Ajker Patrika

সাংসদ-মেয়র ঐক্যে নৌকাডুবি

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৬
সাংসদ-মেয়র ঐক্যে নৌকাডুবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা ডুবিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ছোট ভাই রেজাউল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি বড় ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

আর তাই তাঁকে ফুলের মালা পরিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বাগমারার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাহেরপুর পৌরসভার মেয়রও তিনি। আর রেজাউল হক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন রেজাউল। না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হন। তাই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর ভাই এনামুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনে দলীয় নেতাদের অনেকেই নৌকার বিপক্ষে গিয়ে সাংসদের ভাইয়ের পক্ষে কাজ করেন। ফলে বড় ব্যবধানে হেরে যান নৌকার প্রার্থী।

বুধবার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সোজা তাহেরপুর পৌরসভা যান রেজাউল হক। তখন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও পেছন থেকে বিদ্রোহীদের ইন্ধন দিয়েছেন মেয়র আবুল কালাম আজাদ। রেজাউল হককে ফুলের মালা পরানো তা প্রমাণ করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় যাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁকে ফুলের মালা পরানোটা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বলেই মনে করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হককে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারের বাড়িও বাগমারা উপজেলায়। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। রেজাউলকে মেয়র কালাম ফুলের মালা পরাচ্ছেন, এমন ছবি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন অনিল কুমার সরকার। তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় আলোচনা হবে। তারপর জেলা কমিটি আলোচনা করবে। আলোচনার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গত বুধবার বাগমারার ১৬ ইউপিতে ভোট হয়। এতে ১১ ইউপিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। মাত্র ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হন। ছয়টিতে জয় পান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। স্বতন্ত্রভাবে অন্য পাঁচটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত