আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
গ্রামের নাম ধামশ্বর, উপজেলা দৌলতপুর, জেলা মানিকগঞ্জ। এ গ্রামের সখিনা বেগমের বয়স আনুমানিক ৮৫ বছর। এ বয়সে মানুষের স্মৃতিচারণা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না। সখিনা বেগমও স্মৃতির সাগরে ডুবে দিয়ে জানালেন তাঁর ছোটবেলার কথা। বললেন, ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে দূরে কোথাও গেলে ঘোড়ার গাড়িতে যেতেন তিনি। গরুর গাড়ির প্রচলনও ছিল। তবে তখন তো বাস-ট্রাক চলত না। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে নানাবাড়ি বেড়াতে যেতেন সখিনা বেগম। আসার পথে রাত হলে গাড়ির সামনে হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো।
ঘোড়া ও ঘোড়ায় টানা গাড়ি পৃথিবীর প্রাচীন বাহনগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশের পরিবহনব্যবস্থাতেও ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল। এখনো মানিকগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এর দেখা পাওয়া যায়। এ জেলার যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঘোড়ার গাড়ি। বিশেষ করে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার নদীর চরাঞ্চলে এসব বাহন বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৯০-এর দশকে অঞ্চলের গ্রামের কাঁচা রাস্তায় ঘোড়া ছিল উপযুক্ত বাহন। সময় বদলেছে, প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাও এখন পাকা। যান্ত্রিক যান এখন সহজলভ্য। তাই প্রায় বিলুপ্তির পথে হাঁটছে ঘোড়ার গাড়ি!
জেলার কমপক্ষে ২০ জন ঘোড়ার গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক ৪০০টি ঘোড়ার গাড়ি আছে। বালু আর শাখানদীর রাস্তাসহ গ্রামের রাস্তায় যেখানে ভ্যান, রিকশা, ট্রলি, ট্রাক ইত্যাদি যেতে পারে না, সেসব রাস্তার জনপ্রিয় বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়ির কদর আছে। জেলার এক-তৃতীয়াংশ রবিশস্য, ধান, পাট, আলু, বাদাম, ভুট্টা, ডাল চরাঞ্চলে উৎপাদিত হয়। এসব শস্য পরিবহনের জন্য এখনো ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়।
তুলণ্ড গ্রামের ঘোড়ার গাড়িচালক মিন্টু ও সিরাজুল জানান, ঘোড়ার গাড়ি তৈরিতে খরচ বর্তমানে অনেক। হৃষ্টপুষ্ট ঘোড়ার দামও বেশি। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে বেশ কয়েক বছর গাড়ি টানতে পারে ঘোড়াগুলো। তবে প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়াতে হয়। ধানের কুঁড়া, সরিষার খৈল, ছোলা, ভুসি ও চালের খুদ সাধারণত ঘোড়াকে খাওয়ানো হয়। ঘোড়া পালনে খরচও বেশি। নানা প্রতিকূলতায় এ পেশায় এখন টেকা দায় হয়ে উঠেছে।
হরিরামপুর উপজেলার হরিহরদিয়া এলাকার ঘোড়ার গাড়িচালক নাছির মৃধা জানান, ছয় সদস্যের সংসার তাঁর। বাবা ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল টেনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সংসারে সহযোগিতার জন্য একটি ঘোড়া কিনে ঝিটকা হাট থেকে মালামাল টানেন তিনি। চরের জমি থেকে ফসল ঘরে তোলার সময় আয় ভালো হয়। নিজেদের বাড়ির কাজেও লাগে।
এই বাহনের দুর্দিনেও তিন পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখা ঘিওরের পয়লা এলাকার মো. সমেজ উদ্দিন বলেন, ‘আগে আমার দাদা ও বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালাইত। এখন আমি চালাই। কিন্তু আগের মতো ইনকাম হয় না। সংসার চালানোই কষ্ট। ভাবছি ঘোড়াটা বিক্রি করে অন্য কাজ করব।’
খলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান বলেন, পানি শুকিয়ে চর জাগলেই শুরু হয় কৃষকের কাজ। জ্বালানির কাজে ব্যবহার করার জন্য কাশফুলের শুকনা খড় সংগ্রহ করেন চরের বাসিন্দারা। উৎপাদিত ফসল ও চরাঞ্চলে মালামাল বহনের জন্য ঘোড়ার গাড়িই তাঁদের একমাত্র ভরসা।
গ্রামের নাম ধামশ্বর, উপজেলা দৌলতপুর, জেলা মানিকগঞ্জ। এ গ্রামের সখিনা বেগমের বয়স আনুমানিক ৮৫ বছর। এ বয়সে মানুষের স্মৃতিচারণা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না। সখিনা বেগমও স্মৃতির সাগরে ডুবে দিয়ে জানালেন তাঁর ছোটবেলার কথা। বললেন, ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে দূরে কোথাও গেলে ঘোড়ার গাড়িতে যেতেন তিনি। গরুর গাড়ির প্রচলনও ছিল। তবে তখন তো বাস-ট্রাক চলত না। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে নানাবাড়ি বেড়াতে যেতেন সখিনা বেগম। আসার পথে রাত হলে গাড়ির সামনে হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো।
ঘোড়া ও ঘোড়ায় টানা গাড়ি পৃথিবীর প্রাচীন বাহনগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশের পরিবহনব্যবস্থাতেও ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল। এখনো মানিকগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এর দেখা পাওয়া যায়। এ জেলার যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঘোড়ার গাড়ি। বিশেষ করে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার নদীর চরাঞ্চলে এসব বাহন বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৯০-এর দশকে অঞ্চলের গ্রামের কাঁচা রাস্তায় ঘোড়া ছিল উপযুক্ত বাহন। সময় বদলেছে, প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাও এখন পাকা। যান্ত্রিক যান এখন সহজলভ্য। তাই প্রায় বিলুপ্তির পথে হাঁটছে ঘোড়ার গাড়ি!
জেলার কমপক্ষে ২০ জন ঘোড়ার গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক ৪০০টি ঘোড়ার গাড়ি আছে। বালু আর শাখানদীর রাস্তাসহ গ্রামের রাস্তায় যেখানে ভ্যান, রিকশা, ট্রলি, ট্রাক ইত্যাদি যেতে পারে না, সেসব রাস্তার জনপ্রিয় বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়ির কদর আছে। জেলার এক-তৃতীয়াংশ রবিশস্য, ধান, পাট, আলু, বাদাম, ভুট্টা, ডাল চরাঞ্চলে উৎপাদিত হয়। এসব শস্য পরিবহনের জন্য এখনো ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়।
তুলণ্ড গ্রামের ঘোড়ার গাড়িচালক মিন্টু ও সিরাজুল জানান, ঘোড়ার গাড়ি তৈরিতে খরচ বর্তমানে অনেক। হৃষ্টপুষ্ট ঘোড়ার দামও বেশি। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে বেশ কয়েক বছর গাড়ি টানতে পারে ঘোড়াগুলো। তবে প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়াতে হয়। ধানের কুঁড়া, সরিষার খৈল, ছোলা, ভুসি ও চালের খুদ সাধারণত ঘোড়াকে খাওয়ানো হয়। ঘোড়া পালনে খরচও বেশি। নানা প্রতিকূলতায় এ পেশায় এখন টেকা দায় হয়ে উঠেছে।
হরিরামপুর উপজেলার হরিহরদিয়া এলাকার ঘোড়ার গাড়িচালক নাছির মৃধা জানান, ছয় সদস্যের সংসার তাঁর। বাবা ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল টেনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সংসারে সহযোগিতার জন্য একটি ঘোড়া কিনে ঝিটকা হাট থেকে মালামাল টানেন তিনি। চরের জমি থেকে ফসল ঘরে তোলার সময় আয় ভালো হয়। নিজেদের বাড়ির কাজেও লাগে।
এই বাহনের দুর্দিনেও তিন পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখা ঘিওরের পয়লা এলাকার মো. সমেজ উদ্দিন বলেন, ‘আগে আমার দাদা ও বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালাইত। এখন আমি চালাই। কিন্তু আগের মতো ইনকাম হয় না। সংসার চালানোই কষ্ট। ভাবছি ঘোড়াটা বিক্রি করে অন্য কাজ করব।’
খলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান বলেন, পানি শুকিয়ে চর জাগলেই শুরু হয় কৃষকের কাজ। জ্বালানির কাজে ব্যবহার করার জন্য কাশফুলের শুকনা খড় সংগ্রহ করেন চরের বাসিন্দারা। উৎপাদিত ফসল ও চরাঞ্চলে মালামাল বহনের জন্য ঘোড়ার গাড়িই তাঁদের একমাত্র ভরসা।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে