যাই। আমার প্রথম শট ছিল, মাঠ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, একটা বাড়িতে আমি কাজ করি, সেইখানে। শটের আগমুহূর্তে, অ্যাকশন বলার আগে, ক্যামেরার দিকে একবার তাকাতেই দেখি, বিশাল একটা ক্রেনের ওপর ক্যামেরা, চারদিকে এক দেড় শ মানুষ। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম উপলব্ধি করলাম যে, আজকে থেকে আমাকে অনেক দায়িত্ববান হতে হবে। কারণ, আমার ওপর নির্ভর করে পুরো সিনেমাটার গল্প। আমি যদি দেরি করে যাই, সেটে সবাই বসে থাকবে। আমি যদি খারাপ অভিনয় করি, পুরো জিনিসটাই ফল করবে। ওই যে সেদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, সিনসিয়ারলি কাজ করব। সেটা আজ পর্যন্ত আমার প্রতিটি কাজে বজায় রাখতে পেরেছি।
আয়নার পরপরই মোরশেদুল ইসলামের ‘খেলাঘর’ সিনেমায় অভিনয় করলেন। এ দুটো সিনেমা মুক্তির পর আপনার জীবন কতটা বদলে গিয়েছিল?
আমি যখন ‘খেলাঘর’-এর শুটিং করতে গেছি, তখনো আয়না রিলিজ হয়নি। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা খেলাঘর, ২০০৬ সালে। আয়না তার দুই মাস পর রিলিজ হয়। ওই দুই বছর আমি ভীষণ ধৈর্য ধরে থেকেছি। আমার কাছে যে কী পরিমাণ বুলেট গতিতে সিনেমার প্রস্তাব আসত। যখন আয়নার সেকেন্ড লটের শুটিং করতে গেলাম, তখন অলরেডি এফডিসির সবাই জেনে গেছে। এফডিসিতে আগে এ রকমই হতো, সবাই সবার কাজের খবর রাখত। আমার অভিনয় দেখতে আসত প্রোডাকশন ম্যানেজার থেকে শুরু করে ডিরেক্টর, প্রডিউসাররা। তারপর তারা আমাকে প্রপোজাল পাঠাত। ওই সময় আমি ২৪টি সিনেমার অফার পাই মাত্র আট দিনে। এর আগে-পরে তো পেয়েছিই। কিন্তু তখন অ্যাকসেপ্ট করিনি। খেলাঘরটা হাতে নিয়েছিলাম, ওইটা ছাড়া ঠিক হবে না সে জন্য। খেলাঘর রিলিজের পর মমতাজউদদীন আহমদ থেকে শুরু করে তারেক মাসুদ—তাঁরা যখন পারসোনালি আমাকে ফোন করে বা নানা জায়গায় আমার প্রশংসা করেছেন, তখন মনে হয়েছে, এটা আমার একটা দায়িত্ব। এই ধরনের কাজেই আমি অভিনয় করব।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা তো অনেক বড় বিষয়। সে কারণেই কি আপনার সিনেমার সংখ্যা তুলনামূলক কম?
এটা করতে গিয়ে আমাকে অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে। আমি হয়তো ম্যাস লেভেলে অনেক পপুলার হতে পারতাম। যে ধরনের সিনেমার অফার এসেছিল আমার কাছে, সেগুলো করলে অনেক টাকাপয়সার মালিক হতে পারতাম। এখন তো কমেন্টবক্সে অনেকে খুব সস্তাভাবে লেখে, ‘কাজ নেই’ বা ইত্যাদি। আসলে আমি নিজেই কম কাজ করি, কিন্তু এগুলো লোকজনকে বলার কিছু নেই। আমার স্যাটিসফেকশন আমার জায়গায়। আমার কাছে মনে হয়, যারা আমার কাজ দেখে, যারা আমাকে জানে, তারা আমাকে যে রেসপেক্টটা করে, সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট। এই দুই দশক যে ভালোভাবে, সম্মানের সঙ্গে পার করতে পেরেছি, এটাই অনেক। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে