ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে তিন অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি  প্রকল্প (ডিআরএসপি) জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সমর্থিত একটি কারিগরি সহযোগিতামূলক প্রকল্প। এর কাজ শুরু হয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে। ছয় মাসের অগ্রগতি তুলে ধরতে গতকাল মঙ্গলবার সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় চলমান ডিআরএসপি প্রকল্পের তিনটি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বিকেলে ডিএমপির সদর দপ্তরে ডিআরএসপি প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে যৌথ সমন্বয় কমিটির দ্বিতীয় সভা হয়েছে।

ডিআরএসপি প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ), ঢাকা উত্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ সমন্বয় কমিটি (জেসিসি) গঠন করা হয়েছে।

গত ছয় মাসের অগ্রগতি এবং কর্ম পরিকল্পনায় ডিআরএসপি প্রকল্পের তিনটি অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। ডিআরএসপি প্রকল্পের অগ্রগতিগুলো হলো সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি ও বিশ্লেষণ এবং পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বিধিবিধান ও নিয়মের প্রয়োগ।

নিরাপদ সড়ক ও ট্রাফিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় ডিএমপি ও জাপানি বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তা প্রকল্পের ফলাফল এবং পরিকল্পনা জেসিসি সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

ছয় মাসের তিন অগ্রগতি ডিআরএসপি দেখেছে যে, ডিএমপি এবং অন্য স্টেকহোল্ডাররা প্রতিনিয়ত সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্কুলকেন্দ্রিক একটি ব্যবহারিক ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা কার্যক্রম (পিপিইপি) এবং সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতার জন্য পোস্টার স্লোগান তৈরির জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করার প্রস্তাব করেছে।

ডিআরএসপি পর্যবেক্ষণ করেছে, বর্তমানে সব সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে উদ্ভাবনী পদ্ধতির সহায়তায় একটি আধুনিক ডেটাবেইস সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে।

সড়ক নিরাপত্তা, বিধিবিধান এবং আইন-কানুনসম্পর্কিত চারটি পাইলট প্রকল্পের ধারণা জেসিসি সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছে। সদস্যরা সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য এগিয়ে যেতে একমত হয়েছেন।

সভায় জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ মি. তারো কাটসুরাই, জেসিসি সদস্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে, ডিএমপির মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক পরিবেশ উন্নতির আশা ব্যক্ত করেন।