সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ
নওগাঁয় ভরা মৌসুমে ঊর্ধ্বমুখী হলো চালের বাজার। ধানের দাম কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। কিন্তু বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান গেল কোথায়—ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন। অন্যদিকে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ মিলার আর ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে লাগাম টানতেই সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। এ অবস্থায় সাধারণ ভোক্তা ও কৃষকদের মনে প্রশ্ন, কোন পথে যাচ্ছে ধান-চালের বাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে ধানের দর ছিল ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ। প্রয়োজনের তাগিদে তখন অল্প দামেই ফলন বিক্রি করেছেন কৃষক। যখন কৃষকদের গোলা অনেকটা শূন্য; তখন হঠাৎ বেড়ে যায় ধানের দাম। পাশাপাশি চালের বাজারেও শুরু হয় অস্থিরতা।
এরপর ধান-চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নামে প্রশাসন। বিভিন্ন মিল ও ধানের আড়তে চালানো হয় অভিযান, করা হয় জরিমানা। অভিযান শুরুর পর আবারও সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমে যায়। সেই সঙ্গে বাজারে কমতে শুরু করে চালের দাম।
সম্প্রতি নওগাঁর মান্দা ও মহাদেবপুরের কয়েকটি ধানের হাট ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মৌসুমে ফলনে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। এরপরও কৃষক যে ধান পেয়েছেন, সেই ফলন তাঁরা তুলে দিয়েছেন আড়তদারদের হাতে। মৌসুমের শুরুতে যখন তাঁরা অধিকাংশ ধান বিক্রি করেছেন; তখন বাজারে তেমন একটা দাম পাননি তাঁরা। কৃষকের ঘরে ধান যখন শেষের দিকে হঠাৎ করে প্রতিমণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায় দাম। এতে করে কৃষকের খুব একটা লাভ হয়নি। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কারণে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মান্দার সতীহাটে গিয়ে কথা কৃষক আব্দুল হালিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ধান কাটামাড়াই শেষ করেই শ্রমিকের, সারের ও পানির দাম দিতে গিয়ে আগেই সব ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা। তখন ধানের দর কম ছিল। এরপর হঠাৎ করে ধানের দাম বেড়ে গেছে। এতে দাম বাড়লেও তাঁর কোনো লাভ হয়নি।
এদিকে স্থানীয় মিলাররা বলছেন, মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক থেকে নির্দেশনা আসে অবৈধ মজুত ভাঙার। এতেই ধানের দর প্রতি মণে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা কমে যায়। মিলারদের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান মজুত করেছেন পুঁজিপতি ব্যবসায়ীরা। যখন তাঁরা ধান কেনা কমে দিয়েছেন, তখন হাটেও ধানের দামও কমে গেছে।
মহাদেবপুরের সরস্বতীপুর হাটে কথা হয় ক্ষুদ্র মিলার ও ধান ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরু থেকে তিনি ধান কিনছেন। ধান কিনে তিনি অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধান বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে কিছু ধান তিনি তাঁর মিলের জন্য কিনেছেন। তাঁর দাবি, ‘বড় কোম্পানির কাছে ধান বিক্রি করলে বেশি লাভ হয়। সে জন্য হাট থেকে ধান কিনে পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি বিক্রি করেন।’
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, প্রথমত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এই অঞ্চল থেকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ধান বড় কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করেছে। তাদের কারণেই বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। তাদের সঙ্গে তাঁরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। কারণ, তারা ছোট ছোট প্যাকেট করে বেশি দামে চাল বিক্রি করবে।
ফরহাদ হোসেন চকদার আরও বলেন, ‘অতীতে কখনোই বাজারে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখিনি। যেদিন থেকে বড় ব্যবসায়ীরা এই সেক্টরে এসেছে, সেদিন থেকে রাতারাতি ধান চালের বাজার কম-বেশি হচ্ছে।’
এ দিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমে গেছে মণ প্রতি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাতাজিহাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাটারি ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, গোল্ডেন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকাতে।
মাতাজি হাটের আড়তদার মো. জালাল হোসেন বলেন, ‘এখনো ধানের দাম ওঠানামা করছে। বড় কোম্পানিগুলো ধান কিনলে হাটে দাম বাড়ছে, আবার না কিনলে এক দিনের ব্যবধানে দাম কমে যাচ্ছে। ধানের দাম আবারও বাড়বে বলে ধারণা তাঁর।
অন্যদিকে নওগাঁর বাজারে চালের দামের দাপট কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ২ টাকা।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার বলেন, প্রশাসন অভিযান শুরু পর প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমেছে। মোকামে ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমায় খুচরা বাজারেও দাম কমেছে।
নওগাঁয় ভরা মৌসুমে ঊর্ধ্বমুখী হলো চালের বাজার। ধানের দাম কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। কিন্তু বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান গেল কোথায়—ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন। অন্যদিকে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ মিলার আর ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে লাগাম টানতেই সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। এ অবস্থায় সাধারণ ভোক্তা ও কৃষকদের মনে প্রশ্ন, কোন পথে যাচ্ছে ধান-চালের বাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে ধানের দর ছিল ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ। প্রয়োজনের তাগিদে তখন অল্প দামেই ফলন বিক্রি করেছেন কৃষক। যখন কৃষকদের গোলা অনেকটা শূন্য; তখন হঠাৎ বেড়ে যায় ধানের দাম। পাশাপাশি চালের বাজারেও শুরু হয় অস্থিরতা।
এরপর ধান-চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নামে প্রশাসন। বিভিন্ন মিল ও ধানের আড়তে চালানো হয় অভিযান, করা হয় জরিমানা। অভিযান শুরুর পর আবারও সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমে যায়। সেই সঙ্গে বাজারে কমতে শুরু করে চালের দাম।
সম্প্রতি নওগাঁর মান্দা ও মহাদেবপুরের কয়েকটি ধানের হাট ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মৌসুমে ফলনে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। এরপরও কৃষক যে ধান পেয়েছেন, সেই ফলন তাঁরা তুলে দিয়েছেন আড়তদারদের হাতে। মৌসুমের শুরুতে যখন তাঁরা অধিকাংশ ধান বিক্রি করেছেন; তখন বাজারে তেমন একটা দাম পাননি তাঁরা। কৃষকের ঘরে ধান যখন শেষের দিকে হঠাৎ করে প্রতিমণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায় দাম। এতে করে কৃষকের খুব একটা লাভ হয়নি। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কারণে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মান্দার সতীহাটে গিয়ে কথা কৃষক আব্দুল হালিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ধান কাটামাড়াই শেষ করেই শ্রমিকের, সারের ও পানির দাম দিতে গিয়ে আগেই সব ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা। তখন ধানের দর কম ছিল। এরপর হঠাৎ করে ধানের দাম বেড়ে গেছে। এতে দাম বাড়লেও তাঁর কোনো লাভ হয়নি।
এদিকে স্থানীয় মিলাররা বলছেন, মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক থেকে নির্দেশনা আসে অবৈধ মজুত ভাঙার। এতেই ধানের দর প্রতি মণে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা কমে যায়। মিলারদের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান মজুত করেছেন পুঁজিপতি ব্যবসায়ীরা। যখন তাঁরা ধান কেনা কমে দিয়েছেন, তখন হাটেও ধানের দামও কমে গেছে।
মহাদেবপুরের সরস্বতীপুর হাটে কথা হয় ক্ষুদ্র মিলার ও ধান ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরু থেকে তিনি ধান কিনছেন। ধান কিনে তিনি অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধান বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে কিছু ধান তিনি তাঁর মিলের জন্য কিনেছেন। তাঁর দাবি, ‘বড় কোম্পানির কাছে ধান বিক্রি করলে বেশি লাভ হয়। সে জন্য হাট থেকে ধান কিনে পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি বিক্রি করেন।’
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, প্রথমত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া এই অঞ্চল থেকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ধান বড় কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করেছে। তাদের কারণেই বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। তাদের সঙ্গে তাঁরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। কারণ, তারা ছোট ছোট প্যাকেট করে বেশি দামে চাল বিক্রি করবে।
ফরহাদ হোসেন চকদার আরও বলেন, ‘অতীতে কখনোই বাজারে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখিনি। যেদিন থেকে বড় ব্যবসায়ীরা এই সেক্টরে এসেছে, সেদিন থেকে রাতারাতি ধান চালের বাজার কম-বেশি হচ্ছে।’
এ দিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমে গেছে মণ প্রতি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাতাজিহাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাটারি ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, গোল্ডেন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকাতে।
মাতাজি হাটের আড়তদার মো. জালাল হোসেন বলেন, ‘এখনো ধানের দাম ওঠানামা করছে। বড় কোম্পানিগুলো ধান কিনলে হাটে দাম বাড়ছে, আবার না কিনলে এক দিনের ব্যবধানে দাম কমে যাচ্ছে। ধানের দাম আবারও বাড়বে বলে ধারণা তাঁর।
অন্যদিকে নওগাঁর বাজারে চালের দামের দাপট কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ২ টাকা।
খুচরা চাল ব্যবসায়ী তাপস কুমার বলেন, প্রশাসন অভিযান শুরু পর প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমেছে। মোকামে ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমায় খুচরা বাজারেও দাম কমেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে