শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
হাওরাঞ্চলে জলমহাল ও জলাশয় খনন না হওয়ায় ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ১০-১২ প্রজাতির মাছ। সেসঙ্গে কমেছে উৎপাদন। হাওরের এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য অধিদপ্তর। হাওরে মাছ উৎপাদন বাড়াতে ও বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ রক্ষায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিতাইগাঙ্গ জলাশয় ও বিল খনন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। খননে প্রাণ ফিরেছে নিতাইগাঙ্গ জলমহালে।
এতে মৎস্যজীবীরা পেয়েছেন তাঁদের পেশা ধরে রাখার পথ আর কৃষকেরা পেয়েছেন সেচসুবিধা। এদিকে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন জলমহালের আশপাশের বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের নিতাইগাঙ্গ জলমহালের ১ দশমিক ৫৭৯ হেক্টর ভূমি পুনঃখনন করার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। সেই ধারাবাহিকতায় নিতাইগাঙ্গ জলমহালের সুবিধাভোগী কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সুফলভোগী সমিতির লোকজনদের দিয়ে জলমহালটি খননে কাজ শেষ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার হাওরে সুদিন ফিরে আসবে, বৃদ্ধি পাবে মাছের উৎপাদন। অন্যদিকে বিল ও জলাশয় খনন হওয়ায় জেলার হাজারো জেলে পরিবার নতুন স্বপ্ন বুনছে। তাঁরা বলছেন, এবার শূন্যহাতে বাড়ি ফিরতে হবে না। জালে এবার ব্যাপক মাছ ধরা পড়বে। তবে জেলার প্রতিটি জলাশয় ও নদী খনন হলে আরও উপকৃত হতেন। সেসঙ্গে রক্ষা পেত বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ।
পাথারিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তেরাই মিয়া, তেহকিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও শিমুলবাক গ্রামের মহিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকার বিল খনন না করায় হাওরের অনেক প্রজাতির মাছও এখন বিলুপ্ত পথে। এ বছর নিতাইগাঙ্গ বিল ও জলমহাল খনন করা হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন আগামীতে মাছের উৎপাদন বেশি হবে। বিলে মাছ বেশি ধরা পড়বে। এমনকি বোরো মৌসুমে সেচসুবিধাও পাওয়া যাবে। বিল খননে শিমুলবাক গ্রাম ও গোবিন্দপুর গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিন্টু কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিল ভরাট হওয়ায় ঠিকমতো মাছ চাষ করতে পারতাম না। অথচ প্রতিবছর ইজারামূল্য দিতে হতো। জলমহালটির একটি অংশে গত বছর প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এ বছর আরও একটি অংশে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুফলভোগীদের নিয়ে খনন কাজ করেছি।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘নিতাইগাঙ্গ জলমহালটি আগে যতবার বন্দোবস্ত নিয়েছি, ততবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কারণ আগে এই জলমহালের নাব্যতা ছিল না, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছ পাওয়া যেত না। এই বছর জলমহালটি খনন হওয়ায় আমাদের সমিতির লোকজন আগামীতে লাভের মুখ দেখবে, আগের তুলনায় এখন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, জলাশয়গুলো খনন হওয়ায় হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়বে। সঙ্গে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছও রক্ষা করা যাবে। এতে উপকারভোগী সমিতির সদস্যসহ মৎস্যজীবী লোকজন লাভবান হবেন। দেশি প্রজাতির মাছের প্রজনন বাড়বে; অন্যদিকে কৃষকদের তাঁদের কৃষিজমিতে সেচ দিয়ে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
হাওরাঞ্চলে জলমহাল ও জলাশয় খনন না হওয়ায় ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ১০-১২ প্রজাতির মাছ। সেসঙ্গে কমেছে উৎপাদন। হাওরের এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য অধিদপ্তর। হাওরে মাছ উৎপাদন বাড়াতে ও বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ রক্ষায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিতাইগাঙ্গ জলাশয় ও বিল খনন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। খননে প্রাণ ফিরেছে নিতাইগাঙ্গ জলমহালে।
এতে মৎস্যজীবীরা পেয়েছেন তাঁদের পেশা ধরে রাখার পথ আর কৃষকেরা পেয়েছেন সেচসুবিধা। এদিকে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন জলমহালের আশপাশের বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের নিতাইগাঙ্গ জলমহালের ১ দশমিক ৫৭৯ হেক্টর ভূমি পুনঃখনন করার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। সেই ধারাবাহিকতায় নিতাইগাঙ্গ জলমহালের সুবিধাভোগী কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সুফলভোগী সমিতির লোকজনদের দিয়ে জলমহালটি খননে কাজ শেষ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার হাওরে সুদিন ফিরে আসবে, বৃদ্ধি পাবে মাছের উৎপাদন। অন্যদিকে বিল ও জলাশয় খনন হওয়ায় জেলার হাজারো জেলে পরিবার নতুন স্বপ্ন বুনছে। তাঁরা বলছেন, এবার শূন্যহাতে বাড়ি ফিরতে হবে না। জালে এবার ব্যাপক মাছ ধরা পড়বে। তবে জেলার প্রতিটি জলাশয় ও নদী খনন হলে আরও উপকৃত হতেন। সেসঙ্গে রক্ষা পেত বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ।
পাথারিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তেরাই মিয়া, তেহকিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও শিমুলবাক গ্রামের মহিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকার বিল খনন না করায় হাওরের অনেক প্রজাতির মাছও এখন বিলুপ্ত পথে। এ বছর নিতাইগাঙ্গ বিল ও জলমহাল খনন করা হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন আগামীতে মাছের উৎপাদন বেশি হবে। বিলে মাছ বেশি ধরা পড়বে। এমনকি বোরো মৌসুমে সেচসুবিধাও পাওয়া যাবে। বিল খননে শিমুলবাক গ্রাম ও গোবিন্দপুর গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
কুমড়িআইল-তেহকিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিন্টু কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিল ভরাট হওয়ায় ঠিকমতো মাছ চাষ করতে পারতাম না। অথচ প্রতিবছর ইজারামূল্য দিতে হতো। জলমহালটির একটি অংশে গত বছর প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এ বছর আরও একটি অংশে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুফলভোগীদের নিয়ে খনন কাজ করেছি।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘নিতাইগাঙ্গ জলমহালটি আগে যতবার বন্দোবস্ত নিয়েছি, ততবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কারণ আগে এই জলমহালের নাব্যতা ছিল না, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছ পাওয়া যেত না। এই বছর জলমহালটি খনন হওয়ায় আমাদের সমিতির লোকজন আগামীতে লাভের মুখ দেখবে, আগের তুলনায় এখন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, জলাশয়গুলো খনন হওয়ায় হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়বে। সঙ্গে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছও রক্ষা করা যাবে। এতে উপকারভোগী সমিতির সদস্যসহ মৎস্যজীবী লোকজন লাভবান হবেন। দেশি প্রজাতির মাছের প্রজনন বাড়বে; অন্যদিকে কৃষকদের তাঁদের কৃষিজমিতে সেচ দিয়ে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে